কিছু ট্যালেন্ট হাইড থাকাই ভালো!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

একটা কথা আছে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। কথাটার কারণ কেনো জানেন? অর্থাৎ কথাটা কেনো বলা হয়? আসলে যারা ওস্তাদ কিংবা যারা অনেক কাজে পটু। ওরা সবকিছু মানুষকে দেখিয়ে দেয় না। বিশেষ করে তাদের ট্যালেন্ট সবকিছুই কিন্তু দেখিয়ে দেয় না। যেমন একজন শিক্ষক, তিনি সবসময় পড়ান। কিন্তু একজন ছাত্র শিক্ষকের ওই পড়া খুব ভালোভাবে পড়লেও। কখনো শিক্ষকের মতন অতোটা পারদর্শী হয়ে উঠবে না।

এটা যদি আপনাদের একটু মিলাতে কষ্ট হয়, আমার টপিকের সাথে এই উদাহরণটির।তাহলে আমি অন্য একটি উদাহরণ দেই।আপনারা সকলেই জানেন জাদুবিদ্যা সম্পর্কে। কারণ এই বিদ্যাটি রপ্ত করা অনেক কঠিন একটি কাজ এবং যারা জাদু শেখায় ওরা কিন্তু কখনোই সব স্টুডেন্টকে তার সব জাদুগুলো শিখিয়ে দেয় না। কিছু কিছু এমন জাদু থাকে, যেগুলো শুধুমাত্র সে নিজেই পারে এবং হয়তো সেই জাদুগুলো এক থেকে দুইজন শিক্ষক কে তারা শিখিয়ে দেয়। এমনটা কেনো করে বলতে পারেন? আসলে কিছু কিছু ট্যালেন্ট রয়েছে। যেগুলোর আপনি সবকিছু পাবলিশ করে দিলে, তার গুরুত্বটা ততোটা থাকে না। যতোটা প্রথম দিকে থাকে।

তাই নিজের খুব বিশেষ ট্যালেন্টগুলো কখনো প্রকাশ করে দেবেন না। শুধুমাত্র কাজে লাগাবেন। কারণ মানুষের নিজস্বতা বলতে যদি কিছু না থাকে, নিজস্ব স্পেশাল কিছু যদি না থাকে। আমরা আসলে তাকে দূরে ঠেলে দিতে একটুও কার্পণ্য বোধ করি না। এটা ওই মানুষটির দোষ নয়। এটা আমাদের দোষ, এটা মানুষ জাতির দোষ। কারণ আমরা সবসময় অন্যের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। তাই নিজের ভালোর জন্যই কিছু ট্যালেন্ট সবসময় হাইড রাখবেন এতে করে আপনার নিজের যেমন উন্নতি হবে ঠিক তেমনটাই আপনি নিজেও লাভবান হবেন।

এই কথাগুলো এ কারণেই বললাম। কারণ অনেক মানুষ রয়েছে যাদের মন খুব সহজ-সরল। তারা সবকিছু অন্য মানুষকে শেখাতে চায়। অন্য মানুষের উপকার করতে চায়। কিন্তু আমরা তো মানুষ জাতি, আমরা পৃথিবীর সৃষ্টির সেরা জীব। তাই আমরা কখনোই তাদের ওই সহজ সরল মনের প্রাপ্যটুকুও দিতে পারি না, সম্মান টুকুও দিতে পারি না। সে কারণেই এই লেখাগুলো লেখা।