আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে বর্তমান দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নিজের কিছু মতামত আপনাদের সকলের সামনে তুলে ধরা যাক। হয়তো দেশের অবস্থান সম্পর্কে খুব একটা অবগত নই। কারণ দেশের অবস্থা আমরা যা দেখছি, তার সত্যিকার অবস্থা হয়তো তার একেবারেই বিপরীত। কারণ যতো দিন যাচ্ছে, ততোই আমাদের দেশের অবস্থা আরো বেশি অবনতি হচ্ছে। তাই দেশের অবস্থা নিয়ে কিছু বলতে গেলে বর্তমানে ভয় হয়। কারণ বারবার এটাই মনে হয় যে, নিজের দেশটা বোধ হয় হারিয়েই যাচ্ছে।
তার একটি অকাট্য প্রমাণ হলো বর্তমানে বাংলাদেশের চলাকালীন এক কোটা বিরোধী আন্দোলন। কারণ এই আন্দোলনের মূল বক্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশের মেধার কোনো স্থান নেই এবং এটা একেবারে সত্যিই একটা কথা। কারণ এতো বেশি কোটা প্রতিটা সেক্টরে রাখা হয়েছে। যার কারণে আসলে মেধাবীদের স্থান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি এমন একটা সরকারি পরীক্ষার অবস্থা আমি দেখলাম, যেখানে একজন সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে মেধা তালিকায়। তাও তাকে সেই চাকরিতে নেওয়া হয়নি। কারণ সেই চাকরিতে বেশিরভাগ কোটার মানুষদেরকেই নেওয়া হয়েছে।
এ কারণেই আমার মনে হয় বর্তমানে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে। সেটা বহাল রাখাই সবচেয়ে ভালো হবে,যতোক্ষণ না পর্যন্ত সরকার স্টুডেন্টদের দাবি মেনে নিচ্ছে। কারণ একজন শিক্ষার্থী অনেক কষ্ট করে একটা সরকারি চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। আর সেখানে যদি এতো বেশি কোটা থেকে যায় এবং মেধার কোনো যাচাই না করা হয়। তাহলে আমি মনে করি সেটা সম্পূর্ণ অন্যায়।
চাকরির বাজার খারাপ এটা কমবেশি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু চাকরির বাজার খারাপ বলেই যে চশুধুমাত্র মেধার কোনো অবস্থান থাকবে না, কোটার অবস্থান থাকবে। এমনটা কোনো কথা নেই। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশটাকে এসবের লোভে স্বাধীন করেনি। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশটাকে স্বাধীন দেখতে চেয়েছেন বলেই স্বাধীন করেছেন। তাই উনাদের স্বাধীন করা দেশটাতে যদি মেধার কোনো অবস্থান ই না থাকে। তাহলে আমি মনে করি এটা আমাদের ওই শহীদ হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ই অপমান। যোদ্ধারা নিজের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন দেশের মাটির জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু বর্তমানে দেশের জনগণ সরকারের কাছে পরাধীন। তাই আমি মনে করি এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এবং মেধার একটা স্থান সৃষ্টি করার জন্য বর্তমানের এই আন্দোলন একেবারে যুক্তিযুক্ত। যে দেশে মেধার কোনো জায়গা নেই সে দেশ যে কতোটা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছে। সেটা আসলে আমরা সকলেই বুঝতে পারছি, এখন শুধুমাত্র বদলের অপেক্ষা।