ডাক্টার দেখাতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত।

in hive-129948 •  7 months ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

IMG-20240511-WA0000.jpg

আজ আপনাদের সাথে একটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আসলে এটা হল গত শুক্রবারের আগের শুক্রবারের ঘটনা, যেদিন আমি হসপিটালে গিয়েছিলাম ডাক্তার দেখানোর জন্য। আসলে সত্যি কথা বলতে অনেক আগ থেকেই আমার পিঠ কোমর, মাথা কেমন যেন একটা ব্যথায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। আর এখনো সেটাই। তবে মূলত এটার জন্য ডাক্তারের কাছে যাইনি। গিয়েছি অন্য একটা কারণে। চারিদিকে এলার্জির যে ছড়াছড়ি। একটা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্যই মূলত ডাক্তারের কাছে যাওয়া।

আসলে এই রোগটা একদম ছোঁয়াচে রোগ। যেহেতু নিভৃতের হয়েছে সেই হিসেবে আমাদের ফ্যামিলিতেও দুই তিন জনের এই ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়ে গেল। যদিও এমনিতে কিছু ওষুধ খেয়েছিলাম অনেকটাই চলে গিয়েছে। কিন্তু এই ফাংগাল ইনফেকশন এমন জেদি যে গিয়েও আবার কিন্তু ফিরে আসে। প্রায় দুই থেকে তিন মাস যাবতই সবার এই অবস্থা। ওষুধের পর ওষুধ খাওয়া চলছেই। আর এজন্যই মূলত ভাবলাম এইবার ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। ঈদের আগে অবশ্য ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল তবে তখন আর যাওয়া হয়নি বিভিন্ন কারণে।

IMG-20240511-WA0016.jpg

সত্যি কথা বলতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন এর পিছনে ওষুধ কিনতে কিনতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতই খরচ হয়ে গিয়েছে। কারণ এক একটা ওষুধের দাম ছিল অনেক বেশি। আমার হাজব্যান্ড এবং বাবুর জন্য এতগুলো টাকাই খরচ গিয়েছে। আর সেদিন আমি একজন মহিলা ডাক্তার দেখালাম। মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি মহিলা ডাক্তার প্রেফার করি। এজন্যই আমাদের স্থানীয় বাজারে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ছিল যিনি মূলত শুক্রবার সন্ধ্যায় বসে। তাই সেদিন আমরা চলে গেলাম হসপিটালে।

IMG-20240511-WA0008.jpg

যাইহোক আমরা এক সপ্তাহ আগে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলাম আমাদের এক দুলাভাইয়ের মাধ্যমে। যথারীতি আমরা সেখানে পৌছালাম। বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করলাম। যেহেতু আমাদের সিরিয়াল ১২ নাম্বারে ছিল সেই হিসেবে আমাদের আগে যারা এসেছিল তারা ডাক্তার দেখিয়েছে। যাই হোক অবশেষে আমিও চেম্বারে গেলাম এবং পূর্বে যে ওষুধগুলো খেলাম সে সম্পর্কেও বললাম। মোটামুটি শেষ পর্যায়ে তবুও যেন এগুলো আবার ফিরে আসে এজন্যই মূলত ওষুধ নেয়া।

IMG-20240511-WA0007.jpg

তখন ডাক্তার কিছু ওষুধ সাজেস্ট করল, তার সাথে একটা সাবান যেটা আমরা আগে থেকেই ইউজ করি। তারপর কিছু টেস্ট দিল। তিনটা টেস্টে দিয়েছে তার মাঝে ব্লাড টেস্ট টাও ছিল। যাই হোক এরপর ব্লাড নেয়ার জন্য আলাদা একটা রুমে গেলাম । আসলে আমি বরাবরই কিন্তু ইনজেকশন ভয় পাই। যেহেতু ব্লাড নিবে তা ইনজেকশন পুশ করেই তো নেয়া হয়েছে এজন্য আমার খুব বেশি ভয় হচ্ছিল। ছোটবেলায় যখন ইনজেকশন দেয়ার জন্য আঙ্কেল বাড়িতে আসতো তখন আমি দৌড়ে পালিয়ে যেতাম,হাহা।এখন তো আর পালানো সম্ভব নয়।

IMG-20240511-WA0002.jpg
তারপর আবার ফাংগাল টেস্ট করার জন্যও গেলাম। রিপোর্ট ১ সপ্তাহ পর দেখাতে বলেছে। তাই আমরা সেদিন চলে এলাম।ও হ্যা, এই মাত্র ৩টা টেস্টই ৩৩০০ টাকা নিয়ে গেল। ভাবতেই অবাক লাগে মেডিকেল পর্যায়ে মানুষ গেলে কত টাকা যে খরচ হয় তার ইয়ত্তা নেই।পরে আবার ওষুধ নিয়েছি ১সপ্তাহের জন্য।সেখানেও প্রায় ১০০০+ এসেছে।যেহেতু পরে রিপোর্ট দেখাতে হবে তাই বেশি ওষুধ নেয়া হয়নি। আর ২ সপ্তাহ পরে আবারও যেতে হবে। রিপোর্টে অবশ্য এলার্জির পরিমাণ অনেক বেশি এসেছে, তাই আরেকটা ওষুধ এড করে দিল গতকাল। সব মিলিয়ে আগে থেকে ভালোই গিয়েছে ফাংগাল। আশা করি ১মাস কন্টিনিউ করলে চলে যাবে।

এই ছিল সেদিনকার মুহূর্ত। আসলে মেডিকেল পর্যায়ে এই পর্যন্ত যত টাকা গিয়েছে সেটা দিয়ে হয়তো বিশাল কিছু করা যেত।কিন্তু কিছু করার নেই,ছোঁয়াচে রোগের জন্য সবাইকেই ভুগতে হয়। দোয়া করবেন যেন সবাই এই অসুস্থতা থেকে রেহাই পেয়ে যাই।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপু বর্তমান সময়ে ডাক্তারের কাছে গেলে বিভিন্ন প্রকারের টেস্ট হাতে ধরিয়ে দিবে। আর সেই টেস্টগুলো করতে অনেক টাকায় খরচ হয়ে যায়। আর অন্যদিকে রইল আবার ওষুধ, এই ওষুধ কিনতে কিনতে পকেটের টাকায় প্রায় শেষ হয়ে যায়। আমি প্রতিনিয়ত প্রেসারের ওষুধ খাচ্ছি, তাই প্রতিমাসে আমাকে ঔষুধের পেছনে আলাদা একটা টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। কিন্তু কি আর করার আপু, জীবন বাঁচানোর তাগিতে টাকা খরচ করতেই হবে, আবার ওষুধ খেতে হবে। যাইহোক আপু, আপনাদের পরিবারের সকলেই যেন এই এনার্জি থেকে নিরাময় লাভ করেন এই প্রত্যাশা করছি।

ভেবেছিলাম ডাক্তার না দেখিয়ে এমনিতে আমরা যে ওষুধ খাচ্ছিলাম,তাতেই সেরে যাবে।কিন্তু টেস্ট করার পর বলল এলার্জি অনেক বেশি সাথে এটা ভিন্ন জাতের। এজন্যই হাই ডোজের ওষুধ খেতে হচ্ছে।

আপনার মত আমারও ইনজেকশন দেখলে অনেক ভয় লাগে আপু। আপনার এলার্জির সমস্যা পোষ্ট পড়ে জানতে পারলাম। এলার্জি তো অনেক ধরনের আপু বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের হয় তবে ডক্টর আপনাকে আলাদা ভাবে একটি সাবান ইউজ করতে বলেছে। তবে এটা আপনি ঠিকই বলেছেন মেডিকেল হাসপাতাল গুলোতে একটু বেশি টাকা লাগে। আপনারা আবারও দুই সপ্তাহ পরে যাবেন আশা করছি এবার আরো ভালো রিপোর্ট আসবে। আপনার সুস্থতা কামনা করি ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন আপু বিভিন্ন ধরনের হওয়ার কারণে মূলত একই টাইপের ওষুধগুলো খেলেও কাজ করে না।

এখন তো দেখছি অনেকেরই ফাঙ্গাল ইনফেকশন হচ্ছে আপু। তবে আপু ফাংগাল ইনফেকশন এর পিছনে ওষুধ কিনতে কিনতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মত খরচ হয়ে গেছে, সেটা তো অনেক চাপের ব্যাপার! তবে যেহেতু নতুন করে ডাক্তার দেখিয়েছেন এবং বলছেন যে আগের থেকে কিছুটা ভালো হয়েছে, তার মানে আশা করা যায় খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। তবে এটি যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ, এজন্য একটু সাবধান থাকবেন।

জি ভাইয়া অনেক টাকা কিন্তু ফাঙ্গালের পেছনেই খরচ করা হয়েছে। এইতো এখনো ওষুধ চলছে। ডেইলি প্রায় আড়াইশো টাকার ওষুধ খেতে হয়। আগে আরও বেশি যেতো প্রতিদিন। এখন কিছুটা কমার কারণে ওষুধ কিছুটা কমেছে। কিছু করার নেই এর থেকে রেহাই পেতে হলে খরচ তো করতেই হবে।

ডেইলি প্রায় আড়াইশো টাকার ওষুধ খেতে হয়।

অনেক খরচ তো আপু তাহলে! যাইহোক, কি আর করা যাবে , ওষুধ চালিয়ে যান যত দিন না পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হতে পারছেন।