আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে ছোট গল্প পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে আজ আমি আপনাদের মাঝে একটা ছোট গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। যদিও এর আগে আপনাদের মাঝে আমি কোন ছোট গল্প কখনো শেয়ার করিনি। আর আজকের যে গল্পটি আমি আপনাদের মাঝে সর্বপ্রথম শেয়ার করব সেটি যদি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আসলে আজকের গল্পটির প্রধান বিষয়বস্তু হলো বন্ধু নিয়ে। তো আর কথা বেশি না বলে গল্পটি শুরু করা যাক। এক গ্রামে অনেকগুলো লোক বসবাস করত। সেই গ্রামে দুই বন্ধুর বন্ধুত্বের কথা সবাই জানতো। অর্থাৎ তারা শৈশবকাল থেকে একসাথে স্কুলে যেত এবং একই সাথে বড় হয়েছে। আসলে তাদের বন্ধুত্ব এতটাই বেশি ছিল যে তাদের প্রথম দেখলে মনে হতো যে তারা একই মায়ের দুটি সন্তান। কেননা তারা যেখানেই যেত দুজন মিলে একসাথে যেত এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে করতো।
এই দুই বন্ধুর ভিতর এক বন্ধুর পরিবার ছিল খুবই গরীব আসলে সেই গরিব পরিবারের বন্ধুটি মেধার দিক থেকে অন্য বন্ধুর থেকে অনেক বেশি ভাল ছিল। এছাড়া অন্য বন্ধুটির পরিবারটা একটু সচল ছিল। তাই সেই বন্ধুর জীবনে কোন অভাব ছিল না। কিন্তু অন্য বন্ধুদের জীবনে প্রচুর পরিমাণে অভাব ছিল। তবুও তারা সব সময় চেষ্টা করত যে একে অন্যের সাহায্যে সবসময় এগিয়ে আসার জন্য এবং কেউ যদি না খেয়ে থাকত তাহলে অন্য বন্ধু এসে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে খাবার দিত। আসলে সেই গরিব বন্ধুটির বাবা ছিল একজন মুচি। আসলে এই সামান্য মুচির কাজ করে তাদের সংসার চালাতে অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু একদিন সেই গরিব বন্ধুটির বাবা মারা গেলেন। তখন তাদের সংসারে প্রচুর পরিমাণ অভাবের সৃষ্টি হল। যেহেতু তাদের পরিবারে আর অর্থ উপার্জনের মত অন্য কোন দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিল না।
তাই সেই বন্ধুটি তার পড়ালেখার পাশাপাশি সে সংসার চালানোর জন্য চেষ্টা করত। কিন্তু দুটি কাজ কখনোই একসাথে সঠিকভাবে সম্পন্ন হতো না। তাই একসময় সেই বন্ধুটিকে তার পড়াশোনা থেকে বেরিয়ে এসে সংসারের হাল ধরতে হলো। কিন্তু অন্য বন্ধুটির তো কোন অর্থ ছিল না এবং সে তার বন্ধুকে কোনভাবে সাহায্য করতে পারছিল না। একসময় সেই বন্ধুটি যখন পড়াশোনা করে উচ্চ পদস্থ একটি চাকরি পেল। যেহেতু সে অনেকদিন বাইরে পড়াশোনা করে এসে দেশে এসে সেই চাকরিটি পেল। তাই একদিন সে যখন এই অফিসে প্রথম জয়েন করল তখন সে যখন গেট দিয়ে ঢুকছিল তখন সে তার বন্ধুটিকে চিনতে পারলো। আসলে বন্ধুটি এর আগেও তার সেই বন্ধুটিকে দেখেছিল কিন্তু মানসম্মানের ভয়ে সে তার বন্ধুটির কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল। আসলে সেই বন্ধুটি যখন তার সেই গরিব বন্ধুটিকে দেখতে পেল তখন সে তার কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরল।
তখন সেই বড়লোক বন্ধুটি তার সেই বন্ধুটিকে বলল যে, তোকে আমি অনেক খুঁজেছি গ্রামে। কিন্তু তোরা গ্রাম ছেড়ে কোথায় চলে গেছিস। কাউকে বলে যাস নি। তখন সে তার পুরো অভাবের কথাটা তাকে শোনালে তার চোখ দিয়ে জল চলে এলো। আর এজন্য সে শহরে এসে এই অফিসের দারোয়ানের চাকরিটি পেল। তখন এক বুক ভরা ভালোবাসা নিয়ে বন্ধুটিকে সে ভিতরে নিয়ে গেল। আসলে সবাই এই ব্যাপারটি দেখে অবাক হয়ে গেল এবং জিজ্ঞাসা করল এই দারোয়ানটি তার কি হয়। তখন সবার কাছে সে তাদের পূর্বের ঘটনাগুলো তুলে ধরল। আসলে বন্ধু দারোয়ান হলেও সে তাকে কখনো ছোট না করে তার পরিচয় সবার কাছে উন্মুক্ত করে দিল। আর সবাই তাদের এই ঘটনার কথা শুনে চোখ দিয়ে জল চলে এলো। আসলে বন্ধুত্বটা এমনই হওয়া উচিত। কেননা এই পৃথিবীতে আমাদের সকল বন্ধুরা কিন্তু সাফল্য অর্জন করতে পারে না। তাইতো সাফল্য অর্জনের পরে যদি আমরা আমাদের বন্ধুদেরকে ভুলে যাই তাহলে আমাদের বন্ধুত্ব কখনো প্রকৃত বন্ধুত্ব ছিল না।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
well অবশ্যই কমেন্ট করতে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
好যাক।এক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit