আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
এই লেখাটি আমি দুইটি পর্ব আকারে লিখবো। কারণ তা না হলে অনেক বেশি লেখা হয়ে যাবে এবং আপনাদেরও পড়তে ও খুব একটা ভালো লাগবে না।
এই পোস্টটি কখন পাবলিশ করা হবে। সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে যখনই পাবলিশ করা হোক না কেনো।এই পোস্টটির কাহিনীটা হলো ঈদ-উল-ফিতর এর একটি দিন এর।
যারা জানেন না উনাদের জানার সুবিধার্থে যদি বলি। তবে এই একটা দিনের জন্য মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন পুরো ৩০ টা দিন অপেক্ষা করে থাকে। এবং এক ত্যাগের মাস কাটায়। এই মাসে ৩০ দিন রোজা রাখে সৃষ্টিকর্তার রহমতের আশায়।
সে যাই হোক। এই ব্যাপার গুলো আসলে সকলেই জানে। তাও কেউ যদি না জেনে থাকে, সে কারণেই বললাম। এখন আসলে আমার সেই দিনটা কেনো দুর্বিষহ হয়েছিলো।অর্থাৎ এই বছরের এই ঈদুল ফিতরের দিনটা কেনো আমার জীবনের খুব দুর্বিসহ একটি দিন হয়েছিলো।সেটাই আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট করে শেয়ার করবো।
মোটামুটি আমার পরিবার বলতে আমার বাবা-মা আমরা ভাই বোন মিলেই আমাদের পরিবার। তো অন্যান্য সময় বাড়তি কেউ থাকলেও। ঈদের সময় কিংবা বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোর সময় বাইরের লোকরা থাকে না। কারণ সবাই যার যার পরিবারের সাথে ঈদ করে সে কারণে। এবং সেজন্যেই সেইবারের ঈদেও আসলে আমাদের পরিবারে বাবা-মা, আমি এবং আমার ভাই বোন ছাড়া আর কেউই ছিলো না এবং আমি আমার পরিবারের বড় সন্তান।
তো আসলে ঈদ-উল-ফিতর নিয়ে আমি এবং আমার মা অনেক রকমের রান্নাবান্নার প্ল্যানিং করে রেখেছিলাম এবং বাবাও সে অনুযায়ী বাজার করেছিলো।।ঈদের দিন খুব মজা করে অনেক কিছু রান্না করার জন্য। কিন্তু ঈদের দিন সকাল হতে হঠাৎ করে আমার মায়ের প্রায় অসম্ভব জ্বর উঠে যায় এবং তিনি প্রায় প্রলাপ বকা শুরু করেন।
এরপরে তো প্রায় আমি সবগুলোই রান্নাবান্না করলাম। আর সেটা ছিলো আমার জীবনের প্রথমবার এতো সময় ধরে এবং এতো কিছু করা কিচেনে। তাই সকলের কাছে ব্যাপারটা সামান্য মনে হলেও। আমার কাছে যে কতোটা দুর্বিষহ ছিলো।সেটা আমি বলে প্রকাশ করতে পারবো না এবং মোটামুটি পুরো দিনটাই আমার এমন কেটেছে। অর্থাৎ দুটো পা বোধহয় আমি একসাথে করতে পারিনি পুরো দিনে। এবং তখন আমার থেকে থেকে আসলে কান্না পাচ্ছিলো। কারণ এতো কিছুর প্রেসার নেওয়ার মতো অবস্থা কিংবা পরিস্থিতি আমার কখনোই এর আগে সৃষ্টি হয়নি।
এরপর তো....
(চলবে)
প্রতিটি মা নিজের সংসার একেবারে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করে সবসময়। কিন্তু এটা হয়তো আমরা অন্য সময় সেভাবে উপলব্ধি করতে পারি না। তবে একজন মা যখন অসুস্থ থাকে, তখন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাই মায়ের অবদান সংসারে কতটুকু। যাইহোক ঈদের সময় খুবই বাজে সময় কাটিয়েছেন। কারণ যারা রান্না করতে অভ্যস্ত না,তাদের রান্না করতে খুবই কষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit