অহংকারের পতন অনিবার্য (প্রথম পর্ব)

in hive-129948 •  6 days ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সাহেদ ফাইলে কয়েকটি ভুল দেখতে পেয়ে বেশ বিরক্ত হোলো। সেই হাত বাড়িয়ে তার পাশে রাখা ইন্টারকমে তখনই আহাদ সাহেবকে রুমে ডাকলো। আহাদ সাহেব তার অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করে এসে দাঁড়িয়ে রইলো। তখন সাহেদ তার দিকে ফাইলটা ছুড়ে দিয়ে বললো দেখেন তো এই ফাইলে কতোগুলো ভুল আপনি করেছেন? এইভাবে কাজ করলে হবে? কাজে আরো মনোযোগী হতে হবে। এই ধরনের ভুল আমি এরপর থেকে বরদাস্ত করবো না। কথা গুলো শুনে আহাদ সাহেব অবাক হয়ে সাহেদের দিকে তাকিয়ে রইলেন।

Polish_20240812_230916733.jpg

এই অফিসে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কাজ করেন। এতদিন সাহেদেন সাহেবের বাবা খোকন সাহেব অফিসের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি কিছুদিন আগে মারা যাওয়ার পর সাহেদ এসে অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করে। দায়িত্ব নেওয়ার পর আজকেই প্রথম তার সাথে কাজ নিয়ে তার কোনো কথা হোলো। তিনি তার কর্মজীবনে কখনো এই ধরনের বাজে ব্যবহারের সম্মুখীন হননি। শাহেদের বাবা খোকন সাহেব সব সময় তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতেন। তাই তাকে অফিসের সবাই পছন্দ করতেন। আহাদ সাহেব অবশ্য সাহেবের ব্যবহারের কথা তার কিছু কলিদের কাছ থেকে শুনেছেন।

তারা সবাই বলেছে সাহেদ বেশ রগচটা মানুষ। কিন্তু তাই বলে ছোট্ট একটা ভুলের জন্য এরকম বাজে ব্যবহার করবে এটা তিনি কিছুতেই মানতে পারছিলেন না। তারপরেও যেহেতু তিনি অফিসের মালিক তাই আর কথা না বাড়িয়ে আহাদ সাহেব নিজের টেবিলে চলে গেলেন। সেখানে গিয়ে মন খারাপ করে বসে রইলেন। পাশের টেবিলের মিজান সাহেব তাকে দেখেই বুঝতে পারলেন কি হয়েছে। তিনি বলতে লাগলেন মন খারাপ করে কি আর করবেন বলুন? অফিসের মালিক বলে কথা। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কাজ করলে তো ভুল হতেই পারে এবং এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই বলে এতো পুরনো একজন কর্মচারীর সাথে শাহেদের এমন ব্যবহার করা মোটেই উচিত হয়নি। আহাদ সাহেবের মন খারাপ হওয়ার-ই কথা। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।