♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে খুব ছোট্ট একটা ঘটনা যেটা কিছুটা ভৌতিক সেটা শেয়ার করব। আসলে এসব ঘটনা সব সময় না ঘটলেও মাঝে মধ্যেই ঘটে যা অনেকটাই চিন্তার বিষয়। তবে আজকের যে বিষয়টি আমি শেয়ার করব তা কিছুটা আতঙ্ক নিয়ে অর্থাৎ ভৌতিক বলা যেতে পারে। যাই হোক আমাদের মানব জাতির সাথে মহান আল্লাহতালা জ্বীন জাতিকেও সৃষ্টি করেছেন। জ্বীন জাতি এবং মানবজাতি সবাই এই পৃথিবীতে বসবাস করে।ঘটনাটি প্রায় বছর দুয়েক আগের ঘটনা। যেটা আমার মামা আর খালামনিরা সকলে উপলব্ধি করতে পেরেছিল। তবে এর সত্যতা কতটুকু তারা নিজেরাও কখনো যাচাই করে নি। কিন্তু এরকম একটা পরিস্থিতিতে পড়ে ছিল যেটা আমার সাথে শেয়ার করেছিল। আসলে এরকম ঘটনা গুলো শুনলে নিজের কাছে কেমন ভয় অনুভূত হয়। তা যাই হোক ঘটনাটি শুরু করা যাক।
আমার নানুর বাড়ি তিন তলা বিশিষ্ট। কিন্তু মানুষজন তেমন নেই। শুধুমাত্র আমার মেঝো মামা, মামনি, মামাতো ভাই-বোন দুজন,নানা,
নানু আর আন্টি ছিল। যাইহোক মোটে তারা সাত আটজন ছিল। এত বড় বাড়িতে তিনটি রুমেই থাকত। আমার নানুদের ঘরের সামনের দিকে একটা গলির অংশ হিসেবে ভেতরের দিকে আলাদা একটা গলির অংশ রয়েছে। টোটালি সামনের অংশ আর পিছনের অংশ মাঝখানে একটা লম্বা গলিতে এই অবস্থায় রয়েছে। তবে সেখানে ফ্লোরের কিছুটা অংশ ফাটল ধরেছে তাই মামা ফ্লোরমেট কিনে নিয়ে এসেছিল ফ্লোরে দেয়ার জন্য। তখন রাত প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিল।
মামা ভাবলো যে এখন তো রাত ১১ টা বাজে মাত্র তাই কাজটা সেরে ফেলি নগদে। কারণ সকালবেলা মামার আবার স্কুলে যেতে হবে। সে হিসেবে মামা এবং আন্টিরা মিলে কাজে লেগে পড়লো। যেহেতু অনেক লম্বা গলি সেই হিসেবে পুরোটাতে লাগাতে লাগাতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল। প্রায় তখন ১টা বাজতে চলল। কাজ তো প্রায় শেষের দিকে। ততক্ষণে ছোট মামাতো ভাই বোনরা ঘুমিয়ে পড়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই উপর থেকে অনেক মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে এবং সেখানে চেয়ার টেবিল বা খাট এগুলো জোরে জোরে ফেলে দিচ্ছে এরকম আওয়াজ আসছিল।প্রথমত মামা ভেবেছিল বাইরে হয়তো কোথাও আওয়াজ হচ্ছিল। কিন্তু অনেকক্ষণ যাবৎ এই আওয়াজ হচ্ছে এবং সবার কানেই আসছিল। তখন সবাই কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে গেল।
তারপর সবাই বলছে সেখানে হয়তোবা বিড়াল এসেছে তাই এরকম আওয়াজ হচ্ছে। কিন্তু সবার মনে ভয় কাজ করছে।উপর দিয়ে সবাই বিড়ালের কথাই ভাবছে কিন্তু পরক্ষণে যখন আওয়াজের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেল এবং মনে হচ্ছিল অনেকগুলো মানুষ এখানে দৌড়াদৌড়ি করছে। আর অনেক জোরে জোরে আওয়াজ হচ্ছে যেন ছাদ ভেঙে পড়বে। এমন আওয়াজ কখনো হয়নি, সেদিনই হয়েছিল। কেন সেটা কেউই জানেনা। নিজেদের মনের মধ্যে ভয় রেখে সবাই যে যার মত ঘুমোতে চলে গেল। যখন সবাই রুমে চলে গেল, তারপর থেকে আর একবারও কোনরকম আওয়াজ হয়নি। সবকিছুই যেন স্বাভাবিক হয়ে গেল। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পূর্বে যখন তারা কাজ করছিল ততক্ষণ দোতলার কর্নার এর একটা রুমে এরকম আওয়াজগুলো হচ্ছিল।
যাইহোক তখন নাকি সবাই নিজেদের মতো করে কোন রকমে ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে দিল। তারপর দিন সকালবেলা মামা এবং নানা মিলে ছাদের দোতলার রুমটিতে গেলো। কিন্তু সেখানে সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। সেখানে কিছুই ছিল না। যেহেতু মানুষজন সবাই নিচে থাকে সে হিসেবে উপরের ঐ রুমগুলোতে কোনরকম থাকার মত ব্যবস্থা ছিলনা। খাট, টেবিল, চেয়ার কোন কিছুই ছিল না। কিন্তু রাত্রে সেই অস্বাভাবিক ব্যাপারটা সেদিন ঘটেছিল। তবে এখনো পর্যন্ত আর কখনো ঘটেনি, পূর্বেও ঘটেনি। যাই হোক এই ঘটনাটা অস্বাভাবিক এবং আতঙ্কের ছিল। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যায়। তবে এখনো পর্যন্ত সেদিন কি হয়েছিল সেটার হদিস খুঁজে পাওয়া যায়নি বা কেউ চেষ্টাও করেনি।
কারণ এটা গুজব হোক বা সত্য কথা যে কিছু কিছু জায়গায় যখন মানুষের বসবাস একদম থাকে না তখন নাকি সেখানে জ্বীনেরা বাসা বাঁধে। আসলে সেদিন কি কোন জ্বীনের কান্ড নাকি অন্য কিছু ছিল সেটার সত্যতা জানা হয়নি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | বাস্তবিক গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সব সময় সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরেহ এতো দেখি পুরাই হরর ফিল্মের মত কাণ্ড।
হ্যা এটা সত্যি যদি আপনি জ্বীন বিশ্বাস করে থাকেন। আর আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক প্যারানরমাল ঘটনাই ঘটে হয়তো আমরা খেয়াল করি না এই আরকি।😁
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভাইয়া ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার নানুবাড়ির রাতের বেলা অস্বাভাবিক ঘটনাটি পড়ে কিছুটা ভয় পেলাম। তবে আপনার মামা তো এর আগে এত রাত পর্যন্ত কাজ করে নাই। তাই আগে বা পরে এমন আওয়াজ শুনে নাই। যায়হোক সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ভাল থাকবেন ্।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষ সৃষ্টি করার আগে সৃষ্টিকর্তা নাকি জিন সৃষ্টি করেছেন দুনিয়াতে। তাহলে জিন তো আছে সেটা বাস্তব সত্য কথা। আপনি ঠিক বলছেন এই ধরনের চলাফেরা থাকে না এমন জায়গায় জিনদের বসবাস হয়। যতটুকু সম্ভব পারলে ঘরের মধ্যে লাইট এবং আসা-যাওয়া থাকলে ভালো হয়। অনেক ভয়ংকর একটি রাত ছিল সেই দিন পড়ে তো আমার অনেক ভয় লাগছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর ও সাবলীল মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু ্ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit