নতুন শহরে নতুন অভিজ্ঞতা...!

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।

আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করছি আশাকরি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে!

মানুষের জীবনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন হয় সেটা কখনো ভালো কিংবা খারাপ।আমি আমার সংসার জীবনে ১৫ বছর কাটিয়েছি হাজবেন্ডের সঙ্গে ঢাকায়।তারপর করোনা কালীন সময়ে কিছুটা ভয়েই নিজস্ব এলাকায় চলে আসি এবং সেখানে চার বছর অবস্থান করি।তারপর বড় মেয়ের লেখাপড়ার সুবাদে আবারো বগুড়া শহরে চলে আসি বর্তমানে বগুড়াতেই বসবাস করছি।আমার হাজবেন্ডের পোস্টিং রংপুর মিঠাপুকুর থানায় কর্মসূত্রে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।আর আমি দুই মেয়ে নিয়ে বগুড়ায় বসবাস করি।আমার হাজবেন্ড প্রতি সপ্তাহে যাতায়াত করেন কিন্তু তাকে দিয়ে বাজারঘাট করানো হয় না।কারণ সে আসেই এক দিনের জন্য তাই আর তাকে দিয়ে বাজার করতে মন চায় না,সেজন্য সকল বাজার ঘাট আমিই করে থাকি।

বগুড়ায় আসার পর নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার ছাড়া কোনো কিছু কেনাকাটার জন্য মার্কেটে যাওয়া হয়নি।বগুড়া শহর আমার কাছে একেবারেই নতুন কোথায় কি পাওয়া যায় ঠিকমতো এখনো বুঝে উঠতে পারিনি।আজ যখন মেয়েরা স্কুল-কলেজে চলে যায় তারপর ভাবলাম প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কেনার জন্য নিউমার্কেটে যাবো।সকালের খাবার খেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি।একটা রিক্সা নিয়ে নিউমার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা হই।রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিলো সেই সাথে বেশ রোদও ছিলো!জ্যামের কারণে রাস্তায় বেশ কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।বগুড়া সাতমাথায় মোটামুটি সব সময় জ্যাম লেগেই থাকে এটা যারা বগুড়া বাসী তারা জানবেন!

রিক্সাওয়ালাকে বলেছিলাম আমাকে নিউমার্কেটের সামনে নামিয়ে দেবেন,উনি আমার গন্তব্যে নামিয়ে দিলেন।কিন্তু বিপত্তি হলো আমিতো নিউমার্কেট চিনি না!অনেকগুলো গেট দেখতে পাচ্ছি কোন দিক দিয়ে ঢুকবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না!প্রথমে একটা মার্কেটে ঢুকে পড়ি সেখানে ঘোরাঘুরি করি কিন্তু দেখে মনে হলো না এটা নিউ মার্কেট।তারপর এক দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া আমি নিউমার্কেটে যাবো কোনদিকে যদি একটু বলতেন!তখন উনি আমাকে দেখিয়ে দিলেন সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে সোজা ডান পাশে যে গলি ওই গলিতে ঢুকলেই আপনি নিউমার্কেট পেয়ে যাবেন। ওনার কথামতো হাঁটতে শুরু করলাম তারপর একটা সময় গিয়ে আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছালাম।নিউ মার্কেটের প্রথম শারিতেই কাপড়ের দোকান,তারপর কসমেটিক্স ব্যাগ এসবের দোকান।কিন্তু আমি মূলত সংসারের টুকিটাকি কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্যই নিউমার্কেটে আসা।ওখানে আবার আরেক দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম কুকারিজের দোকান গুলো কোন দিকে!তখন উনি আমাকে খুবই আন্তরিকতার সাথে দেখিয়ে দিলেন।অবশেষে আমি আমার গন্তব্য স্থান পেয়ে গেলাম।

দুপাশেই সারিবদ্ধ ভাবে অনেক দোকান ছিলো,এখানে আমার পরিচিত কোনো দোকান নেই। তাই সামনে যে দোকানটা পেয়েছি ওটাতেই ঢুকে পড়েছি।তারপর সমস্ত জিনিস দেখে শুনে সেখান থেকে আমার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনলাম!তার মধ্যে ছিলো ছোট মেয়ের একটা টিফিন বক্স ছোট বড় কয়েকটি প্লেট,গরম পাতিল ধরার জন্য লুসনি,মসলা রাখার জন্য ছোট ছোট কয়েকটি বক্স সাথে আরো টুকিটাকি কিছু জিনিস ছিলো।সবগুলো নেয়ার পরে বিল পরিশোধ করে ওখান থেকে বেরিয়ে আসি।তারপর বগুড়ার বিখ্যাত শ্যামলী বেকারিতে আসি,সেখান থেকে কিছু খাবার সামগ্রী কিনি।তারপর মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসি।রাস্তার পাশে আর্টিফিশিয়াল ফুল গাছ বিক্রি করছিলো দেখে খুবই ভালো লাগলো সেখান থেকে পছন্দসই তিনটা ফুলের টব কিনলাম।তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা একটু খারাপ হলেও শেষের দিকে বেশ ভালো লেগেছিলো।অনেকদিন পর কেনাকাটা করতে গিয়ে মনটা বেশ ভালো লাগলো।মাঝে মাঝে কেনাকাটা করলে মন বেশ প্রফুল্ল থাকে।সব মিলিয়ে আজকের অভিজ্ঞতা অনেক ভালো ছিলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।

VOTE @bangla.witness as witness OR

SET @rme as your proxy