আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে

কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে একটা পর্ব শেয়ার করেছিলাম যেখানে আমি এবং আমার এক বড় আপুসহ ফেনীতে গিয়েছিলাম একটা কাজে। আজকে আরেকটা পর্ব নিয়ে চলে এলাম। আমরা যখন কেনাকাটা করেছি তারপর আমরা দিঘীরপাড় দিয়ে হেঁটে এসেছি দোয়েল চত্বরে। কারণে স্টেশন রোড থেকে দোয়েল চত্বরে গাড়ি করে না আসলেও দীঘিরপাড় দিয়ে হেটে আসা যায়। আপু সহ দীঘিরপাড় দিয়ে হেঁটে আসতে আসতে খুব এনজয় করেছি।আসতে আসতে জিনিসপত্র কিছু দেখে নিলাম। আবার এদিকে চলে এলাম।

দোয়েল চত্বরে আসার পরপরই আমরা মেইন রোডের দিকে এলাম। তখন সেখানে বাবুর জন্য নরম কাপড়ের কিছু জুতা দেখলাম। কারণ বাবু ফ্লোর এর মধ্যে হাটাহাটি করে খালি পায়ে। জুতা পড়তে যায় না। সেদিন ওর জন্য কাপড়ের জুতা নিয়েছিলাম। আর ও অনেক বেশি কান্নাকাটি করছিল সেই জন্য পাশেই একটা স্থানে ডিম সিদ্ধ বিক্রি করে। সেখান থেকে বাবুর জন্য ডিম সিদ্ধ কিনে নিয়ে ওকে খাইয়ে দিলাম। তারপর আপু সহ আমরা চলে গেলাম নবী রেস্টুরেন্টে। ফেনীতে খুব নাম করে একটা রেস্টুরেন্ট এটি। আর আমরা প্রায়ই যখন কাজে যাই তখন সে রেস্টুরেন্টে মাঝেমধ্যে যাওয়া হয়।

যাইহোক আমরা সবাই মিলে নবী রেস্টুরেন্টে গিয়ে একটা জায়গায় বসার চেষ্টা করলাম। কারণ নবী রেস্টুরেন্টে সকাল থেকে রাত অব্দি অনেক ভরপুর থাকে মানুষ জনে। জায়গা পাওয়াটাই মুশকিল। আর আমরা যেহেতু ছয়জনের মত ছিলাম সেই জন্য একটা টেবিল আমাদের জন্যই লাগবে। তাই একটা ফাঁকা টেবিল দেখে আমরা বসে গেলাম এবং খাওয়ার অর্ডার দিয়ে দিলাম। পূর্বে যখন গিয়েছি তখন ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন পোলাও খাওয়া হয়েছে। আমরা যেহেতু সন্ধ্যা বেলায় গিয়েছি তাই ভাবলাম চা এবং সাথে অন্য কিছু খাওয়া যাক। আর সেখানে খুব সুস্বাদু একটা আইটেম হচ্ছে নান রুটি আর দুধ চা।

আমরা সবাই সেটা অর্ডার করলাম শুধুমাত্র আপুর জন্য ফালুদা অর্ডার করেছে। আমি ভেবেছিলাম লাচ্ছি খাবো কিন্তু ঠান্ডা ধরবে সেজন্য আর লাচ্ছি খাওয়া হয়নি। ফালুদা আমার কাছে রেস্টুরেন্ট গুলোতে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। বাসায় যখন তৈরি করি তখন সেটাই আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। সেজন্য আমি রেস্টুরেন্টের ফালুদা তেমন একটা খাই না। তাই আমিও বাকিদের সাথে নান এবং চা নিয়েছি।

এখানে একটা কথা না বললেই নয় নান রুটির সাইজ এত বড় যে আমি অর্ধেক খেয়ে যেন পেট ভরে গেছে। সাইজে যেমন পুরুত্বও তেমন আর অনেক বেশি সুস্বাদু। যাইহোক কোনমতে আমি মোটামুটি নান রুটি খেলাম এবং চা খেলাম। তারপর আমরা বিল মিটিয়ে বাইরে বের হয়ে গেলাম। বাবু এদিকে খুব বেশি কান্নাকাটি করছিল আর একদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। সন্ধ্যার পর বাবু তেমন একটা বাইরে থাকতেই চায় না।

সেজন্যই আমরা তাড়াতাড়ি বাসার দিকে রওনা দিচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম বাড়ি চলে যাব কিন্তু দাগনভূঞা আসতে আসতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গিয়েছিল। আর এই সময় আপু কোন মতে যেতে দেয়নি। সেজন্যই মূলত বাসায় সেই রাতটাও থেকে গেলাম। তারপর দিন সকালেই আবার বাড়িতে ফিরে এলাম। যাই হোক এই ছিল ফেনীতে গিয়ে আপুসহ আনন্দময় কিছু মুহূর্ত। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	রেনডম ফটোগ্রাফি
ক্যামেরা.মডেল	M12
ফটোগ্রাফার	@bristy1

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

💦

💦 BRISTY 💦

💦