আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বর্তমানে একটা জরিপে দেখলাম। আসলে আমরা যতো বড় হতে থাকি। ততোই আমাদের একাকীত্ব বাড়তে থাকে। কারণ আমরা যখন ছোট থাকি। তখন আসলে আমাদের মতামত খুব একটা শক্ত কিংবা আমাদের মতামত খুব একটা নেওয়ার প্রয়োজন পরে না। তাই আসলে আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ থাকে। কারণ মানুষ তাদের আশেপাশে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। যাদের উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়া যায়। বাচ্চাদের উপরে সবাই মতামত চাপিয়ে দেয় এবং সে কারণেই যেহেতু তাদেরকে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা রাখে। তাই তাদের আশেপাশেও কখনো মানুষের অভাব হয় না।
কিন্তু একটা মানুষ যখন বড় হতে থাকে। যতো মতামত ব্যক্ত করতে থাকে। ততোই মানুষ একাকীত্বতে ভোগে। কারণ আসলে মানুষ নিজের মতামত প্রকাশ করাকে কখনোই ভালো চোখে দেখে না এবং নিজের মতামত প্রকাশ করতে গেলেই আসলে দেখবেন যে আপনার দিক থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
বর্তমানে এই ব্যাপার নিয়ে আত্মহত্যা সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে একাকীত্বকে। চিন্তা করুন একটা মানুষ কতোটা একা হলে। একটা মানুষ কতোটা অসহায় বোধ করলে এই কাজ করে।কারণ সে কিন্তু নিজেও জানে যে এটা মহাপাপ এবং এর ক্ষমা সে কখনোই পাবে না এবং এটা করার অর্থ হলো নিজের জীবনটা শেষ করে দেওয়া। কিন্তু মানুষটাও আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয় শুধুমাত্র নিজেদের ডিপ্রেশন এবং একাকীত্বের কারণে।
এই আত্মহত্যার হার যদি কমাতে হয় তাহলে প্রথমেই যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেটা হচ্ছে আমাদের চারপাশে মানুষদের কথা শোনা, তাদের খেয়াল রাখা, তাদের খোঁজ খবর রাখা।কারণ বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে মৃত্যুর পরে যত চিন্তা।মৃত্যুর আগে ওই মানুষটা খেয়েছে কিনা,ভালো আছে কিনা, বেঁচে থাকার মতোন অবস্থায় আছে কিনা সেগুলো কেউ কি জিজ্ঞেস করে না এবং এসব খবর নেওয়ার মতো কারো সময়ও থাকে না। কিন্তু প্রিয় মানুষদের প্রতি এতটুকু কর্তব্য মানুষের করাই উচিত। অন্তত ভালো আছে কিনা এতোটুকু জানতে চাওয়াটা আমাদের সকলের জন্যই প্রয়োজনীয়।
ডিপ্রেশান এবং একাকিত্ব- এই দুইটা প্রধানতম দুইটা কারণ যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন। পরিবার কিংবা বন্ধুদের ভুমিকা অনেক বেশী আত্মহত্যার এই মহামারী থেকে বাচার জন্যে!
সুন্দর একটা রিমাইন্ডারমুলক পোস্ট করেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit