বন্ধু নয় জেনেও বন্ধুত্ব রক্ষা করা!

in hive-129948 •  3 months ago 
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

জীবনের একটা সময়ে এমন একটা পরিস্থিতি আসে। যে আপনি হয়তো জানেন যে আপনার পাশের মানুষটি কোনোভাবেই আপনার বন্ধু হওয়ার মতোন যোগ্যতা রাখে না কিংবা সে মানষিকতাও সেই মানুষটির নেই। কিন্তু তাও আপনার সেই মানুষগুলোর সাথে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে হয়। আর এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায় কর্মক্ষেত্রে এবং বিশেষ করে ইউনিভার্সিটি লাইফে। আমি একজন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট হিসেবে,একেবারে নিজের সাথে হওয়া ঘটনা থেকে প্রমাণ পেয়েই বলেছি।

কারণ ইউনিভার্সিটি লাইফে হয়তো এক দুটো ভালো বন্ধু-বান্ধব পাওয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগই দেখবেন যে আপনার পিছনে আপনার নামে খুব বাজে মন্তব্যই করে। কিন্তু সামনে আসলে, তার সাথে আসলে অনেক বেশি মিষ্টি একটি সম্পর্ক আপনার বজায় রাখতে হয়।

এটা সম্পর্কেই বলছিলাম, যে বন্ধু নয় জেনেও আসলে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে হয়। আর আমার কাছে মনে হয় যে এটা আসলে আমাদের উপর অনেকটা প্রেসার এর মতোই হয়ে যায়। কারণ এই যে, যে আমার বন্ধু নয়, যাকে আমি পছন্দ করি না কিংবা যে পিছনে আমার নামে হাজারটা বদনাম করছে। তার সাথে হেসে হেসে কথা বলা। কিংবা তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা সত্যিই খুব বেশি কষ্টের ব্যাপার যেটা আমাদের মানুষ হিসেবে প্রতিনিয়ত করে যেতে হয়।

আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় যে, আমার মনে একটা মানুষ সম্পর্কে যেটা রয়েছে। আমি যদি সেটা তার সামনে দেখাতে পারতাম। তাহলে হয়তো আমাদের জীবনের জটিলতা অনেকটা ক্ষেত্রেই কমে যেতো।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেটা আমরা কখনোই পারি না। কারণ আমরা সভ্য জাতির মুখোশ করে রয়েছি। যে মুখোশটা আমাদের করার দরকার থাকুক বা না থাকুক আমাদের পরে থাকতেই হয়। আমাদের বন্ধুত্ব রক্ষা করতেই হয়। কারণ কারো মুখের উপরে আমরা অপমান করতে পারি না। কিন্তু যেখানে আমাদের কাওকে অপমান করার দরকার নেই। সেখানে আমরা ঠিকই তা করতে পারি। আসলে আমরা ছোটবেলা থেকে এই ধরনের উল্টো কাজগুলো করতেই শিখেছে। অর্থাৎ যেখানে প্রয়োজন সেখানে কথা বলতে না পারা। আর যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে কথা বলা। এমনকি নিজের অধিকার আদায় করতেও মানুষের কথা বলতে বাঁধে।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমরা প্রায় সময় স্কুল, কলেজে, ইউনিভার্সিটি লেভেলে অনেক বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা জানতাম ওই ব্যক্তিটি আমাদের বন্ধু নয়, তারপরও তার সাথে ভালো আচরণ করতাম। আমরা দেখেছি সে আমাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সমালোচনা করে, অপপ্রচার করে। তারপরও তার সামনে হাসিমুখে কথা বলতাম। বাস্তব সম্মত একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।