আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

চট্টগ্রামে যাওয়ার পর আমার মামনি বলল যে জাম্বুরী পার্কটা এখান থেকে কাছেই আছে, গিয়ে ঘুরে আসতে পারিস। আর তখন ভাবলাম যেহেতু কাছে আর আমাদের কাছে মোটামুটি সময়ও আছে বিকেল থেকে সন্ধ্যা অব্দি। তাই রেডি হয়ে নিলাম বেরোনোর জন্য। যদিও মামনিকে বলেছিলাম আমাদের সাথে যেতে। কিন্তু তিনি বললেন আমরা কিছুদিন আগেই গিয়েছি, এখন তোরা গিয়ে ঘুরে আয়।

যদিও এর আগে আমি আরও একবার সেখানে গিয়েছিলাম ২বছর আগে।আর এখন তো আরও কিছু এড করে পার্কটা সুন্দর করে সাজিয়েছে। সেখানে দেখলাম বেশিরভাগ মানুষ হাটাহাটি করে ব্যায়াম হিসেবে।যাইহোক পার্কটা কিন্তু সিম্পল হলেও সুন্দর সময় কাটানোর মত জায়গা।বসার স্থান আছে অনেক জায়গায়। এই পার্কের মূল আকর্ষণ এবার দেখেছি ফুল।কারণ চারদিকে রঙ-বেরঙের ফুলগাছ লাগানো।আর সবাই সেখানে ফটোশুট করছে। আমরাও অনেক ফটোগ্রাফি করেছি।

যাইহোক, একটু পিছনে যাই মজার বিষয়ে। মানে যখন আমরা বাসা থেকে বের হই তখন আমরা ৪জন ২টো রিক্সা নিলাম।আমার ভাই বোন দুজন এক রিক্সায় এবং তারা আমাদের আগে পোঁছায়।কিন্তু তাদের নামানো হয়েছে ৩ নাম্বার গেইটে। আর আমরা পরে গিয়ে ১নাম্বার গেইটে নামি।যাইহোক তাদের দূর থেকে দেখতে পেয়েছি আর ফোনকলে কথা হচ্ছে। ডিরেকশন অনুযায়ী আসছে ঠিকই কিন্তু ৩ থেকে ৪ এবং তারপর ৫ সবগুলো গেইটের সামনের রাস্তা ঘুরে আসতে হলো তাদেরকে।এদিকে আমাদের দূরত্ব শুধুমাত্র মাঝের লেকটা ছিল।কিন্তু অনেক দূর হয়েছে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আসার কারণে।

এদিকে নিভৃত তো মহা খুশি। তাকে কি আর ধরে রাখা যায়! সে রোডের বিটের উপরে একা একা হাটবে। কারো হাত ধরবে না সে,একা একাই তার ভালো লাগছে। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই সে হাটাহাটি করলো।আর এদিকে আমরা সবাই অনেক ছবি তুলেছি। সবাই মিলে যাওয়াতে আনন্দটা একটু বেশিই হয়েছিল।তা যাইহোক এভাবে ঘুরে ঘুরে সবদিক দেখলাম এবং ফটোগ্রাফি করলাম।

এরপর তো পিছনের গেইট দিয়ে বের হলাম। তারপর ভাবলাম ফুসকা খাওয়া যাক।পাশে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল। তাই একটাতে গিয়ে ফুসকা অর্ডার দিলাম।দাম তো একটু বেশি ছিল,কারণ পার্ক এরিয়াতে হওয়ায় দাম বেশি রেখেছে। সেখানে গিয়েও নিভৃত দুষ্টুমি করছিল। কারণ সে ঘুরতে বের হয়েছে আর মজা করছে। এরপর আমরা বাইরে হাটতে লাগলাম।

এরপর আমরা বাজারের দিকে গেলাম।আখতারুজ্জামান এবং লাকি প্লাজা দুটোতেই গিয়েছি কিছু জিনিস কিনতে। মামার বাসায় স্টেশন থেকে ডিরেক্ট চলে গিয়েছিলাম। তাই ভাবলাম সন্ধ্যা হলে বের হবো এবং কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে আসবো।সেজন্যঅই কিছু ফলমূল এবং ড্রাই আইটেম নিয়েছিলাম।ও হ্যা এদিকে আবার আমার ব্যাগ নষ্ট হয়ে গেল তাই একটা ব্যাগ দেখে নিলাম। যদিও অন্য একটা ব্যাগ পছন্দ হয়েছিল,থাইল্যান্ড থেকে ইম্পোর্টেড।কিন্তু দাম অনেক বেশি হওয়ায় আর নেইনি।

এই ছিল জাম্বুরী পার্কে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

💦

💦 BRISTY 💦

💦