মিনি বান্দরবানে কাটানো কিছু মুহূর্ত।

in hive-129948 •  6 months ago 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

IMG-20240527-WA0000.jpg

আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মিনি বান্দরবান যাওয়ার মুহূর্তটা। কক্সবাজার এরিয়াতে এত এত পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যে একদিনে সব জায়গাগুলো ভালোভাবে ঘোরা সম্ভব নয়, তবুও যে জায়গাগুলো মোটামুটি কাছাকাছি ছিল সেই জায়গাগুলোতেই চলে গেলাম।ইনানী থেকে ফেরার পথে ড্রাইভার আমাদেরকে বলল এদিকে মিনি বান্দরবান আছে। সেটা যদিও অপজিট সাইডে ছিল। যাইহোক পরবর্তীতে পাহাড়ী রাস্তার মতো জায়গাগুলো পেরিয়ে চলে গেলাম মিনি বান্দরবানে।

IMG-20240527-WA0001.jpg

IMG-20240527-WA0002.jpg

IMG-20240527-WA0003.jpg

যেহেতু আমরা ইনানিতে গিয়েছিলাম, পায়ের মধ্যে অনেক বালি ছিল। আর সেজন্য আমরা প্রথমে পা ধুয়ে নিলাম। কারণ এই বালি যুক্ত পায়ে যদি উপরের দিকে উঠতে যাই তাহলে পায়ের অবস্থা একদম খারাপ হয়ে যাবে। এখানে একটা কথা হলো নিভৃতকে নিয়ে মূলত উপরের দিকে উঠতে খুব বেশি কষ্ট হয়েছে। যদিও পুরো সময়টা ওর বাবা অথবা মামা নিয়ে রেখেছিল তবুও পাহাড়ের ঢালু এরিয়াটায় ওর বাবা ওকে একাই কোলে নিয়ে উঠেছে। নিভৃত আছে সেজন্য আমরা আর বেশি দূর ঘোরাঘুরি করিনি। উপরের দিকে উঠতে উঠতে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আর বসার জায়গা রয়েছে যেখানে সেখানে চলে গেলাম।
IMG-20240507-WA0026.jpg

IMG-20240507-WA0041.jpg

সেখানে দেখলাম ছোট ছোট ছেলে বাচ্চা গুলো শসা বিক্রি করতেছিল। আসলে ওই এরিয়া গুলোতে কিছু কিছু খাবারের এত দাম যে ভাবতেই অবাক লাগে। যেখানে শসার কেজি ছিল ২০-৩০ টাকা সেখানে একটি শসার অর্ধেক অংশই তারা দশ টাকা সেল করতো। আর এভাবে অনেক লাভবান হতো বলে আমি মনে করি। শসা বলতে বোঝালাম ছোট ছোট যে খিরা রয়েছে সেগুলোই। মূলত ওই সময় খিরার সিজন ছিল। যাইহোক মূলত এমনিতে খাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও উপরে যখন উঠলাম তখন প্রচন্ড গরম লাগছিল আর হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। ভাবলাম এই সময় যদি ঠান্ডা ঠান্ডা খিরা খাওয়া যায় তাহলে ভালো লাগবে।

IMG-20240507-WA0040.jpg

IMG-20240507-WA0042.jpg

এজন্য প্রথমে সবার জন্য এক অংশ করে নিয়ে নিলাম। সাথে লবণ মরিচ তো ছিলই,সেটাই তো মজা,হাহাহা। এদিকে আবার শসা প্রেমী নিভৃত তো শসা দেখলেই খাওয়ার জন্য লাফ দিয়ে ওঠে। যদিও নষ্ট করে বেশি, খায় কম, তবুও তার শসা লাগবেই। যাই হোক পরবর্তীতে যখন এক অংশ খেলাম তখন অনেক বেশি তৃপ্তি লেগেছিল। একেতো গরম তার উপরে অনেক বেশি ক্লান্ত ছিলাম, আর তীব্র রোদও ছিল। তারপর আবারো আরেকটা নিলাম। খেতে বেশ মজাই লেগেছে। তারপর সেখানে কিছুক্ষণ বসলাম। যদিও আমাদের পাশে আরো কয়েকজন মানুষ ছিল। আশেপাশে তাকালে শুধু শুধু পাহাড় দেখা যায়।প্রত্যেকটা পাহাড়ের উঁচু অংশে বসার মতো জায়গা রয়েছে।

IMG-20240507-WA0043.jpg

IMG-20240507-WA0051.jpg

IMG-20240507-WA0050.jpg

পাহাড়ের নিচে সমতল ভূমিতে পানের বর দেখেছিলাম। আসলে পাহাড়ী এরিয়া গুলোতে হয়তো এগুলোর বেশি চাষ হয়। যাই হোক আশেপাশে শুধু গাছ গাছালি। তবে আমার কাছে পাহাড় থেকে সমুদ্র বেশি ভালো লাগে। যাই হোক সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম। এক এক করে সবার ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর ধীরে ধীরে নিচে নেমে এলাম। যদিও অল্প উঁচুতে উঠেছিলাম, তবুও খুব বেশি ভালো লেগেছিল।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনাদের ভ্রমণটি সত্যিই অনেক উপভোগ্য ছিল। মিনি বান্দরবান খুব সুন্দর একটি জায়গা। তবে ছোট বাচ্চা নিয়ে পাহাড়ের উপরের দিকে উঠা সত্যিই দুষ্কর বিষয়। পর্যটক এরিয়া গুলোতে সব কিছুরই দাম বেশি রাখে, এখানে হতাশ হবার কিছু নেই। তবে আপনাদের কাছে পাহাড়ের চেয়ে সমুদ্র বেশি ভালো লাগলেও আমার কাছে কিন্তু তার বিপরীতটাই। আমি পাহাড়ি অঞ্চলে ঘুরতে পছন্দ করি।

ঠিকি বলেছেন আপু কক্সবাজারের আশে পাশে এতো ঘুরারমতো জায়গা যে শেষ করা যায়না।সব কিছু খুটিয়ে ঘুরে দেখতে হলে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়।দারুন একটি ব্লগ ছিলো।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

আসলেই কক্সবাজারের আশেপাশে অনেকগুলো ঘোরাঘুরি করার জায়গা রয়েছে। আপনারা তো দেখছি ইনানী থেকে যাওয়ার পথে আবার মিনি বান্দরবান এসেছেন। মিনি বান্দরবানের কথা কিছুদিন আগে একজনের পোস্টে পড়েছিলাম। আসলে পাহাড়ের উপরে উঠতে এমনিতেই একটু কষ্ট হয়। আর ছোটদেরকে কোলে নিয়ে উঠতে তো আরো বেশি কষ্ট। ভাইয়া দেখছি অনেক কষ্ট করেছে নিভৃতকে নিয়ে। তবে সবাই মিলে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন।

কক্সবাজারের একদিনে আসলে কিছুই হয় না। বেশ কয়েকদিন থাকলে আশেপাশে সব জায়গায় ভালোমতো ঘুরে দেখা যায়। এই মিনি বান্দরবানে আমরাও গিয়েছিলাম। বেশ ভালোই লেগেছিল। জায়গাটির উপরে অবশ্য ওঠা হয়নি বাচ্চাদেরকে নিয়ে। তাছাড়া পাহাড়ি এলাকায় পানের বরজ গুলো ভালো হয়। তার জন্য ওইখানে চাষ করে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।

আপনারা মিনি বান্দরবানে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলে আপু এই সব জায়গায় শসা কেন আমার মনে হয় সব কিছুর দাম অনেক। আর বাচ্চাদের এটা সভাব খাওয়ার চেয়ে নষ্ট করে বেশি। আপনারা নিশ্চয় ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

মিনি বান্দরবান সম্পর্কে এর আগেও আমি আমাদের সকলের প্রিয় মোহাইন আহমেদ ভাই এর পোস্টে দেখেছিলাম। আজকে পুনরায় আপনার পোস্টের মাধ্যমে আরো নতুন কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম বেশ ভালো লাগলো। আসলেই এই জায়গাগুলোতে খাবারের জিনিসগুলোর এত বেশি দাম যেটা সীমানার বাইরে। ৫ টাকার জিনিস বিশ টাকায় বিক্রি করে। তারাই প্রকৃত লাভবান। যাই হোক আপনি মিনি বান্দরবান এর দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন আশা করছি আপনার পরবর্তী পোস্টে আরো নতুন কিছু চমকপ্রদ দেখতে পারবো।

অচেনা জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেতে আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। ঠিক তেমনি ভাবে আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি স্থান সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন যা পূর্বে আমার দেখা জানা ছিল না। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই ভ্রমণ পোস্ট দেখে।

আপনাদের কক্সবাজার ভ্রমণের পোস্টগুলো দেখতে ভালোই লাগে। কয়েকটি পোস্ট দেখা হয়েছে আমার আপনাদের এই ভ্রমণের। আজকে মিনি বান্দরবান ভ্রমণের মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন। যদিও আমার কক্সবাজার যাওয়া হয়নি তবে বেশ কয়েকদিন আগে একটা পোস্ট এর মাধ্যমে মিনি বান্দরবানের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। আজকে আপনার মাধ্যমে দেখেও বেশ ভালো লাগলো আপু। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আপনারা দারুন মুহুর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। সবাই মিলে হালকা খাওয়া-দাওয়া করলেন।

কক্সবাজারে মিনি বান্দরবান আছে সেটা আগে জানতাম না। আবার কারো পোষ্টেও দেখি নাই। আজকে আপনার পোষ্টে প্রথম দেখলাম। জায়গাটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কক্সবাজারে গেলে অবশ্যই সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করবো। এক সাথে দুই সুন্দর্য। ধন্যবাদ।