পৃথিবী সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ এবং একমাত্র গ্রহ যেখানে জীবনের অস্তিত্ব নিশ্চিত যেখান থেকেই আমি এই পোস্ট লিখছি এবং আপনি পড়ছেন। আমাদের চারিপাশে আমরা যা কিছু দেখতে পারছি, সবকিছুই আমাদের এই পৃথিবীর মধ্যেই অবস্থিত। আমাদের কাছের মানুষ, আমাদের আত্মীয়-স্বজন, ভালোলাগার জায়গা গুলো কিংবা ভ্রমন প্রিয় মানুষদের কাছে যত ধরনের জায়গা রয়েছে এই সব কিছুই কিন্তু পৃথিবী নামক গ্রহে অবস্থিত এবং এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এই পৃথিবী ব্যতীত অন্য কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। আমাদের গ্রহের আকার, গঠন এবং বৈচিত্র্যের দিক থেকে অনন্য যা অন্য কোন গ্রহে নেই।
পৃথিবী আমাদের কাছে অনেক বেশি বড় মনে হলেও পৃথিবীর ব্যাস কিন্তু ১৩ হাজার কিলোমিটারের চেয়েও কম। আমাদের এই প্রাণপ্রিয় পৃথিবী একটি রকি প্লানেট কিংবা পাথর দ্বারা তৈরি এবং এর সবথেকে ভিতরে রয়েছে একটি কোর যা মেটাল দিয়েই তৈরি যা অনেকটা চাপের মধ্যেই রয়েছে। এই মেটাল যখন ঘূর্ণন অবস্থায় থাকে তখন একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে যা সূর্য থেকে আসা অতি বেগুনের রশ্মি থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে। পৃথিবীতে অনেক ভূগর্ভস্থর রয়েছে, যেগুলো পরবর্তীতে অন্য কোন পর্বে জেনে নেওয়া যাবে। আমাদের এই পৃতিবীতেই জীবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন ৭৮% এবং অক্সিজেন ২১% সহ বিভিন্ন গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে যা জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। বর্তমানে পৃথিবীতে ২১% অক্সিজেন থাকলেও অতীতে এই শতকরা অনেক বেশি ছিল। কেউ কেউ মনে করে ৩০ শতাংশ অক্সিজেন ছিল এবং অক্সিজেনের মাত্রা যত বেশি ছিল তখন আমাদের পৃথিবীর গাছপালা এবং জীবও অনেক বড় বড় সাইজের হত, ঠিক যেমন ডাইনোসররা।
আমরা সকলেই জানি পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টায় একদিন হয় অর্থাৎ পৃথিবী নিজ অক্ষে একবার ঘুরে আসতে ২৪ ঘন্টা সময় লাগে। কিন্তু পৃথিবীতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ৩৬৫ দিন ৮ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ট সময় লাগে। আমরা সাধারণত জানি ৩৬৫ দিনে একটা দিন হয় কিন্তু হিসাব মতো সেই দিনগুলো অনেকটা বেশি হয়ে যায় কারণ ৮ ঘণ্টা করে একটু বেশি পড়ছে প্রতিবছর। সেক্ষেত্রে আমরা প্রতি চার বছর পর পর একটি লিপ ইয়ার বছর বা একটি দিন যোগ করে থাকি, যেটা আমাদের হিসাবকে সম্পূর্ণরূপে ঠিকঠাক রাখে।
আমাদের পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ হচ্ছে চাঁদ। যার প্রভাবের কারণেই সমুদ্রে এবং নদীতে জোয়ার ভাটার বিষয়গুলো সংঘটিত হয় এই বিষয়ে পরবর্তীতে কোন একদিন বিস্তারিত আলোচনা করে নেব। আমাদের সৌরজগতের যদি অন্যান্য গ্রহের দিকে তাকাই তাহলে পৃথিবী কিন্তু সবথেকে বেশি বসবাসযোগ্য পূর্ণ এবং এখানেই আমরা সকলেই বসবাস করছি। তাই এই পরিবেশ যেন আমরা খুব দ্রুত হারিয়ে না ফেলি তাই পরিবেশের রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনারা সবাই ভালে থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
অসাধারণ সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অত্যান্ত শিক্ষণ একটি পোস্ট এটা। আপনার এই পোস্টটি পড়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত লেখাগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
৩০% অক্সিজেন থাকা আর ২১% অক্সিজেন বর্তমান সময়ে থাকা দুটোর মধ্যেই কিন্তু অনেকটা পার্থক্য বিরাজমান। দিন যাচ্ছে আমাদের পৃথিবী থেকে অনেক কিছুরই বিলুপ্তি ঘটতেছে। আগামীতে আরোও কি ঘটতে চলেছে এটা বলা মুশকিল। পৃথিবী গ্রহ সম্পর্কে অজানা বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে। ভীষণ ভালো লাগলো। পরবর্তীতে আশা করছি আবারো নতুন গ্রহ সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে উপস্থিত হবেন ,ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit