আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

যখন প্রায় ৮:০০টা বাজলো তখন আমরা ভেতরে গেলাম। আসলে আগেও যেতে পারতাম কিন্তু নিভৃত তো বিরক্ত করবে,তাই একটু সময় বাইরে কাটিয়ে নিলাম।ও হ্যা,বাইরে থাকা অবস্থায় নিভৃত আবার একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে খুব আনন্দ করছিল।ওর কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম।যাইহোক ভিতরে যাওয়ার পর একটা জায়গায় সবাই বসলো। তখন একজন ইন্সট্রাকশন দিচ্ছিলো যাতে সবাই পাসপোর্ট ফটোকপির অপজিট পাশে ইউকে এর ঠিকানা,নিজেদের ঠিকানা সবকিছু লিখে নিতে। আমরা তো আগেই লিখেছিলাম তাই বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।আর এদিকে নিভৃত খাওয়ার জন্য কান্না করছিল।তাই ওকে কেক আর পানি খাইয়ে দিলাম।যদিও ওকে বাইরের খাবার খেতে দিই না কিন্তু সেদিন নিরুপায় হয়ে দিয়েছিলাম।

যাইহোক এরপর আমরা আবার ঐ অ্যাসিন্ট্যান্টকে জিজ্ঞেস করলাম পাসপোর্ট ছাড়া কোনোভাবে ম্যানেজ করা যাবে না এখন,তখন তারা বললো যে এটা তো হবে না আপনি পরে পাসপোর্ট নিয়ে আসলে হবে।তখন আমরা বললাম যদি আজকে না পারি কালকে হবে কিনা,তারা বললো সমস্যা নেই সিরিয়াল কম আছে, আপনি আসলে হবে।আর এদিকে টাইম হয়ে এলো উপরে আমাদের কাজ শুরু হলো।এজন্য আমরা প্রথমে একটা ওয়েটিং রুমে গেলাম সেখানে ছবি তোলার পারমিশন ছিল না। তাই আর মোবাইল বের করতে পারি নি। তো বাবু থালার কারণে তারা আমাদের কাজটা আগেই করে দিল।যদিও সেখানে প্রায় ১ঘন্টার বেশি সময় লেগেছিল।এদিকে নিভৃতকে নিয়ে তার আব্বু বারবার উপরে নিচে আসছে যাচ্ছে।

এরপর আমাদের কাগজপত্র রেডি হলে গেলাম এক অফিসারের কাছে।তিনি পাসপোর্ট দেখে আমার আর বাবুর তথ্য নিলেন।আমাদের পূর্বের মেডিকেল কোনো সমস্যা ছিল কিনা সেগুলো জেনে তারপর বাবুকে চেক করলো।আমার এক্সরে করা হয়েছিল শুধু কিন্তু বাবুর আর কোনো কিছু দরকার ছিল না।সেক্ষেত্রে আমরা আবার নিচে একটা রুমে গেলাম সেখানে আমার এক্সরে করা হয়েছিল।আর দেড় ঘন্টা পর আমার আর বাবুর রিপোর্ট আসবে।যদি এক্সরে রিপোর্ট নরমাল থাকে তাহলে সার্টিফিকেট চলে আসবে অন্য কোনো টেস্ট আর লাগবে না।

যাইহোক ইতোমধ্যে আমরা বাইরে বেরিয়ে গেলাম।ঐ মেডিকেল এর পাশেই হাতিরঝিলের এক পাশ ছিল।আমরা প্রথমেই গিয়ে সেখানে বসলাম।আবহাওয়া ছিল একদম শীতল,রোদ নেই বৃষ্টি নেই কিন্তু মেঘাচ্ছন্ন।আমরা ঝিলের একপাশে বসে ঝিলটা উপভোগ ছিলাম এদিকে নিভৃতও হাটাহাটি শুরু করল। তার আর বসে থাকতে ইচ্ছে করছিল না। অবশ্য খুব ভোরে যেহেতু উঠেছে এবং আর ঘুমাতে পারছে না সেই হিসেবে খুব বিরক্ত ছিল। এখন কিছুই তো করার নেই ওকে নিয়েই আমাদের একসাথেই চলতে হবে কারণ এখানে ওর কাজ ছিল।

আমরা সেখানে বসে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। তারপর এদিক-ওদিক হাটাহাটি করলাম। জায়গা গুলো খুব ভালোই উপভোগ করেছিলাম। তবে আমরা এরপর একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তারপর আবার টিবি টেস্টের রেজাল্ট নিয়ে বাসায় ফিরেছিলাম।সেটি শেয়ার করব অন্য একটি পোস্টে।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	টিবি টেস্ট এর দিন
ক্যামেরা.মডেল	জে৫ প্রাইম
ফটোগ্রাফার	@bristy1
লোকেশন	ফেনী

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

💦

💦 BRISTY 💦

💦

_{Posted using SteemPro Mobile}