বার্ধক্যে একাকিত্বের কষ্ট (চতুর্থ পর্ব)

in hive-129948 •  14 hours ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সুলতান মিয়া যখন নিজের বাড়ি যেতে রওনা দেন। তখন শফিক তাকে বলে আজকে থেকে আপনি আমার কাছে থাকবেন। আমার তো বাবা-মা কেউ নেই। আপনি আমার কাছে থাকলে আমার মনে হবে আমার বাবাই আমার সাথে রয়েছেন। সুলতান মিয়া কিছুতেই শফিকের প্রস্তাবে রাজি হয় না। কিন্তু শফিক একপ্রকার জোর করেই সুলতান মিয়াকে তার বাড়ি নিয়ে রাখেন। সুলতান মিয়া শফিকের আচরণে এতটাই অবাক হয়ে যান যে তার মুখ দিয়ে কথা বের হয় না। তবে সুলতান মিয়া সাথে সাথে এটাও ভয় পেতে থাকে যে শফিকের স্ত্রী আবার তার কারনে শফিকের উপর বিরক্ত না হয়।

1000001322.png

কিন্তু তিনি খেয়াল করে দেখেন শফিক এর স্ত্রী তার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে। এভাবে বেশ কিছুদিন থাকার পরে সুলতান মিয়ার শরীরটা খারাপ হতে থাকে। তখন একদিন তিনি শফিকের স্ত্রীর কাছে বলে বাড়ি থেকে কিছু সময়ের জন্য বের হয়ে যান। দুপুরবেলায় তিনি যখন ফিরে আসেন। তখন একটা প্যাকেটে কিছু কাগজপত্র দিয়ে শফিকের স্ত্রীকে বলেন মা রে এই কাগজগুলো তোমার কাছে রেখে দাও। তবে এই কাগজে কি আছে সেটা এখনই দেখার দরকার নেই। আমি মারা গেলে এই কাগজগুলো শফিকের কাছে দিও।

শফিকের স্ত্রী চিন্তা করতে থাকে প্যাকেটের ভেতর কি আছে একবার তার ইচ্ছা হয় খুলে দেখতে। কিন্তু পরবর্তীতে মনে হয় মুরুব্বী মানুষ যেহেতু এখন খুলতে নিষেধ করেছেন। তাই এখন খোলাটা ঠিক হবে না। যাইহোক দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সুলতান মিয়া বিশ্রাম নিতে যান। সেদিন সন্ধ্যার সময় শফিক বাড়িতে ফেরে বাড়িতে ফিরে প্রতিদিনের মতো সেদিনও সুলতান মিয়ার খোঁজ নিতে যায়।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!