কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে ঘুরাঘুরি ও চা খাওয়ার মুহূর্তগুলো।

in hive-129948 •  last month 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

20241026_173827.jpg

সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় অনেকটা সময় বীচে ছিলাম। লাল আভা আকাশে যতক্ষণ ছিল ততক্ষণ পর্যন্তই আমরা বীচের পাড়ে বসে ছিলাম। কারণ এই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগছিল। তারপর সবাই মিলে লাবনী বীচের মার্কেটের দিকেই চলে গেলাম। কারণ সেখানে ঘোরাঘুরি করব যদি পছন্দ হয় পছন্দ মত কিছু জিনিস কিনবো। লাবনী বীচের মার্কেট যেহেতু একদম বীচের কাছাকাছি সেজন্য আমরা বীচ থেকে ঢুকে গিয়েছিলাম সেখানে।

20241026_181156.jpg

20241026_181251.jpg

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত মানে হলো ঝিনুকের খোলামেলা পরিবেশ। এখানে অনেক ধরনের ঝিনুক, শামুক এবং বিভিন্ন সামগ্রী দেখা যাচ্ছিল। এগুলো দেখে বেশ ভালো লাগছিল । আমি অনেকক্ষণ যাবত ঘুরাঘুরি করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আসলেই আলাদা একটা ভালো লাগে। এগুলো যদিও কেনা হয়নি তবুও অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আমি সেখান থেকে ধারণ করেছিলাম।

20241026_181311.jpg20241026_181259.jpg
20241026_181313.jpg20241026_181314.jpg

ছোট বড় কত সাইজের শামুক ছিল। তার পাশাপাশি স্টার শামুক গুলো ছিল এবং ঝিনুকের মালা থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর সামগ্রী অনেক কিছুই সেখানে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এগুলোর প্রাইজ অনেক বেশি দাবি করে পর্যটকদের কাছে। তবে আমাদের যেহেতু এত দূর থেকে কোন কিছু নিয়ে এসে ঘর সাজানো সম্ভব নয় সেই হিসেবে আমরা কোন কিছুর দাম দেখিনি। যাই হোক আমরা ভেতরের দিকে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি। আমাদের সাথে সাথে নিভৃত হাত ছেড়ে দিয়ে একা একাই হেঁটে যাচ্ছে যেন সে সবকিছুই চেনে হাহাহা।

20241026_181317.jpg20241026_181321.jpg

20241026_181328.jpg

লাবনী বীচের বাইরে আমরা ফুচকা খাওয়ার জন্য বসলাম। ফুচকা খেয়ে তারপর চলে গেলাম রাজা চায়ের ওখানে। গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত এনজয় করেছিলাম। যেহেতু আমরা পূর্ববর্তী সময়ে অনেকবার গিয়েছি তাই আবার গিয়ে বেশ ভালো আনন্দ করেছি। আমরা যেহেতু আগে থেকেই কিছু চা ট্রাই করেছি সেই হিসেবে অন্যান্য চা গুলো ট্রাই করার জন্য ভাবিকে বললাম। তিনি তার পছন্দমত চা অর্ডার দিলেন। আমরা সবাই নিয়েছিলাম একই চা। তবে আমাদের পাশে যে ভাইয়া ছিল তিনি আবার রং চা নিয়েছেন। তিনি সব সময় রং চা খেতেই পছন্দ করেন।

20241026_183456.jpg

20241026_184945.jpg20241026_185236.jpg

যাই হোক সেখানে বাইরে বসে চা খাচ্ছিলাম আর গান শুনছিলাম। সবাই মিলে বেশ ভালো মজাই করেছিলাম সেদিন। চা টা অনেক গরম ছিল আর কথা বলতে বলতে চা খেতে খেতে বেশ আড্ডা জমে গিয়েছিল। তারপর আমরা সেখান থেকে বাসায় ফিরে এলাম এবং রাতের খাওয়া দাওয়া করে ঘুম দিলাম।কারণ পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে আবার বীচে আসতে হবে সেজন্যই। এই ছিল আমাদের প্রথম দিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কাটানো মুহূর্ত।

20241026_185541.jpg20241026_190337.jpg

20241026_190359.jpg

20241026_190438.jpg

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

💕

20241123_192950.jpg

কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। ফটোগ্রাফি গুলো ও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ আপু। আসলেই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি আনন্দের ছিল।

আমি কক্সবাজার গিয়েছিলাম কিন্তু বিখ্যাত রাজা চা খাওয়া হয়নি। আসলে তখন এই চা টির বিষয়ে জানতাম না। তাই জন্য এখন খুব খারাপ লাগে। আপনার ভ্রমণ দারুন হয়েছে। সমুদ্রের ধারে বিকেল বেলা বসে থাকতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ তুলেছেন।

এবারও খাওয়া হয়েছে দুই তিনবার তার আগের বারও খাওয়া হয়েছে ভাইয়া।এটা অনেক মজার একটা চা।

কক্সবাজারের সুন্দরতম একটি স্থান দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর সেখানে অবস্থানকালীন মুহূর্তে আপনার অনুভূতি চা খাওয়ার মুহূর্ত সবগুলোই তুলে ধরেছেন আপনি। খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই ব্লগ দেখে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের এই আনন্দঘন মুহূর্তগুলো পড়ার জন্য।

শামুকগুলো তো বেশ চমৎকার লাগছে। সত্যি অসাধারণ বলতে হয়। বেশ বিভিন্ন রংয়ের বিভিন্ন আকারের শামুক। পাশাপাশি সন্ধ‍্যায় চা। বেশ দারুণ কাটিয়েছেন সময় টা আপু সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

আরো অনেক রকমের শামুক আছে ভাইয়া সবগুলো শেয়ার করা হয়নি। দারুন দারুন সব শামুক সেখানে পাওয়া যায়।