মজাদার স্বাদে বেগুন ভর্তার রেসিপি।

in hive-129948 •  2 years ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকের এই মুহূর্তে আমি আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করার জন্য এসেছি।আজকের রেসিপিটি হলো বেগুন ভর্তার রেসিপি।

IMG_20230105_112253.jpg

গতকাল আমাদের বাসায় মেহমান এসেছিল। আর যেহেতু মেহমানের জন্য বিভিন্ন রকম আইটেম তৈরি করতে হবে। আর এর মধ্যে আমি রেসিপি হিসেবে রাখলাম বেগুন ভর্তা। যদিও আরও দুটি রেসিপি আমি করেছি। তবে সেগুলো আমি আপনাদের সাথে পরবর্তীতেই শেয়ার করব। আজকের রেসিপি হল বেগুন ভর্তা রেসিপি।বেগুন খেতে অনেকেই পছন্দ করে। বেগুন এমন একটি সবজি যা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় কখনো ভর্তা করে, কখনো বেগুন ভাজা, করে কখনো রান্না করে তৈরি করা যায়।এছাড়াও বেগুন দিয়ে নানা রকম নাস্তার আইটেম তৈরি করা যায়।তবে অনেকে অনেক রকম ভাবে ভর্তা তৈরি করে।কেউ বেগুন পোড়া দিয়ে ভর্তা করে,আবার কেউ ভেজে ভর্তা করে।আর আমি শুকনোভাবে ভেজে ভর্তা করি।কারণ গোটা বেগুন পোড়া দিলে কিছুটা নরম ভর্তা হয়।আবার বেগুনের ভেতরে পোকা থাকার সম্ভাবনা থাকে।তাই আমি এভাবেই করি।

যাইহোক কথা আর না বাড়িয়ে চলুন শুরু করে ফেলি আজকের বেগুন ভর্তার রেসিপি।

বেগুন ভর্তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ

1672895988496.jpg

উপকরণ
পরিমাণ
বেগুন২টি
শুকনো মরিচ৭/৮টি
পেঁয়াজ কুচি২টি
লবণ১ চা চামচ
সরিষার তেল২ টেবিল চামচ

প্রথম ধাপ

প্রথমে বেগুনগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে গোল করে পাতলা পাতলা স্লাইস করে কেটে নিয়েছি।

20230104_091139.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে দিলাম। শুকনো তাওয়া কিছুটা গরম হয়ে এলে এর মধ্যে এই স্লাইস করা বেগুনগুলো দিয়ে দিলাম। এক পিঠ হলে অপর পিঠ ভালোভাবে ভেজে নিয়ে নামিয়ে নিলাম। এভাবে সবগুলোই করে নিলাম।

20230104_091143.jpg20230104_122505.jpg

তৃতীয় ধাপ

শুকনো মরিচ গুলোকেও শুকনোভাবেই ভেজে নিলাম। তারপর পেঁয়াজ কুচি গুলোকে ভালোভাবে হাত দিয়ে কচলে নিয়ে শুকনো মরিচ গুলোকেও ছোট ছোট গুঁড়ো করে নিলাম। আর এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে শুকনো মরিচ আর পেঁয়াজ একসাথে ভালোভাবে মেখে নিলাম।

20230104_122458.jpg20230104_123558.jpg

20230104_123913.jpg

চতুর্থ ধাপ

ভাজা বেগুনগুলোর কিনারার খোসা ফেলে দিলাম। তারপর এগুলোকে হাত দিয়ে মেখে ভর্তার মত করে নিলাম।

20230104_123601.jpg20230104_123733.jpg

পঞ্চম ধাপ

এইভাবে ভর্তা করে রাখা বেগুনের মধ্যে সেই পেঁয়াজ আর শুকনো মরিচের মাখা দিয়ে আবার ভালোভাবে মাখতে থাকলাম।তারপর দুই টেবিল চামচ পরিমাণ সরষের তেল দেয়ার পর আবার ভালোভাবে মেখে নিলাম।

20230104_123930.jpg20230104_124045.jpg

20230104_124155.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

শেষ পর্যায়ে আমি ধনেপাতা কুচি দিয়ে আবার মেখে নিয়ে একটি বাটিতে পরিবেশন করে নিলাম।
20230104_124228.jpg

তৈরি হয়ে গেল মজাদার বেগুন ভর্তা। আর এই ভর্তা দিয়ে এমনিতেই পেট ভরে ভাত খাওয়া যাবে। গরম ভাতের সাথে এই বেগুন ভর্তা খেতে অসাধারণ লাগে।
20230104_135827.jpg

20230104_135831.jpg

20230104_135835.jpg

আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার আজকের এই রেসিপিটি। আপনাদের মতামত জানতে চাই।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার খুব এলার্জি তারপরেও আমি বেগুন ভর্তা খুব পছন্দ করি, আর বাসায় করে খেয়েও নেই।😋 মজার সব খাবারে এলার্জি কেমন লাগে বলেন? 😂 আপনার ভর্তা করা দেখে এখনই বেগুন ভর্তা করতে মন চাইছে। দারুন লোভনীয় হয়েছে। ঝাল ঝাল ভর্তা খুব পছন্দ করি। মজার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ আপু এলার্জি সমস্যার কারণে অনেকে এসব খেতে পারে না। আর আমার এলার্জি না থাকা সত্ত্বেও আমি খাই না, তবে বেগুন ভর্তা ভালো লাগে।

বেগুন এমন একটি সবজি যাকে যেমন খুশি তেমন সাজানো যায়। চাইলে একে নিয়ে কোন প্রতিযোগিতা করতে পারেন। বেগুন ভর্তা দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আজকে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপু।

ঠিকই বলেছেন আপু, বেগুন দিয়ে অনেক কিছুই তৈরি করা যায়। আর খেতেও ভালো লাগে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেস্ট লাগে ভর্তা।

সত্যি আপু বেগুন দিয়ে অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করা যায়। বেগুন ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি বেগুনের ভর্তা খেতেও কিন্তু ভালো লাগে। এভাবে ভর্তা করে সকালবেলায় গরম ভাতের সাথে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা এই ভর্তা রেসিপি দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে।

সকালবেলা না হলেও দুপুর বেলা গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেয়েছিলাম। আর আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে, এভাবে তৈরি করলে।

বেগুনে আমার এলার্জি রয়েছে। তবে বেগুন ভর্তা খেতে যা দারুন লাগে। মাঝে মাঝে তো আমি বেগুন ভাজি ও ভর্তা খাওয়ার জন্য সাথে এলার্জি ওষুধ নিয়ে ঘুরি। আগে খাওয়া তারপর বাকি সব। যদিও পরে ভুগতে হয়। তবে স্বাদ বড় জিনিশ। এসব এলার্জি আমাকে আটকাতে পারবেনা।

অনেককেই দেখলাম যাদের বেগুনে এলার্জি তারা বেগুন খেতে পছন্দ করে। তার মধ্যে আপনি একজন 🤭🤣🤣।যাই হোক আমার কাছেও ভর্তা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।

বেগুনে আমার এলার্জি থাকায় তা খুব একটা বেশি খাওয়া হয়না।তরকারিতে দিলেও বেছে ফেলে দিতে হয়।
বাসাতে ভর্তা করলে সচারাচর রাইসকুকারে ভাত রান্নার সময় তার উপরেই রাখে, আপনার পদ্ধতিটাও ভালো লাগলো।
শুভ কামনা রইলো, বাকি পদগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।

বেগুনে আমার এলার্জি নেই। কিন্তু রান্না করলে তেমন বেগুন খাওয়া হয় না। তবে ভর্তা করলে মাস্ট খাই, ভালো লাগে খুব।

মেহমানদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবারের আইটেম করেছেন শুনে ভালো লাগলো। তাছাড়া যে কোনো ধরনের ভর্তা রেসিপি আমার খুবই ফেভারিট। বিশেষ করে একটু ঝাল বেশি দিয়ে এইভাবে ভর্তা করলে খেতে অনেক মজা লাগে। দারুন ছিল আপনার বেগুন ভর্তা রেসিপি।

মেহমান আসলে তো অবশ্যই করতে হবে। আর অনেকগুলো আইটেমের মধ্যে তিনটি রেসিপি আমি তৈরি করেছিলাম, সেগুলো শেয়ার করব।

ভর্তা এমন একটা জিনিস যা গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে খুব মজা লাগে। যেকোনো কিছুর ভর্তা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। বেগুন ভর্তা হলে তো কথাই নেই। অনেকভাবে বেগুন ভর্তা করা যায়। আগুনে পুড়িয়ে বা তেলে ভেজে অথবা ভাতের উপর দিয়ে যেকোনোভাবে ভর্তা করলে খেতে মজা হয়। যদিও এক একটার স্বাদ একেক রকম হয়।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আর আমার কাছে তো বেগুন ভর্তা খেতে অসাধারণ লাগে। অন্যান্য ভর্তাগুলোও বেশ ভালো লাগে খেতে।

শীতকাল মানে হচ্ছে মজার মজার সবজি এবং খাবারের উৎসব।শীতকাল আসলে বেগুন ভর্তা না খেলে কি হয়?আমার তো বেশ ভালো লাগে তবে এলার্জি থাকলে ও সেই বিষয় পরে আগে রিলাক্সে খেয়ে পরে দেখা যাবে।যেভাবে বেগুন ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছে লোভ লাগার মত।ধন্যবাদ শীতকালীন একটি বেগুন ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ঠিকই বলেছেন আপু, আগে খাওয়া-দাওয়া তারপর রোগের চিন্তা🤭। যাইহোক শীতকাল হচ্ছে খাওয়া দাওয়ার সময় ইচ্ছে মতো খাবেন।

প্রথমত শুকনা মরিচের ভর্তা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর শেষ পর্যায়ে ধনেপাতা কুচি গুলো যুক্ত করায় আরো মজা লাগবে। সত্যি বলতে আপু দেখে গরম ভাতের সাথে খেতে ইচ্ছে করছে।

শুকনো মরিচ দিয়ে ভর্তা না করলে যেন ভর্তার মজাই আসে না। তবে বেগুনের মধ্যে অবশ্যই শুকনো মরিচ, ধনে পাতা দিলে বেশি ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

বোগুন ভর্তা আমার তেমন একটা পছন্দ নয়। তারপরও মাঝেমধ্যে মেসে খেতে হয়।বেগুন আমার কোন এলার্জি নাই। তবে বেগুন ভাজি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। অনেকে বেগুন খান্না এলার্জি সমস্যার জন্য তবে বেগুন যদি মাছ রান্নার মধ্যে দেওয়া হয় অনেক টেস্ট হয়। আপনার বেগুন ভর্তা রেসিপিটা বেশ সুন্দর ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

বেগুন এর অন্যান্য রেসিপি থেকে ভর্তাটাই বেশি ভালো লাগে আমার। আর আপনার কাছে ভাজি খেতে ভালো লাগে,ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।