আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

গত রবিবার দিন আমাদের একটা দাওয়াত ছিল সেটা হলো আমার ননদের বাড়িতে। আমার ভাগ্নেকে সুন্নতে খতনা করা হয়েছিল আর সেই উপলক্ষে মূলত আমরা সবাই মিলে সেদিন গিয়েছিলাম। তার আগে অবশ্য তার নানু গিয়ে দেখা করে এসেছিল। কিন্তু আমি যাওয়ার সুযোগ হয়নি। কারণ আমার শরীর অনেকটাই অসুস্থ ছিল। যেহেতু সবাই মিলে সেদিন যাবে, তাই একসাথে গিয়েছিলাম। অনেকটা লেট করে যাওয়া হয়েছে সেখানে। আমার হাজব্যান্ড এর অফিসে কিছু কাজ ছিল। সে সেগুলো করে আসার পর আমাদেরকে নিয়ে যায়।

যাই হোক আজকে মূলত শেয়ার করব সেদিন নিভৃত আর তার আব্বুর জন্য কিছু শপিং করার মুহূর্ত। আমার হাজব্যন্ড নিজের জন্য কিছু টি-শার্ট কিনবে. আর সেই উপলক্ষের আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। যদিও সে একা গিয়ে এগুলো কিনতে পারতো। তবুও আমরা যেহেতু গিয়েছিলাম আর নিভৃতের জন্য কিছু জামা দেখবো সেই হিসেবেই আমি সহ গেলাম। তার টি-শার্ট গুলো দুজনে মিলে চয়েজ করলাম। বলা যায় এই তিনটা টি-শার্টই আমি পছন্দ করে দিয়েছি এবং তারও পছন্দ হয়েছে। বেশ মজা নিচ্ছিলো,আর বলছিল, হঠাৎ করে আমি কেন শপিং করিয়ে দিলাম। যাইহোক পকেট আর ওয়ালেট তো একটাই। যার যায় একজনেরই যায় হাহাহা। সেটা হোক আমার বা তার।

আমাদের পরিচিত একটা দোকান থেকে আমরা বেশিরভাগ সময় শপিং করে থাকি।আর সেখানে মূলত ছেলেদের ড্রেস পাওয়া যায়। সেখান থেকে কিছু টি-শার্ট দেখল। টি-শার্ট গুলো কিনে নেয়ার মুহূর্তে আমাদের নিভৃত বেশ টায়ার্ড ছিল। সেজন্য সেই দোকানের ফ্লোরে বসে এদিক সেদিক দেখছিল। ওকে যতবারই ডাকি সে উঠতে নারাজ ছিল। তার এই মুহূর্তগুলো যখন ক্যাপচার করছিলাম সে বুঝে গিয়েছিল তার ছবি তুলছি আর সেজন্যই হাসতেছিল।

যদিও সেদিন খুব বেশি বিরক্ত সে করেনি। কারণ তাকে আমি অন্যান্য দিকে মনোযোগ ঘুরিয়ে রাখছিলাম। তার কোনটা পছন্দ, কি পছন্দ এটা জিজ্ঞেস করতে করতে তার সময় কাটিয়ে নিলাম। তারপর পাশের দোকানে একটা বেবি শপ ছিল। সেখানে কিছু জামা কাপড় দেখলাম। আমি ছেলের জন্য সিঙ্গেল গেঞ্জি দেখছিলাম। দেখতে বেশ সুন্দর ছিল। ওর জন্য দুটো জামা নিলাম। যদিও ছোট বাচ্চা হিসেবে তার জামার প্রাইজ অনেক বেশি ছিল। অবশ্য জামার কোয়ালিটিও ভালো ছিল সে জন্যই হয়তোবা দামটা একটু বেশি নিয়েছে।

যখন জামাগুলো কিনে তার হাতে দিলাম তখন তো সে বেশ খুশি হলো। কারণ তার নিজেরও জামা কাপড় কেনা হয়েছে, শপিং হয়েছে, নিজেও একটা ব্যাগ হাতে নিয়েছে হাহাহা। আর এই ছিল সেদিনকার কেনাকাটার মুহূর্ত। তারপর আমরা আবার ওষুধ কিনতে গিয়েছিলাম। এরপর আমরা বাড়িতে চলে আসলাম। সেদিন মুহূর্তগুলো খুব বেশি আনন্দময় ছিল। কারণ নিভৃতে তার ভাইয়ের সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে। আবার শপিংও করেছে। মন তো ভালো থাকবেই, হাহাহা।যাইহোক আজকের মত এতটুকুই ছিল যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

💦

💦 BRISTY 💦

💦