আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
এরপর তার উপর সেদিন আমার বাবার ও অনেক বেশি শরীর খারাপ ছিলো। এতোটাই শরীর খারাপ ছিলো যে, তিনি উঠে বসতে পারছিলেন না। এবং উঠে বসলে কিংবা একটু নাড়াচাড়া করলে প্রচন্ড ব্যাকপেইন হচ্ছিলো।অর্থাৎ সবমিলিয়ে সবকিছু আমাকে হ্যান্ডেল করতে হচ্ছিলো।যেহেতু আমি হলাম পরিবারের বড় সন্তান এবং আমার ছোট বোনটাও তখন খুব অসুস্থ ছিলো।
সব মিলিয়ে এত খারাপ একটা দিন সত্যিই আমার জীবনে কখনোই ঘটেনি। আর এমন একটা দিন যে আমার জীবনে আসতে পারে। সেটাও আমি কল্পনা করিনি। কারণ সত্যি কথা বলতে ঈদের দিনটাকে আমরা অনেক বেশি আনন্দ করবো বলেই ভেবে রাখি। এবং সেটাই আসলে ভেবে রেখেছিলাম। এমনকি অনেকগুলো ফ্রেন্ড কেউ দাওয়াত দেওয়া ছিলো।কিন্তু আমি লাস্ট মুহূর্তে সেসব ক্যান্সেল করেছিলাম। এমন কি আমার ছোট ভাইয়েরও অনেকগুলো ফ্রেন্ডকে দাওয়াত দেওয়া ছিলো।সেও শেষ মুহূর্তে সবাইকে না বলে দিয়েছিলো।কারণ আমাদের দ্বারা আর একেবারে সম্ভব হচ্ছিলো না।
এরপরে যখন রাত আরো বাড়তে থাকে। তখন আমার মায়ের শরীর খারাপ পাল্লা দিয়ে আরো বেশি বাড়তে থাকে। তখন আর উপায় না পেয়ে রাতের বারোটার দিকে ডাক্তার কে কল করলাম। এরপর ডাক্তার বললো মাকে যেনো সাপোজিটরি দেওয়া হয়। তো সে অনুযায়ী তাই দেওয়া হলো। কিন্তু এরপরেও আসলে মা প্রলাপ বকেই যাচ্ছিলো। আর সেই সাথে যদি বাবা একটু সুস্থ থাকতো তাহলেও হতো। কিন্তু তাও নয়! মোটামুটি সব কিছু আমার আর আমার ছোট ভাইয়ের উপর দিয়েই যাচ্ছিলো।কারণ আর ছোট ভাই বোন দুটো আরো বেশি ছোট অর্থাৎ তাদের আসলে কাজ করার মতো কোনো বয়সই হয়নি।
তাই সব মিলিয়ে এটাই বলার যে এতো খারাপ ঈদের দিন আমার আজ পর্যন্ত কোনোদিনও কাটেনি। সব সময় ঈদের দিন দেখেছি যে আমি ঘুম থেকে উঠার অনেকক্ষণ আগেই মায়ের প্রায় অনেক রান্না শেষ হয়ে যেতো। এবং আমি ঘুম থেকে উঠে গোসল করে এরপরে সেই মজার মজার খাবার গুলো খেতাম। কিন্তু সেদিনটা ছিল আসলে একেবারেই ব্যতিক্রম। এতো ভয়ংকর দিন যেনো আমার জীবনে আর কোনো দিনও না আসে, সে দোয়া ই করি।
পরিবারের একজন যদি অসুস্থ থাকে তাহলে, সবারই মন খারাপ থাকে, যত বড়ই আনন্দদায়ক দিন হোক না কেন। এদিকে ঈদের দিনে আপনার পরিবারে আপনার বাবা, ছোট বোন, মা খুব অসুস্থ। সে অবস্থা অবশ্যই অনেক কষ্টেই ঈদের সময়টুকু কাটাতে হলো আপনাকে। সবার সবসময়ের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের দিনে এরকম পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতা ঈদ মাটি করে দেয়।আমার বাসায়ও এবার ঈদে আব্বু এবং বোন অসুস্থ ছিল,আপনার কষ্ট গুলো কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারছি। এতো রকম সব আয়োজন সব বৃথা হয়ে গেল।এবার আমার ঈদও খারাপ কেটেছিল এতো বছরের জীবনে আপনার মত।🙂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের জীবনে কখন কি ঘটবে,সেটা আমরা অনেক সময় কল্পনাও করতে পারি না। তবে অনাকাঙ্খিত বিপদগুলোর মোকাবেলা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকে না। যাইহোক আপনার পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ ছিলেন বলে,আপনার এবং আপনার ভাইয়ের উপর দিয়ে অনেক ঝড় ঝাপটা গিয়েছে। সেই দিনগুলো কেটে গেলেও, আপনাদের মনের মধ্যে স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে সারাজীবন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit