অকৃতজ্ঞ সন্তান (প্রথম পর্ব)

in hive-129948 •  3 days ago 

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


হঠাৎ করে কলিংবেলের শব্দে সোহেলের ঘুম ভেঙে গেলো। এই ঘুমানোর সময় কে কলিং এর বাজালো এটা চিন্তা করে সোহেল বিরক্তি নিয়ে দরজা খুললো। দরজা খুলেই দেখে খলিল চাচা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাকে দেখে সোহেল প্রচন্ড বিরক্ত হোলো। এই লোকটা মাঝে মাঝেই তার কাছে সাহায্য চাইতে আসে। তাকে দেখে সোহেল কর্কশ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো এটা কাউকে বিরক্ত করার সময় হোলো? কেবল ঘুমাতে যাবো আপনি দিলেন ঘুমটা নষ্ট করে। খলিল মিয়া লজ্জিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইলো। সোহেল তখন বললো কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240504_213920_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

খলিল মিয়া বললো বাবাজি কিছু টাকার দরকার ছিলো। ছেলেটার বই কিনতে হবে। এই কথা শুনে সোহেলের মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো। এই লোকটা মাঝে মাঝেই সোহেলের কাছে সাহায্য চাইতে আসে। এসে বলে তার ছেলের পড়ালেখার জন্য সাহায্য লাগবে। প্রথম প্রথম সোহেল আগ্রহ নিয়ে তাকে সাহায্য করেছিলো। কিন্তু তারপর থেকে লোকটা মাঝেমাঝেভ আসতে থাকে। সোহেল সরাসরি তাকে বলে দিলো এখন টাকা পয়সা নেই। সামনের মাসের প্রথম দিকে আসবেন। সাথে তাকে দু কথা শুনিয়েও দিলো।


তাকে বললো আপনাকে বারবার বলেছি না আপনার ছেলেকে বলবেন নিজের পড়ালেখার খরচ নিজেকে জোগাড় করতে। এই শহরে বহু ছেলেপেলে আছে যারা প্রাইভেট টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ নিজেই চালায়। আবার অনেকে সেখান থেকে বাড়িতেও টাকা পাঠায়। আপনি এভাবে কতোদিন ছেলের পড়ালেখা চালাবেন? এই কথা বলে সোহেল খলিল মিয়াকে বিদায় করে দেয়। খলিল মিয়া মন খারাপ করে সেখান থেকে বিদায় নেয়। তারপর যথারীতি সোহেলের জীবন তার স্বাভাবিক নিয়মেই চলছিলো। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রতিটা বাবাই চায় তার সন্তান যেন আদর্শ নৈতিকতা নিয়ে বড় হয়ে ওঠে আর নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। খলিল মিয়ার কাছে যে কথাগুলো বলা হয়েছিল সেটা শুনে তার মন খারাপ করা স্বাভাবিক। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

সোহেল কিন্তু খলিল মিয়াকে ঠিকই বলেছে,বর্তমানে অনেকেই টিউশনি করিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই চালাচ্ছে। আমার তো মনে হচ্ছে খলিল মিয়ার ছেলে অলস প্রকৃতির। তাই সে টাকা চায় খলিল মিয়ার কাছে। যাইহোক দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।