গরমের দিনেও বিদ্যুৎ এর করুণ অবস্থা!

in hive-129948 •  8 months ago 
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

শীত,গ্রীষ্ম, বর্ষা এসব নিয়েই তো আমাদের দেশ আর। গ্রীষ্ম প্রদান দেশ হিসেবে আমাদের দেশে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় গরম টা একটু বেশিই পরে। এবং এটা আসলে সহ্য করে নিতে হয় এবং মানুষ সহ্য করেও নেয়।কারণ স্বাভাবিক ভাবেই গ্রীষ্মকালে গরমের পরিমাণটা একটু বেড়ে যায় এবং শীতকালে শীতের পরিমাণটা একটু বেড়ে যায়। এবং মানুষ সে অনুযায়ী নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে নিতে এখন মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে পরেছে। কিন্তু যে বিষয়টাতে মানুষ অভ্যস্ত হতে পারছে না। সেটা হলো বিদ্যুৎ এর অব্যবস্থাপনায়।

মোটামুটি যদি বিদ্যুৎ বিলের দিকে খেয়াল করা হয়। তাহলে প্রতিবছরই অল্প অল্প করে বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হচ্ছে এখন। আর এখন মোটামুটি বিদ্যুৎ বিল দিতে হলে একটা মানুষকে বেশ কিছু টাকা খরচ করতেই হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পরেও যদি মানুষ বিদ্যুৎটা একটু ভালোভাবে পেতো। তাহলে হয়তো খুব একটা গায়ে লাগতো না কিংবা খুব একটা খারাপ লাগতো না। কিন্তু বর্তমানে এই গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশের অবস্থা একেবারে করুণ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।

মানুষ যথাযথভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও, সেই অনুযায়ী কোনো রকমের কোনো সুবিধাই জনগণ পাচ্ছে না। কারণ স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ বিল খুব সুন্দর ভাবে নিয়ে ফেলে। কিন্তু বিদ্যুৎ দেওয়ার সময় আর সেখানকার মানুষের কোনো খবর থাকছে না। এবং এই গরমকালে কারেন্ট না থাকা নিয়ে প্রতিটা মানুষ অসম্ভব ভোগান্তিতে রয়েছে। বিশেষ করে যারা প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে।

কয়েকটা মাস বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলেও সাথে সাথে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। আর এখন তো বর্তমানে ডিজিটাল যুগ হয়েছে। তাই প্রিপেইড মিটারে টাকা শেষ হওয়ার পর পর অল্প কিছু টাকার লোন নেওয়া যায় এবং সেই লোনটাও শেষ হয়ে গেলে সাথে সাথেই ঘরের কারেন্ট চলে যায়। অর্থাৎ টাকা নেওয়ার বেলায় প্রতি রকম সুব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা এবং সার্ভিস দেওয়ার বেলায় কোনো সুযোগ সুবিধাই জনগণকে দেওয়া হচ্ছে না। আর এই গ্রীষ্মকালে এই গরমের মধ্যে লোডশেডিং সত্যিই একেবারে মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বর্তমান সমাজ চাই এমন হয়ে গেছে নিজের বেলায় সবাই সবকিছু বুঝে কিন্তু অন্যের ক্ষেত্রে অবুঝ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ নিয়ে সত্যিই আমার নিজের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রতি চরম পর্যায়ের ঘৃণা রয়েছে। আমি নিজেই বাধ্য হয়ে তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল এখনো পরিশোধ করিনি। এতটা পরিমাণ ভোগান্তিতে রয়েছি। এ সমস্যাগুলো যদি কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে তদারকি করত আমি মনে করি তাহলে ভালো রকম একটি সমাধান পাওয়া যেত। বর্তমান সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট সাজিয়েছেন আপনি এবং আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

বিশেষত গ্রাম অঞ্চলেই কারেন্টের সমস্যা বেশি।সারাদিনে কতবার যে কারেন্ট যায়। আর বিদ্যুৎ বিল তো প্রতিনিয়তই বেড়ে যাচ্ছে, কমার নাম নেই। কিন্তু মানুষকে চাহিদার মত বিদ্যুৎ দিচ্ছেনা। উৎপাদিত অংশের বিশাল একটা অংশ শহরাঞ্চলের হসপিটাল থেকে শুরু করে শপিং মল এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা গুলোতে দিতে হয়তো বিদ্যুৎ ঘাটতি পড়ে যায়।এজন্যই মূলত গ্রাম অঞ্চলের মানুষরাই ভোগান্তিতে বেশি রয়েছে।

আমাদেরকে চুষে খাবে ঠিকই,কিন্তু সার্ভিস দেওয়ার ব্যাপারে তারা উদাসীন। আমাদের দেশের প্রতিটা সেক্টরে এমনটাই হচ্ছে এখন। এমনিতেই তীব্র গরম পরেছে, তার মধ্যে যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তাহলে কি একটা অবস্থা হয়। মুখে মুখে শুনি ডিজিটাল বাংলাদেশ, কিন্তু কাজের নামে কিছুই না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।