আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

প্রতিদিনকার মত চলে এলাম ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একটা লাইফস্টাইল বিষয়ক পোস্ট।যে সময়টা আমার কাছে অতি প্রিয় ছিল।আর আমি এখন তার অপেক্ষায় বসে, কখন বড় হবে কখন ফুল দিবে।আজ আমার পছন্দের কাঠগোলাপ ফুল গাছ নিয়ে কিছু কথা এবং এই গাছটা আমাদের বাড়ির ছাদের এক কর্নারে ঠাঁই দিয়েছি সেই মুহূর্তগুলোই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

অনেক আগে থেকেই আমি চাইছিলাম একটা কাঠগোলাপ ফুলের চারা রোপণ করবো। কিন্তু সময়সল্পতা বা বিভিন্ন কারণে সেটা হয়ে ওঠে না। বিভিন্ন নার্সারিতে গিয়ে যখন দেখি তখন দাম অনেক বেশি মনে হয়। তার পাশাপাশি গাছগুলো তেমন ভালো লাগেনা। সেজন্যই নেয়া হয়নি।বাড়ির ছাদে অনেকগুলো টব খালি পড়ে আছে। যেগুলোতে আগে বিভিন্ন রকম শাকসব্জি চাষাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো যত্নের অভাবে খালি পড়ে আছে।

কিছুদিন আগেই আমার হাজব্যান্ড দুটো পেঁপে গাছ এবং একটা কাঠগোলাপ গাছ নিয়ে এসেছিল। আমি অনেক আগে থেকেই ওকে বলেছিলাম যে একটা কাঠগোলাপ গাছ নিয়ে আসার জন্য।সে যখন নিয়ে আসলো তখন আমি এত্ত খুশি হয়েছি সেটা বলে বোঝানোর মত না। আমার শাশুড়ি দেখে জিজ্ঞেস করছিল এটা কি গাছ। তখন আমি বললাম এটা কাঠগোলাপ গাছ। তিনিও বেশ আগ্রহ প্রকাশ করল, এটা কি, কেমন দেখতে হয়? তখন তাকে ফুলের ছবি দেখালাম এবং বললাম যে সুগন্ধ বেশ ভালো হয়। আর তিনি বললেন যে ঠিক আছে তাহলে ছাদে এক কর্ণারে এটা লাগানোর জন্য।

কাঠগোলাপ গাছটা যেহেতু একটু বড় হবে সেই হিসেবে বড় একটা টব রেডি করতে হবে। এজন্যই মূলত আমরা চলে গেলাম ছাদে। গিয়ে দেখি টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। নিভৃত তখন কিন্তু ঘুমাচ্ছিল। সেজন্যই মূলত এই মুহূর্তগুলো ছবিতে ধারণ করতে পেরেছি আমি। প্রথমতই আমরা ছাদ পরিষ্কার করেছিলাম।যেহেতু ছাদে অনেক ময়লা জমেছে। যে কেউ গেলেই পিচ্ছিল হয়ে পড়ে যাবে।তাই সব ময়লা পরিষ্কার করে নিয়েছি,ভিজে ভিজে। এদিকে আমার হাজব্যান্ড একটা টব রেডি করছিল।

সবগুলো টব এর মধ্যেই কিন্তু পানি জমে আছে। তবুও কি আর করা মোটামুটি এখন যদি টব রেডি করে রাখা যায় তাহলে রোদ উঠলে হয়তোবা গাছ রোপন করা যাবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাকি টবগুলো থেকে মাটি নিয়ে সেখানে বড় একটা বালতির মতো টব বানালাম। যেটা অনেক পুরনো, আগে পানি রাখা হতো।যাইহোক সেই টবে বাকি টবের মাটি দেয়ার পর দেখলাম অনেক পানি বেরিয়ে গেছে। সেখানে সেদিন আর গাছ রোপন করা সম্ভব হয়নি।

তাই মোটামুটি মাটি রেডি করে সেদিন টবে থাকা পানি ফেলে দিয়েছিলাম।তারপরে টবের উপরে মোটা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রেখেছিলাম যাতে করে পানি না জমে।তারপর টানা ২দিনই বৃষ্টি ছিল, আর গাছটা লাগাতে পারি নি।পরের দিন সারাদিন রোদ ছিল, আর টবের পানিও শুকিয়ে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম বিকেল বেলায় গাছটা লাগিয়ে দেব। তাই দুপুরের সূর্য পশ্চিম আকাশে যেতেই আমরা আবার সেই গাছ নিয়ে ছাদে চলে গেলাম।আকাশটা মেঘলা ছিল তখন। কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।বেশ ভালো লাগছিলো তখন কারণ নিজের প্রিয় একটা ফুলের গাছ লাগাতে পারছি তখন।

ফুল গাছটা লাগানোর পর আরও কিছু মাটি দিলাম।তারপর গাছটার কয়েকটা ছবি তুললাম।যদিও এটা এখনো ছোট গাছ, কবে বড় হবে জানা নেই।তবুও অপেক্ষায় আছি। আমি অবশ্য সেখানে এখন নেই, কিছুদিন আগেই আমাদের বাড়িতে এসেছি।তার দায়িত্ব এখন আমার শাশুড়ী আর হাজব্যন্ডের। সে মাঝে মাঝে দেখে আসে গাছটা।আশা রাখছি যেদিন ফুল হবে সেদিন কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারবো।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	লাইফস্টাইল
ক্যামেরা.মডেল	এম১২
ফটোগ্রাফার	@bristy1
লোকেশন	ফেনী

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

💦

💦 BRISTY 💦

💦