একদিন, রমেশ স্যার অনেক বয়স হয়ে যাওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন। গ্রামের লোকজন তার অবদান স্মরণ করে একটি ছোট অনুষ্ঠান আয়োজন করে। রাজু সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়। সে সবাইকে জানায় যে তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা সে পেয়েছে রমেশ স্যারের কাছ থেকে। তিনি বলেন, “স্যার আমাকে শুধু পড়াশোনার গুরুত্বই শিখাননি, আমাকে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাও দিয়েছেন। তার দৃষ্টিভঙ্গিই আমাকে একজন আদর্শ শিক্ষক হতে অনুপ্রাণিত করেছে।” রাজু আরো বলে স্যারকে দেখেই আমি শিখেছি একজন প্রকৃত শিক্ষক শুধু পড়াশোনা শেখান না, তারা তাদের শিক্ষার্থীদের জীবনে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং মূল্যবোধও দিয়ে থাকেন। সেই সাথে রমেশ স্যার রাজুর জীবনে কি রকম ভূমিকা রেখেছে কিভাবে তাকে সবসময় সাহায্য করেছে সেই কথাও সেদিন রাজু তার বক্তৃতায় তুলে ধরে। রাজুর কথা শুনে রমেশ স্যারের চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে।
তবে রমেশ স্যার শিক্ষকতা থেকে অবসরে গেলেও তিনি ছাত্রদের পড়ানো বন্ধ করেন না। তিনি তার বাড়িতে দুর্বল ছাত্রদের পড়াতে থাকেন। আর এই কাজে রাজু তাকে সবসময় সহযোগিতা করতে থাকে। রাজু রমেশ স্যারকে নিজের পিতার মতো শ্রদ্ধা করে। সেই সাথে রমেশ স্যারের যে কোন সমস্যায় রাজু সবচাইতে আগে দৌড়ে যায়। এভাবে চলতে চলতে একদিন হঠাৎ করে রমেশ স্যার মারা যান। তবে তিনি মারা গেলেও তার আদর্শ রাজুর ভেতরে রেখে যান।
এভাবেই, রমেশ স্যার তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গিয়েছিলেন, যা তাদের জীবনকে পরিবর্তিত করে দিয়েছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রমেশ স্যারের জীবনটা একেবারে ধন্য হয়ে গিয়েছে। কারণ তিনি মৃত্যুর আগে রাজু’র মতো একজন ছাত্র পৃথিবীর বুকে রেখে যেতে পেরেছে। রাজু অবশ্যই রমেশ স্যারের মতো স্টুডেন্টদের প্রতি খেয়াল রাখবে এবং ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit