প্রিয় সামশুন্নাহার আপুর সাথে কাটানো মূহুর্তগুলো।পর্ব-১

in hive-129948 •  8 days ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

20250126_101209.jpg

আজকে আপনাদের মাঝে বিশেষ একটা মুহুর্ত শেয়ার করব। আসলে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে গত দুবার আমাদের সকলের পরিচিত এবং প্রিয় মুখ @samhunnahar আপুর সাথে দেখা হয়। বলতে গেলে গত বছরই শুরুর দিকে এবং শেষের দিকটায় দুইবারই দেখা হয়েছে আপুর সাথে। আর আজকে সেই বিশেষ এবং আনন্দঘন মুহূর্ত টাই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

20241028_182810.jpg

দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়ার পর বিকেলে আমার রেস্ট নিয়ে বের হলাম সুগন্ধা পয়েন্টের দিকে। আমাদের বাসা যেহেতু সুগন্ধা পয়েন্টের কাছাকাছি ছিল তাই আমরা হেটে হেটেই গিয়েছিলাম।রাস্তার পাশে থেকে কিছু পেঁয়াজু খেলাম। পেঁয়াজুগুলো খেতে অসম্ভব মজা লেগেছিল আমার কাছে। শুকনো মরিচ দিয়ে পেঁয়াজুগুলো সার্ভ করেছিল আর এগুলো খেতেও ভীষণ সুস্বাদু লেগেছিল। এগুলো খাওয়ার পর আমরা চলে গেলাম বীচের পাড়ে। আর সেখানে গিয়ে আপুকে কল দিলাম আপু কোথায় আছে।

20241028_190603.jpg

20241028_192325.jpg

তারপর আপু বলল আপু পথে আছে, আসতেছে মেয়েদেরকে নিয়ে। কিন্তু ভাইয়া তখন অফিস থেকে ফিরেনি এই জন্য ভাইয়ার সাথে আর দেখা হয়ে ওঠেনি। এদিকে আমরা ঘোরাঘুরি করছিলাম আর আনারকলি ফল দেখছিলাম। কয়েকটা আনারকলি ফল কিনেছি। কারণ আমার সাথে যে ভাবি গিয়েছিল তিনি খুবই পছন্দ করেছিল আনারকলি ফলগুলো। যাই হোক ছয়টা করে বারোটা ফল আমরা সেখান থেকে ২০০ টাকা করে ৪০০ টাকা দিয়ে নিয়েছিলাম।

20241028_191410.jpg

20241028_191446.jpg

তারপর কিছুক্ষণ এদিক ঘুরাঘুরি করতেই আপু কল দিলো যে উনি বিচে চলে এসেছেন। আর তখনই আমরা উনাকে দেখতে পেলাম এবং বিচের পাড়ে দাড়িয়ে বেশ অনেক্ষণ কথা বললাম। তারপর বিচের পাড়ে থেকে ফুচকা খাওয়ার জন্য চলে গেলাম। এদিকে রাঈদা এবং আদিলা দুজনেই বেশ খুশি আমাদের সাথে আবারো দেখা করতে পেরে।নিভৃতকে তো তাদের ভাই বানিয়ে নিয়েছে। আর এজন্যই মূলত নিভৃতের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত তারা তৈরি করে ফেলেছিল।

20241028_192506.jpg

সেখানে বসে অনেক সময় কাটালাম। ফুচকা খুব বেশি একটা ভালো লাগেনি তাই বাইরে আবার চলে এলাম। এদিকে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে আবার চলে গেলাম আরেকটা রেস্টুরেন্টে।সেখানেও বেশ অনেকটা মুহূর্ত কাটিয়েছি। আর অনেকগুলো ছবি তুলেছি। সেটা না হয় অন্য কোন পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আজকের মত ছোট মুহূর্তগুলো এখানে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। আসলে আপুর সাথে দেখা না করলে হয়তো বুঝতামই না আপু ভাইয়া দুজনেই কতটা ভালো মনের মানুষ। তারা যেন আমাদের রক্তের চেয়েও আপন হয়ে গিয়েছে।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

প্রিয় শামসুন্নাহার আপুর সাথে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে দেখা করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনারা। আপু আর ওনার দুই মেয়ের সাথে বিকেলে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলা দেখে খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তীতে আরো কিছু ঘোরাঘুরির পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

আপুর সাথে কাটানো সময়গুলো বেশ আনন্দের ছিল।

Screenshot_20250126-114653_Chrome.jpg

Screenshot_20250126-114617_Chrome.jpg

বুঝাই যাচেছ যে আমাদের প্রিয় আপুর সাথে আপনারা বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আসলে এখানে কাজ করতে করতে আমরা সবাই কিন্তু একে অপরের বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আর এমন একজন প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করার মূহূর্তটুকু বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

জি আপু একদম ঠিক কথা বলেছেন। আপুর সাথে দুবার দেখা করেছি,খুবই ভালো লেগেছিল।

আমাদের প্রিয় শামসুন্নাহার আপুর সঙ্গে দেখা করে একটি সুন্দর সময় দুজনে মিলে অতিক্রান্ত করেছেন। কখনো কক্সবাজারে গেলে আমারও ইচ্ছা আছে আপুর সঙ্গে দেখা করার। এর আগে যখন গেছিলাম তখন আপুর সঙ্গে পরিচিতি ছিল না। আপনাদের দুজনের দেখা হওয়ার সময়টুকু দারুন সুন্দর করে আপনি পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এই পোস্ট পড়তে পড়তে আমিও যেন আপনাদের আড্ডার একজন হয়ে উঠেছিলাম।

প্রথমবার পরিচিত ছিলাম না, তখন দেখা হয়নি।কিন্তু পরের দু বার দেখা করেছি আপুর সাথে।

শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করতে গিয়ে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সবাইকে ছবিতে দেখে ভালো লাগলো। ফুচকা গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। কক্সবাজারে আনারকলি ফলগুলো অনেক পাওয়া যায়। আমার এগুলো কখনো খাওয়া হয়নি। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আনারকলি ফল পাকাগুলো খেতে মজা।

গত বছর কক্সবাজার গিয়েছিলাম ঘুরতে আপুর সাথে দেখা করেছিলাম। আসলে এই প্লাটফর্মে কাজ করার পাশাপাশি অনেক মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। সবাইকে একসঙ্গে দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত ছিল এটা।

আপু সেদিন অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সবাই মিলে। যদিও আমি শারীরিক এবং মানসিকভাবে তেমন সুস্থ ছিলাম না। কিন্তু বাচ্চাদেরকে নিয়ে সময়টা আমার ভীষণ ভালো লাগছিল। এখনো যখন ফোনের গ্যালারিতে প্রবেশ করি সেই ছবিগুলো দেখলে স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। আপনি আজকে খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিত লিখে শেয়ার করলেন। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

হ্যাঁ আপু আপনার শারীরিক সমস্যা কারণেই তো খুব বেশিক্ষণ থাকতেও পারিনি। খুব ভালো লেগেছিল সে অল্প সময়টাও।