হ্যালো বন্ধুরা
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশর গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আবারও নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি যা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সারাদিনের খাবারের মধ্যে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হয় বিকেলের নাশতা নিয়ে।সকালে দুপুরের মোটামুটি বেশিরভাগ দিন একইরকম খাবার খাওয়া হয়ে থাকে কিন্তু বিকেলবেলা সবারই মন চায় একেকদিন একেক রকমের মুখরোচক কিছু খাবার খেতে।যদিওবা আমি এর ব্যাতিক্রম কারণ আমার বিকেলবেলা এক কাপ দুধ চা আর এক বাটি মুড়ি হলেই চলে কিন্তু বাচ্চাদের তো তা হয় না। ওরা চায় ভালো কিছু এবং খেতেও যেনো সুস্বাদু হয়।তাই ওদের কথা চিন্তা করে মাঝে মধ্যে ইচ্ছে না থাকলেও নতুন কিছু খাবার তৈরি করতে হয়।বাসায় মুরগির মাংস মোটামুটি সবসময়ই থাকে আর বাচ্চারাও মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা আইটেম গুলো খেতে খুবই পছন্দ করে তাই পাউরুটি ও মুরগির মাংস দিয়ে ঝটপট পাকোড়া তৈরি করে দিলাম যা খেয়ে পেট ভরবে সেইসাথে ওদের মনও ভরবে।
রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক
উপকরণ |
---|
মুরগির মাংস |
পাউরুটি |
পেঁয়াজ কুঁচি |
রসুন কুঁচি |
কাঁচামরিচ কুঁচি |
টমেটো সস |
গোলমরিচগুঁড়া |
লবণ |
তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে মুরগির মাংস গুলো কুঁচিকুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
একটা বাটিতে জল নিয়ে পাউরুটি গুলো ভিজিয়ে নিয়েছি।তারপর হাত দিয়ে চেপে চেপে জল গুলো ঝড়িয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার একটা বড় বাটিতে মুরগির মাংস গুলো নিয়ে তারমধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি,কাঁচামরিচ কুঁচি ও স্বাদমতো লবণ দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এবার ভেজানো পাউরুটি গুলো দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মেখে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এবার পরিমাণ মতো গোলমরিচগুঁড়া ও টমেটো সস দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে তারমধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে হালকা করে গরম করে নিয়েছি।তারপর একটা একটা করে পাকোড়া গুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
সবগুলো পাকোড়া তেলে দেওয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে একপাশে উল্টিয়ে দিয়েছি।তারপর অল্প আঁচে চারপাশে ভালো করে বাদামী করে ভেজে নিয়েছি।পাকোড়া গুলো ভাজা হলে কড়াই থেকে তুলে একটা প্লেটের উপর টিস্যু দিয়ে তারমধ্যে তুলে নিয়েছি,যাতে করে অতিরিক্ত তেল টিস্যু পেপারে উঠে আসে।
পরিবেশন
একটা প্লেটের মধ্যে সস দিয়ে একটু সাজিয়ে নিয়ে তার পাশে পাকোড়া গুলো তুলে নিয়েছি ও ছোট একটা বাটিতে সস নিয়ে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করেছি ব্রেড চিকেন পাকোড়া রেসিপি টি।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করে এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু ঠিক বলেছেন সকাল কিংবা দুপুরে একই রকম খাবার খেলেও বিকালের নাস্তায় একটু ভিন্নতার প্রয়োজন। তবে আপনার মতো আমারও এক কাপ দুপ চা ও মুড়ি হলে আর কিছু লাগে না। কিন্তু বাচ্চারা তো সব সময় ভিন্ন কিছু খেতে চায় আর আপনি তাদের জন্য খুবই মজাদার পাকোড়া তৈরি করেছেন। যদিও এভাবে কখনও পাকোড়া তৈরি করা হয়নি। আপনার পাকোড়া দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পাকোড়া আমার খুব পছন্দের। চিকেন পাকোড়া দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ব্রেড চিকেন পাকোড়া তৈরি প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ব্রেড চিকেন পাকোড়া কখনো ট্রাই করা হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটা ভীষণ সুস্বাদু হবে খেতে। সুন্দরভাবে প্রত্যেকটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন আপনি। বেশ লোভনীয় লাগছে রেসিপি টা দেখতে। ধন্যবাদ আপু এত সুস্বাদু এবং লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ব্রেড দিয়ে তৈরি করা পকোড়া গুলো একটু অন্যরকম খেতে লাগে।আর আমার কাছে এটা খুব বেশি ভালো লাগে। তার সাথে চিকেন এড করায় এটা তো আরো মজার একটা খাবার হয়ে গেল আপু।বাচ্চাদের কথা কি বলবো? আমার নিজেরও একেক দিন একেকটা খেতে মন চায়। এজন্যই তো প্রায় সময় তৈরি করে থাকি বিভিন্ন রকম খাবার।যাই হোক মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit