আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

source

চারিদিকে থৈ থৈ পানি,জমিজমা ভরপুর হয়ে আছে।বর্ষাকালের এক স্বাভাবিক চিত্র এটি।বিশেষত গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় এই দৃশ্য। তবে শহরাঞ্চলেও এখন ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ডুবে যায়।এটা অবশ্য শহরাঞ্চলে খিব তাড়াতাড়ি হয়। কারণ গ্রামের মত শহরে খাল-বিল বা জমি, বড় পুকুর খুব বেশি নেই। তার কারণে পানি কোনোদিকে যাওয়ার সুযোগ পায় না।

এছাড়াও ড্রেনের ময়লার কারণে দূষিত একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়।বর্ষাকালেই কিন্তু রোগ জীবাণু বেশি ছড়ায় পানির মাধ্যমে।এক জায়গায় জীবাণু অন্য জায়গায় খুব দ্রুত যেতে পারে। তবে গ্রামাঞ্চলেও যে হয় না তা কিন্তু নয়।শহর হোক বা গ্রাম সব জায়গার মানুষই এই বর্ষাকালে অনেক বেশি কষ্ট করে থাকে।বিশেষত যারা জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হয় প্রতিদিন।

এইতো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেই দেখি বৃষ্টি হচ্ছে।কিন্তু সারারাত একটুও বৃষ্টি ছিল না।এভাবেই চলছে কয়েকটা দিন।আর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বর্তমান সময়টা বিভিন্ন রকম সবজি রোপনের সময়। কিন্তু জমিজমা পানিতে ডুবে রয়েছে সেজন্য শাক সবজি ফলানো সম্ভব হচ্ছে না।আবার যারা একটু আগাম শাক-সব্জির চাষ করেছে তারা কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানিতে ডুবে সব নষ্ট হওয়ার কারণে।ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সীমাহীন। আর বর্তমান সময়ে কাঁচাবাজারে চলছে আগুন।অতিরিক্ত বর্ষণে এই দ্রব্যমূল্য আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাছাড়াও চারিদিকে ছড়াচ্ছে রোগ জীবাণু।এখন সবদিকেই শোনা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর।চারিদিকে পানি জমা থেকে এডিস মশার বিস্তার হচ্ছে।আর প্রতিনিয়ত মানুষ অসুস্থ হচ্ছে।এর মধ্যে সব বয়সী মানুষ রয়েছে। সবাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে।আবার অনেকে মারা গিয়েছে এই ডেঙ্গুতে।তবে এর মধ্যে বাচ্চাদের সংখ্যাই বেশি।যেটা সত্যিই খুব দুঃখজনক।এইতো কিছুদিন আগেই শুনলাম আমার বড় মামার শ্যালকের ডেঙ্গু হয়েছে। এর পর হয়েছে মামার।তারা চট্টগ্রামেই থাকে।আর সেই এরিয়াতে অনেকেরই ডেঙ্গু হয়েছ।

বর্ষাকালে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে জানালার পাশে বসে ধোয়া উঠা খিচুড়ি খেতে সবারই ভালো লাগে।কিন্তু এই যে চারিদিকে মহামারী, অসুস্থতা, কষ্টের শেষ নেই।আর বর্ষাকাল সবার জন্য সুখকর নয়।তবে সবার জন্যই কিন্তু একটা সময় অসহনীয় হয়ে উঠে।প্রয়োজনে বাইরে বের হলেই তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে যেতে হয়।হঠাৎ করেই এমন অবস্থায় পড়লে সবারই খারাপ লাগে।যেকোনো কাজে ব্যাঘাত ঘটে।আর এভাবেই অতিরিক্ত বর্ষণে সবারই অনেক রকম ক্ষতি হয়।

সবশেষে বলবো কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না।হোক সেটা রোদ,বৃষ্টি বা শীত।প্রতিটা সিজনেই এরকম অসহনীয় পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়।যাইহোক সবাই এই পরিস্থিতিতে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক এই কামনা করি।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেআপান,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	কবিতা
ক্যামেরা.মডেল	জে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার	@bristy1
লোকেশন	ফেনী

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

💦

💦 BRISTY 💦

💦