আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আপনাদের সাথে একটি মজার ঘটনা শেয়ার করবো। যেটা আমার দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ বলা চলে আমার নিজের সাথেই ঘটছে। আসলে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বরাবর আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তো আজকেও আসলে তাই ই শেয়ার করবো। তবে এটা শুনতে মজার মনে হলেও সত্যিকার অর্থে তা মজা তেমন নয়। অর্থাৎ সত্যিই খুব খারাপ একটি ব্যাপার। কিন্তু এখন আমার লিখতে গিয়ে হাসি আসছে। তাই আসলে আমি মজার ঘটনা বলে বলছি।
বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের স্যার আমাদেরকে বলেছিলো যে তিনি একটা এক্সাম নিবেন। যাইহোক, আমরা আসলে খুব একটা গুরুত্ব দেইনি। কারণ সেই স্যারটি আসলে একটু সাধাসিধা ধরনের। অর্থাৎ খুব ভালো মানুষ বলা চলে। তো স্বাভাবিকভাবে বাঙালি জাতি ভালো মানুষ পেলেই একটু কম পাত্তা দেয়। তো আমাদের ক্ষেত্রে ও তাই। অর্থাৎ উনি এক্সাম নেবে বলেছে। কিন্তু আমরা তাও আসলে তেমন একটা প্রিপারেশন নেই নি।
যাইহোক, এরপরে উনি এক্সাম পেপার নিয়ে আসলো এবং এক্সাম পেপার দেখার পর আমাদের তো চক্ষুচড়ক গাছ। কারণ পেপার অসম্ভব কঠিন করেছিলো উনি। যাইহোক, এরপরে আমরা উনাকে অভিযোগ জানাতে লাগলাম যে প্রশ্ন অনেক বেশি কঠিন। আমরা ধরতেই পারছি না। তো এরপরে উনি আমাদের শর্ত দিলেন যে, ওপেন বুক এক্সাম দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ ওপেন বুক এক্সাম বলতে আমরা বই নিয়েই এক্সাম দিতে পারবো। তো আমরাও তাতে খুব সহজেই রাজি হয়ে গেলাম। কারণ আমাদের মাথায় ছিলো যে বই পেলে তো হয়েই গেলো।
কিন্তু তিনি এতোই ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এবং তিনি জানতেন যে আমরা বই দেখেও কিছু পারবো না। কারণ উনি এতো বেশি কঠিন প্রশ্ন করেছিলো যে, আমরা ৩০ নাম্বারের মধ্যে ১০ এর আনসার ও করতে পারিনি।
পরবর্তীতে যখন আমাদের কাছ থেকে খাতা নিচ্ছিলেন। তখন উনি নিজেই হাসছিলেন এবং বলছিলেন যে, তিনি জানতেন আমরা পারবো না। চিন্তা করুন নিজের উপরে কি পরিমাণ কনফিডেন্স ছিলো এবং আমাদেরকে কিভাবে বোকা বানালো!