মিনি সিঙ্গারা রেসিপি।

in hive-129948 •  last year 

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।

IMG-20231117-WA0026.jpg

**মাঝে মাঝে সকাল ১১টার পরই কিছু হালকা পাতলা খাবার খেতে ইচ্ছে করে।বাইরে গেলে তো কিছু না কিছু খাওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে থাকলে তো আর বাইরে থেকে খেতে পারি না।তাই ভাবলাম কিছু ছোট সিঙ্গারা তৈরি করে রাখলে পরবর্তীতে যখন ইচ্ছে তখন খেতে পারবো।যেই ভাবনা সেই কাজ। কিছুদিন আগেই রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম।সুযোগ করে করা হয়নি, ভাবলাম আজ করে ফেলি।যাইহোক খুব সহজে কিন্তু এই সিঙ্গারাগুলো তৈরি করা যায়।চলুন এক নজরে রেসিপিটি দেখে নেয়া যাক।

তাহলে বন্ধুরা চলুন আপনাদেরকে দেখিয়ে দিই আমি কিভাবে এই রেসিপিটি আজকে তৈরি করেছি।

আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ

উপকরণপরিমাণ
আলু৩টি
বরবটি২/৩ টি
পেঁয়াজ১টি
লবণদেড় চা চামচ
রসুনবাটা২ চা চামচ
কাঁচামরিচ৭/৮টি
হলুদ গুড়ো১ চা চামচ
মরিচ গুড়ো১ চা চামচ
জিরা গুড়ো১ চা চামচ
টমেটো১টি
সিদ্ধ মটরশুঁটিআধা কাপ
ময়দা২কাপ
কালোজিরা১ চা চামচ
তেলপ্রয়োজন মত

প্রথম ধাপ

প্রথম ধাপে আলু, পেয়াজ, টমেটো, বরবটি এবং কাঁচামরিচ ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।

20231104_194412.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তারপর পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম ভালোমতো ভেজে দিয়ে নিলাম। এরপর রসুন বাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।
20231104_194512.jpg

তৃতীয় ধাপ

এই ধাপে হলুদ গুঁড়ো, মরিচগুড়ো, জিরাগুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মশলাটা কষিয়ে নিলাম।

20231104_194619.jpg

চতুর্থ ধাপ

এই ধাপে কুচি করে কেটে রাখা আলু আর বরবটি দিয়ে দিলাম। তারপর ফ্রিজ থেকে সিদ্ধ করা মটরশুঁটি নামিয়ে দিয়ে দিলাম। তারপর সবকিছু একসাথে ভেজে নিলাম।

20231104_194709.jpg

পঞ্চম ধাপ

সবকিছু ভালোভাবে ভেজে নেয়ার পর পরিমাণমত পানি দিয়ে দিলাম। তারপর আলু সিদ্ধ হওয়ার পর্যন্ত রান্না করলাম। পানি একদম শুকিয়ে ধনে পাতা দিয়ে শুকনো শুকনো করে এগুলো নামিয়ে নিলাম।
20231104_194737.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

একটি বাটিতে দুই কাপ পরিমাণ আটা নিলাম। তার মধ্যে কালোজিরা এবং লবন দিয়ে অল্প অল্প করে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে একটি ময়দার ডো তৈরি করে নিলাম।

20231104_194753.jpg

সপ্তম ধাপ

ময়দার ডো থেকে একটা ডো নিয়ে বড় একটা রুটি তৈরি করলাম এবং কোনা করে কেটে নিলাম, ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন।

20231104_194946.jpg

অষ্টম ধাপ

তারপর প্রতিটা অংশের মধ্যে আমি আলুর পুর দিয়ে দিলাম। তারপর সিঙ্গারার মত ভাজ করে নিলাম। ছবিতে ধাপ লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন।

20231104_195045.jpg

নবম ধাপ

এবার কড়াইতে বেশ খানিকটা পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে সিঙ্গারা গুলো দিয়ে দিলাম এবং ভেজে তুলে নিলাম।

20231117_212712.jpg

IMG-20231117-WA0027.jpg

আশা করি আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে। আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20211121_200134.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঠিক বলেছেন সকালে নাস্তা খাওয়ার পর এবং দুপুরে খাবার খাওয়ার আগের সময় একটু খিদা লাগে। এমন মিনি সিঙ্গারা খেতে খুবই ভালো লাগে।
ঘরের তৈরি হলে তো কোন কথাই নেই। এগুলো একটু স্বাস্থ্যকর হবে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

লোভনীয় নাস্তা 😋
সবথেকে বড় বিষয় এটা যেমন স্বাদের তেমনি স্বাস্থকর খাবার। আমরা যারা বাইরে কাজ করি তাদের বাইরে নাস্তা খাওয়া হয়, তবে অধিকাংশ সময় সেগুলো স্বাস্থকর হয় না। আপনি ভালোই করেছেন চমৎকার নাস্তাটি তৈরি করে।
আমরাও শিখে নিলাম।

Posted using SteemPro Mobile

একটা সময় ছিল যখন প্রতিদিনই সিঙ্গারা খেতে ইচ্ছে হতো এবং খেতাম। কিন্তু এখন অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছি। আপনার সিঙ্গারা তৈরি দেখে বেশ লোভ লাগছে। আপনি এটি অনেক লোভনীয় ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই অসাধারণ রেসিপি টা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। এমনিতেই আমার বেশ ভালো লাগে এই জাতীয় রেসিপি গুলো। তারপরে নিজে হাতে তৈরি করে এ সমস্ত রেসিপি গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। আর যাই হোক আপনি নিজের হাতে সিঙ্গারা বানাতে পারেন দেখে খুশি হলাম।

আপনার ১১ টার পর হালকা খাবার খেতে ইচ্ছা করে আর আমার বিকেলবেলা। যাইহোক মিনি সিঙ্গারা গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। প্রত্যেকটা ধাপ খুব সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু যে কেউ চাইলে খুব সহজেই এই রেসিপি তৈরি করতে পারবে। অসংখ্য ধন্যবাদ মিনি সিঙ্গারার দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

বাহ আপু দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মিনি সিঙ্গারার রেসিপিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল এবং বিকালের নাস্তা হিসেবে ও খাওয়া যাবে। মিনি সিঙ্গারা গুলো দেখতে অনেক দারুন লাগছে আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

সিঙ্গারা আমার খুব পছন্দের গরম গরম সিঙ্গারা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার মিনি সিঙ্গারা গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপগুলো ভালোভাবে দেখে নিলাম। খুব শীঘ্রই তৈরি করব ইনশাআল্লাহ। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই মিনি সিঙ্গারা গুলো অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আর খুবই সুন্দরভাবেই এটি রান্না করেছিলেন আপনি। আর আজকে আপনার কাছ থেকে এই সিঙ্গারা তৈরির রেসিপিও দেখে নিলাম৷ খুবই ভালোভাবে এটি তৈরি করেছিলেন। আর আজকে এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এভাবে আরো নতুন নতুন কিছু রেসিপি দেখার ও খাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

আমারও আপু সকালে কিছু হালকা পাতলা খাবার খেতে খুব ইচ্ছা করে। সিঙ্গারা খেতে বেশ ভালো লাগে আর যদি বাসায় বানানো যায় তাহলে তো আরো বেশ সুস্বাদু হয়। আপনি রেসিপি জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং আপনার রান্নার ধরনটি ভীষণ ভালো লাগলো এবং এটি দেখে আমি শিখতে পারলাম খুব সহজ ছিল । ধাপ গুলি খুবই স্পষ্ট ছিল যে কেউ দেখে বানিয়ে নিতে পারবে খুব সহজেই। আপু এর আগে অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমি আপনার কাছ থেকে দেখেছি ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল এত সুন্দর একটি সিঙ্গারা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

একদম ঠিক বলেছেন আপু সকাল ১০ টা থেকে ১১ টার পরে হালকা-পাতলা নাস্তা খেতে ভীষণ ইচ্ছে করে। আবার বিকেলে কি নাস্তা বানাবো অনেক সময় এটাও ভেবে পাওয়া যায় না। আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এখন থেকে বিকেলের দিকে এরকম ছোট ছোট সিঙ্গারা তৈরি করে খাওয়া হবে। তৈরীর প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । শিখে গেলাম আপু ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন আপু সকাল ১১টার দিকে হাল্কা কিছু খেতে ইচ্ছে করে। আর এ সময় এ ধরনের মজাদার সিঙারা খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনি সিঙ্গারা তৈরির উপকরনের পরিমাণ ও বানানোর ধাপগুলো বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। যে কেউ বানিয়ে নিতে পারবে। আমিতো শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

সিঙ্গারা আমার বেশ পছন্দের। তবে বাড়িতে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়না। তবে ঐ ১১ টার দিকেই এটা বেশি খেতে ইচ্ছা করে। মিনি সিঙ্গারা টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। দেখেই লোভ লাগছে হা হা। বেশ চমৎকার ছিল। প্রতিটা ধাপ দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে মিনি সিঙ্গারা তৈরি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

Posted using SteemPro Mobile

ফাস্টফুড এর মধ্যে সিঙ্গারা অন্যতম। হালকা ক্ষুধা লাগলে আমরা অনেকেই সিঙ্গারা খেয়ে থাকি। ১১ টার পরে হালকা ক্ষুধার জন্য আপনি সিঙ্গারা বানিয়েছেন খাওয়ার জন্য। তবে হোটেল গুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এগুলো বানানো হয় না তেমন। খেলে কিছুটা অস্বস্তি বোধ হয়। কিন্তু বাড়িতে যেকোনো কিছু তৈরি করলে খেতে অনেকটা ভালো লাগে। আপনার আর সিঙ্গারা বানানোর রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি ছিল আপু।

Posted using SteemPro Mobile

আমারও সেম অবস্থা আপু সকালে নাস্তা খেলেও ১১ টার দিকে কিছু খেতে ইচ্ছা করে। তো আসলেই এভাবে যদি ঝাল ঝাল কিছু খাওয়া যায় আর একটা গরম চা সাথে হলে বেশ ভালোই লাগে। আপনি বেশ মজার করে মিনি সিঙ্গারা তৈরি করলেন। রেসিপিটি দেখেই লোভ লেগে গেল। কারণ মিনি সিঙ্গারা গুলো দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে।

ঠিক বলেছেন দুপুরের আগে একটু হালকা খাবার খেতে মন চায়।আপনার মজাদার সিঙ্গারা রেসিপিটি খুব সুন্দর হয়েছে। দারুণ লোভনীয় ভাবে তৈরি করেছেন রেসিপিটি।সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি। ধাপগুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। পুরাপুরি ভাবে খাওয়ার জন্য তৈরি করা পরিবেশনের ফটোগ্রাফি ও অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ

সিঙ্গারা খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে বেশিরভাগ সময়ই বাইরে থেকে সিঙ্গারা খাওয়া হয়। অনেক আগে আম্মু এবং আপু বাড়িতে সিঙ্গারা বানাতো সেগুলো খেতেও বেশ ভালোই লাগতো। তবে আপনার মত বরবটি,টমেটো,মটরশুঁটির এইগুলো দিয়ে বানানো সিঙ্গারা কখনোই খাওয়া হয়নি। আশা করা যায় আপনার বানানো সিঙ্গারাটাও বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সিঙ্গারা বানানোর এই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপু ঠিক বলেছেন সকালে নাস্তা করার পরে ১১ কিংবা ১২ টার দিকে কিছু খেতে ইচ্ছে করে। তখন এমন হালকা নাস্তা খেতে ভালোই লাগে। আপনার মিনি সিঙ্গারা দেখে লোভ লেগে গিয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।