♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
২৪মার্চ ২০১৯ এ আমার ভাগ্নের জন্ম হয়। সেই সময় আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম।আর আমার ভাগ্নের জন্ম হয় রাতের বেলা,তাই পরদিন সকালে প্রাইভেট পড়েই চলে গেলাম হসপিটালে।আমাদের কলেজ দাগনভূঞাতেই,আর ভাগ্নের জন্মও হয়েছে হসপিটালে। সেদিন সকাল বেলা প্রাইভেট শেষ হতে না হতেই চলে গেলাম সেখানে। আসলে আমার কাজিনদের মধ্যে সেই ছিল খুব আদরের।অন্যদের সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকায় এই ভাগ্নেটাই সবার আদরের বলা যায়।
আমার বিয়ের পর সে আমার শ্বশুরবাড়িতেই ছিল প্রায় অনেক দিন।আর আমাদের বিয়ের আগেও যখন আসা হতো তখন সে আমায় ছাড়া কিছু বুঝতোই না।প্রায় প্রতিদিন যখন মনে উঠতো তখনই সে আমার সাথে কথা বলতো।আর ওকে আমি বেবি বলে ডাকতাম,তখন সেও আমায় বেবি বলে ডাকতো,আর এখন বড় মামনি বলতে বলতেই অভ্যস্ত।যাইহোক সেই আদরের ভাগ্নের জন্মদিন ছিল গতকাল।
বিভিন্ন কারণে তাদের বাড়িতে যাওয়া হয়নি অনেকদিন। কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিল এবার ওর জন্মদিনে ওকে বাড়িতে নিয়ে এসে ওর জন্য নিজ হাতে কেক বানাবো আরও কিছু আয়োজন করবো।কিন্তু নিভৃত এখন এত বিরক্ত করে যে কোনো কাজ ঠিকমত করতে পারি না।এইতো হাতে কন্টেস্ট এর জন্য রেসিপি করতে হবে সেই সময়ও পাচ্ছি না।তাই ভাবলাম এবার না হয় বাজার থেকে কিনে নেব।সেও যেহেতু আসতে পারে নি তাই আমরা কেক আর গিফট নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে সারপ্রাইজ দেব।
আমি কিন্তু প্রায় ১ মাস আগেই নিভৃতের আব্বুকে বলে রেখেছিলাম যদ আরফান মানে ভাগ্নের জন্য সারপ্রাইজ কিছু করবো।কিন্তু সবদিকে সামলাতে গিয়ে সময় কিভাবে পার হয়ে গেল বুঝলামই না।তারপর হঠাৎ ২৩ তারিখ রাত ৯টায় আমার মনে পড়ল আজ কয় তারিখ। তখন আমার হাজব্যন্ডকে বলতেই সে বলল আজ তো ২৩ তারিখ।তখন আমি বললাম সময় কিভাবে গেল,২৪ তারিখ না আরফানের জন্মদিন। তখন সে বললো তাই তো।
এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু কেক বাসায় বানানো সম্ভব না তাই বাজার থেকে কিনে নেব। আর ওর জন্য জামাকাপড় আর কিছু গিফটও কিনে নিয়ে ওদের বাড়িতে চলে যাব।আমরা এই সিদ্ধান্তে ছিলাম।তারপর আবার আমার দেবরকেও বলেছে আরফানের জন্মদিনের কথা।তখন তিনিও যাবে বলেছিল।এজন্যই আমরা ৩জন প্রস্তুত হয়ে গেলাম পরদিনের জন্য।তারপর তো ২৪ তারিখ বিকেলে আমরা বাজারে চলে গেলাম।
প্রথমত গেলাম কিছু খেলনা গিফট কিনতে। এরপর চলে গেলাম গ্র্যান্ড সুইটস থেকে কেক নিতে। তখন সেখানে দেখতে পাই কিছু রেডিমেট কেক বানানো আছে। যেহেতু রমজানের দিন তাই বিভিন্ন জায়গায় না ঘুরে সেখান থেকেই দুই পাউন্ডের চকলেট কেক নিয়ে নিলাম। কারণ আরফান আবার চকলেট কেক অনেক পছন্দ করে। যাইহোক কিনতে গিয়ে দেখতে পাই প্রতি পাউন্ডের দাম ৪০০ টাকা করে যদিও এর আগে আরো বেশি ছিল হয়তো রমজানে উপলক্ষে রেট কিছুটা কম।
এরপর চলে গেলাম শপিংমলে আরফানের জন্য জামা ও প্যান্ট কিনতে। ইফতারের আগেই জামা প্যান্ট কিনে নিয়েছি এবং কেনার পরে যখন ইফতারের সময় হচ্ছে তখন ফুফাতো ননদের বাসায় গিয়ে উঠি। যেহেতু ননদের বাসা একদম বাজারের পাশেই। তাই ইফতার করার জন্য সেখানে উঠলাম আমরা। আমরা যাওয়ার দুই মিনিট পরেই মাগরিবের আজান দিয়ে দেয়। যার কারণে কিছু নেয়ার ইচ্ছা থাকলেও নিতে পারেনি।
যাইহোক ফুফাতো বোনের ইফতার আইটেমে বেশ কিছু খাবার দেখতে পেলাম। যদিও আমরা হঠাৎ করে গিয়েছি কিন্তু তার খাবার আয়োজনে কোন স্বল্পতা ছিল না। লাচ্ছি বিভিন্ন আইটেমের ফল,ছোলা বুট, বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, কাঁচা ছোলা মাখা সবগুলোই ছিল ইফতারে। সর্বোপরি সবাই মিলে অনেক আনন্দে ইফতার করে নিলাম। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ সময় ব্যয় করলাম এবং সেখান থেকে কফি খেয়ে বের হয়ে গেলাম ননদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য।মানে আরফানদের বাড়িতে।
আজ এই পর্যন্তই, কারণ পুরোটা শেয়ার করতে গেলে পোস্ট অনেক লম্বা হয়ে যাবে।এমনিতেও মনে হচ্ছে অনেক বড় হয়ে গেল।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাগ্না ভাগ্নিরা আসলেই খালামনিদের অনেক আদরের হয়। আপনি আপনার ভাগ্নার সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। তার পছন্দের অনেক জিনিসই কিনেছেন। আশা করি আপনার ভাগ্নে অনেক অনেক খুশি হবে।যদ আরফানের জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে হঠাৎ করে আগের দিন রাতে মনে পড়েছে তার বার্থডের কথা। ইচ্ছা ছিল কেক নিজের হাতেই বানাবো কিন্তু সময় ছিল না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভালো লাগলো প্রিয় ভাগ্নেকে হঠাৎ করে এভাবে সারপ্রাইজ করবেন। কেক কিনে নিয়ে তার জন্মদিন পালন করা এই অনুভূতিটাই অন্যরকম তার জন্য । অনেক বছর বেঁচে থাকুক আপনাদের সামনে হাসিমুখে জীবন যাপন করুক সেটাই কামনা করি। প্রথম পর্বে তার জন্মের কথা জানতে পেরে ভালো লাগলো। হসপিটালে গিয়ে দেখেছিলেন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরফানের জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য কেনাকাটা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। কেকটা খুবই সুন্দর হয়েছে। ব্যস্ততার মাঝেও ওকে সারপ্রাইজ দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। বেশ কিছু কেনাকাটা করেছেন দেখছি। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু হঠাৎ করেই তো এই ছোট্ট আয়োজনটা করলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাও তো আপনার আগের দিন মনে পরেছে আমার তো মনেই থাকে কাউকে কোন গিফট দিতে হা হা।যাই হোক আপনি আপনার ভাগ্নের জন্য কেনাকাটা করে সারপ্রাইজ দিতে পেরেছেন এটাই বড় কথা।চকলেট কেক আমারও বেশ ভালো লাগে।কেকের ছবিটা দেখে বেশ লোভ লাগছে। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মনে থাকবে কেমনে আপনি আছেন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হাহাহা। যার শুধু নিজের চিন্তা তার অন্য কারো চিন্তা হয় নাকি🥴 যাইহোক মজা করলাম আপু 🤗।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমে কিছু খেলনা গিফট কিনে তারপর দুই পাউন্ডের চকলেট কিনেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। তারপরেও অনেক কিছু কেনাকাটা করছেন। সব মিলিয়ে আপনার ভাগ্নের জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য কেনাকাটার প্রথম পর্ব বেশ ভালো লাগলো। আশা করছি পরবর্তী আরো সুন্দর হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু টুকটাক যা পেরেছি তাই করেছি তাও আবার আসার সময় বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলাম কিছুটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রমজানের কারণে কেকটা ভালো পাইনি।তবে আরফানকে জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য তোমার এই আয়োজন তাদের সবাইকে আনন্দ দিয়েছে।যাক ভালো একটা সময় কাটালাম সেদিন।ধন্যবাদ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি আর করার নিজে বানালে হয়তো ভালো হতো। যাই হোক অন্তত তাকে খুশি করতে পেরেছি এটাই তো সবচেয়ে বড় বিষয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit