শব্দ প্রয়োগে সাবধান

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমাদের মুখ বন্দুকের মতো কাজ করে। আর আমাদের শব্দ অর্থাৎ কথা বন্দুকের বুলেট এর মতোন। এখন অনেকেই ভাবছেন যে, এটা কেমন যেনো একটা অসম উদাহরণ হয়ে গেলো। তাই না? কারণ উদাহরণ যখন আমরা দিই। তখন কিন্তু একটা সামঞ্জস্য কিংবা একটা মিল রেখে তবেই কোনো উদাহরণ দেই। কিন্তু আমি যে উদাহরণটি দিয়েছি। সেটা যেনো অনেকটা অসম্ভব প্রায়। তাই ভাবলাম যে, এই উদাহরণটার ব্যাখ্যাটা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি আমার নিজের মতো করে এবং এর মাধ্যমে আপনাদের নিজেদের চিন্তা ভাবনাটাও আমার জানা হবে এবং অনেক নতুন কিছু শেখাও হবে।

আমি নিজের মুখকে আসলে বন্দুকের সাথে তুলনা করেছি। তার কারণ হলো, আমরা আমাদের মুখের মাধ্যমে বিভিন্ন কথা বলে থাকি। অর্থাৎ অনেক এমন কথা বলে ফেলি। যেগুলোর জন্য আমাদের কতোটা মূল্য দিতে হবে সেটা আমরা নিজেরাও বুঝতে পারিনা। কিংবা আমাদের কথাগুলো অন্য মানুষকে কতোটা কষ্ট দিতে পারে। সেটা আমরা বিবেচনাও করে দেখি না।

কারণ যে মানুষের বুকে বুলেট নিক্ষেপ করে। সে যেমন একটা বার চিন্তা করে দেখে না, ওই বুলেট খাওয়া লোকটার কতোটা কষ্ট হচ্ছে। ঠিক তেমনটাই, আমরা যখন মানুষকে কোনো কটু কথা বলে ফেলি। তখন আমরা একটা বার ও ভাবি না যে, আমার ওই কটু কথা কোনো মানুষের হৃদয়কে কি পরিমান খন্ডবিখন্ড করে দিচ্ছে। মাঝেমধ্যে আমাদের মুখের কথা একটা মানুষের হৃদয়কে চুরমার করে দেয়। হয়তো অনেক সময় তার জীবনটাও তছনছ করে দিতে পারে। কারণ সবকিছু ভুলা গেলেও। কানে শোনা ওই শব্দগুলোকে ভুলে যাওয়া অনেকটা কঠিন। তাই আসলে আমি আমাদের মুখের কথা কে বুলেটের সাথেই তুলনা করলাম। কারন দুটোর কাজই হলো হৃদয় ঝাঁঝরা করে দেওয়া।

তাই আমরা কথা বলার সময় যেনো বুঝে শুনে কথা বলি। কারণ আমাদের মুখের ভাষা আসলে অনেক কিছুই প্রমাণ করে আমাদের মুখের ভাষার মাধ্যমে অনেক কিছুই হতে পারে। তাই আমাদের সব সময় উচিত কারো মনে কষ্ট দিয়ে কথা না বলা। কারণ একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, কারো মনে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনো সুখী হতে পারে না। আর জীবনে যদি আমাদের সুখ খুঁজে নিতেই হয়। তাহলে কখনোই অন্যকে কষ্ট দেওয়া যাবে না, আমাদের নিজেদের মুখের কথার মাধ্যমে।