শুভ লেখাপড়ায় মোটামুটি যার ফলে টিউশনি করে যে কিছু টাকা রোজগার করবে সে উপায়ও তার নেই। কারণ ভালো ছাত্র ছাড়া কেউ টিউশনির জন্য ডাকে না। যেহেতু শুভর রেজাল্ট ভালো না তাই টিউশনির চেষ্টা করেও তার কপালে কিছু জোটে নাই। নানা রকম চিন্তা করতে করতে শুভ কলেজের দিকে যেতে থাকে। কলেজের সামনে পৌঁছে শুভর প্রচন্ড পানির তেষ্টা পায়। তখন সে কলেজের গেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চটপটির দোকানদারের কাছে গিয়ে এক গ্লাস পানি খেতে চায়। সেখান থেকে পানি খেয়ে শুভ কলেজের ভিতরে প্রবেশ করে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
হঠাৎ করে শুভর মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। সে চিন্তা করতে থাকে যদি সেও পড়ালেখার পাশাপাশি এরকম ছোটখাটো কোনো ব্যবসা করতে পারতো। তাহলে তার আর টাকা-পয়সার সমস্যা হোতো না। শুভ টুকটাক রান্নাবান্না করতে পারে। বন্ধুরা যখন কোন পিকনিকের আয়োজন করে তখন শুভকে সবাই খবর দিয়ে নিয়ে যায়। কারণ শুভ টাকা দিতে না পারলেও চমৎকার রান্না করতে পারে। শুভ কলেজে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তা করতে থাকে সে যদি তার রান্নার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কোনো একটা ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে তাহলে বেচাকেনা খারাপ হবে না। সেদিন শুভ বাড়ি থেকে কলেজে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যায়। তারপর দুপুরে খেতে বসে তার মায়ের কাছে প্রসঙ্গটা উঠায় । শুভর বুদ্ধিটা তার মায়েরও পছন্দ হয়।
কিন্তু ছোটো করে একটা ব্যবসা শুরু করতে গেলেও কিছু পুঁজি লাগে। সেই পুঁজি কোথা থেকে জোগাড় হবে দুই মা ব্যাটা মিলে সেটা চিন্তা করতে থাকে। শুভর মা শুভকে বলে তুই চিন্তা করিস না। আমি যেভাবে হোক তোকে ব্যবসা করার টাকা জোগাড় করে দেবো। কিন্তু তুই কি ধরনের ব্যবসা করবি সেটা আগে ঠিক কর। শুভ রাতভর চিন্তা করে দেখে তাদের কলেজের আশেপাশে খাওয়ার কোন হোটেল নেই। সে যদি একটা ফুডকার্ট দিতে পারে যেখানে স্বল্প খরচে কলেজের ছেলে মেয়েরা খাওয়া-দাওয়া করতে পারবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
অভাব অনটনের সংসারে শুভর বেড়ে উঠা। পড়াশুনা মোটামুটি থাকা টিউশনিও করাতে পারছিলেন না। এমতাবস্থায় কলেজে প্রবেশের পূর্বে চটপটি দোকান থেকে এক গ্লাস পানি খেয়ে তার শুভবুদ্ধির উদয় হলো। পড়াশোনার পাশাপাশি যদি এরকম একটা বিজনেস করতে পারেন তাহলে অভাব অনটন থাকবে না। দারুন একটি গল্প উপহার দিচ্ছেন আমাদেরকে। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিটা ছেলে যদি এরকম চিন্তা নিয়ে গড়ে ওঠে তাহলে নিজেও স্বাবলম্বী হবে এবং পরিবারকেও সাপোর্ট দিতে পারবে। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি ধারাবাহিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit