আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন, গ্রামের সৌন্দর্য কতটা বেশি চমৎকার এবং ঐশ্বর্যময় পূর্ণ। হয়তো গ্রামে খুব একটা বেশি প্রযুক্তির ছোঁয়া নেই তবে গ্রামে রয়েছে মনের শান্তি এবং একদম খোলা বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার একটা আনন্দ। যেটা আসলেই শহরের ব্যস্ততম যানজটে বসে কখনো সেটা অনুভব করা যায় না। এইতো গতকাল আমি নীলফামারীতে এসেছি এবং এখানকার গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। বিশেষ করে বর্তমানে এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে শীত পড়েছে এবং ঢাকার অঞ্চলে খুব একটা শীতের আমেজ নেই বা শীতের প্রবাহ টা খুব বেশি বুঝতে পারা যায় না। তাই শীতের বিষয়গুলো উপভোগ করার জন্য, গ্রামের বাসায় চলে এসেছি।
এখানে দেখার মত অনেক চমৎকার চমৎকার জায়গা রয়েছে। তবে শীতকালে দেখার জন্য আলাদা ভাবে কিছু জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বপ্রথম অবস্থানে রয়েছে আমাদের নীল সাগর। কারণ শীতের সময় এই এলাকাটা খুবই চমৎকার একটি পরিবেশে রূপান্তরিত হয়ে যায়। বিশেষ করে অন্যান্য অঞ্চল থেকে অতিথি পাখিরা আসে এই নীল সাগরে যা এই নীল সাগরের সৌন্দর্য হাজার গুনে বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এই অতিথি পাখিগুলোকে দেখার জন্য হাজার হাজার পর্যটক এই শীতকালে নীল সাগরে ছুটে যান তাদেরকে দেখার জন্য। এছাড়াও নীল সাগরের অনেকগুলো পার্ক রয়েছে এবং চমৎকার এবং অনেক বড় একটি দীঘি রয়েছে। যেটার ব্যাস এবং দৈর্ঘ্য আমার বর্তমানে মনে পড়ছে না তবে এটাকে যেহেতু সাগরের সাথে তুলনা করা হয়েছে তাহলে এখান থেকে আপনারা এর দৈর্ঘ্যের আইডিয়া পেতে পারেন।
গ্রামের জায়গাগুলো ব্যক্তিগতভাবেই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। গ্রামীণ পরিবেশ, গ্রামের মানুষেরা সবাই অনেক আন্তরিক হয় এবং তাদের সামর্থ্য যাই থাকুক না কেন তারা মেহমান আপ্যায়নে কখনোই কৃপণতা করে না। আমি এই বিষয়টা আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। যদিও ইতিমধ্যেই গ্রামে যাওয়া হয়নি আশা করছি এক দুই দিনের মধ্যে এই গ্রাম থেকেও একটু ঘুরে আসব। যেহেতু নীলফামারী শহরেই আমাদের বাসা কিন্তু তারপরও এই এলাকাটা অন্যান্য শহরের তুলনায় এখনো একটু গ্রাম্য পরিবেশ রয়েছে। বুক খুলে নিঃশ্বাস গ্রহণ করা যায়, সেই নিঃশ্বাসে কোন ধরনের ধুলাবালি থাকে না এবং অনেক চমৎকার একটি এলাকা। আপনার এলাকায় কি অবস্থা বর্তমানে? আপনাদের এলাকায় কিরকম শীত করছে? সেটা অবশ্যই মন্তব্যে লিখে জানাতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।