আকাশের স্বপ্ন পূরণ ( তৃতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  7 days ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আকাশ কোন কথা না বলে সেগুলোই খেয়ে নিলো। সে মনে মনে চিন্তা করতে লাগলো বাজারের টাকা তো সে সবার সমানই দেয়। তারপরেও মাঝে মাঝেই তার খাবারে শর্ট পড়ে। খাওয়া দাওয়া করে আকাশ রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লো। পরদিন যথারীতি আবার আকাশ টিউশনি করাতে গেলো। আজকালকার টিচাররা সাধারণত ছাত্রদেরকে ঘড়ি ধরে এক ঘন্টা পড়ায়। কিন্তু আকাশ তার দুটো ছাত্রকেই দীর্ঘ সময় নিয়ে পড়ায়। যার ফলে ছাত্রদের গার্জিয়ানরা আকাশের উপর মোটামুটি খুশি। সকালে টিউশনিটা সেরে এসে আকাশ একটা লাইব্রেরীতে গিয়ে চাকরির ইন্টারভিউ এর বিজ্ঞাপন দেখতে লাগলো।

1000001163.png

বেশ কিছুক্ষণ লাইব্রেরীতে কাটিয়ে আকাশ রুমে ফিরে এলো। বিকাল বেলায় আবার সে বের হলো তার দ্বিতীয় টিউশনি করানোর জন্য। সন্ধ্যার পরে আকাশ তার দ্বিতীয় ছাত্রের বাড়িতে প্রবেশ করতেই ছাত্রের মা এসে বললো। আর কয়দিন পরে ওর পরীক্ষা। আগামী একটা মাস ওকে একটু বেশি সময় নিয়ে পড়াবে। আকাশ বললো আন্টি আমি তো ওকে যথেষ্ট সময় নিয়ে পড়াই। তখন মহিলা উত্তর দিলো তাতে হবে না। আরো বেশি সময় দিতে হবে। তুমি বসে ওকে হাতে কলমে সবকিছু দেখিয়ে যাবে।

আকাশ আর কোন কথা না বলে ছাত্রকে পড়াতে লাগলো। যখন ছাত্রের বাড়ি থেকে আকাশ বের হোলো তখন রাত সাড়ে নটা পার হয়ে গিয়েছে। মফস্বল শহরের রাস্তাঘাট গুলো ইতিমধ্যেই বেশ নির্জন হয়ে পড়েছে। ছাত্রের বাড়ি থেকে আকাশের মেসের দূরত্ব বেশ খানিকটা। প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার হবে। টাকা পয়সার টানাটানির কারণে আকাশ সব সময় হেঁটেই যাতায়াত করে। সেদিনও আকাশ ধীরে সুস্থে তার মেসের দিকে যাচ্ছিলো। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আকাশ এতো সময় নিয়ে তার স্টুডেন্টদের পড়ানোর পরেও যদি এসব বলা হয়,তাহলে তো ব্যাপারটা একেবারে অনৈতিক হয়ে গেলো। আসলে মানুষ সুযোগ পেলে এমনটাই করে। এতো রাতে টিউশনি শেষ করে ৫-৬ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যাওয়া তো খুবই কষ্টকর।