আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম এমন একটা লেখা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করি। যেটা আমাদের সমাজে হওয়ার হামেশাই ঘটে থাকে। কিন্তু আমরা হয়তো দেখেও না দেখার ভান করে থাকি কিংবা এটা এমন একটা ইস্যু মনে করি। যে ইসুটা নিয়ে হয়তো কথা বলার প্রয়োজনবোধ ই আমরা করি না।
আমাদের সমাজে অনেক রকমের মানুষ রয়েছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নারী-পুরুষের মাঝে ভালো মানুষ যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনটাই খারাপ মানুষ রয়েছে। আসলে এভাবে করেই পৃথিবীটা গড়া। অর্থাৎ ভালো থাকবে, খারাপ থাকবে সবকিছু মিলেই আসলে আমাদের অবস্থা, আমাদের মানবজাতি ও সমাজ। আমরা ভেতর থেকে কেউই বলতে পারবো না যে, আমরা শতভাগ সঠিক। কারণ আমরা যেহেতু মানুষ, যেহেতু আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ এই কোনো না কোনো ভুল হয়েই থাকে। তবে একশ্রেণীর পুরুষ মানুষকে আমার একেবারেই পছন্দ নয় এবং সেটা হলো,
কিছু পুরুষ মানুষ দেখবেন, যারা তাদের বাস্তব জীবনে সবকিছুতেই একেবারে পারফেক্ট। যাকে বলে পারফেকশনিস্ট। কিন্তু একটা ক্ষেত্রে এসেই তারা কেমন যেনো গোড়ামীতেই অভ্যস্ত।অর্থাৎ তারা যতো ভালোই হোক না কেনো।তারা কখনোই পছন্দ করেনা যে, তাদের স্ত্রী চাকরি করুক এবং এটা তো আরো বেশি পছন্দ করে না যে, তাদের স্ত্রীর সেলারি তাদের চেয়ে বেশি হবে।
আমি আসলে বুঝতে পারি না, এই ধরনের মানসিকতার কারণটা কি। কারণ আমি মনে করি এই ধরনের মানসিকতা অনেক বেশি বাজে আমার কাছে মনে হয়। কারণ আমি একটা মানুষ হয়ে যদি অন্য একটা মানুষের সেলারি আমার চেয়ে বেশি হবে, এটাই মানতে না পারি। তাহলে আমার মন মানসিকতা কেমন, সেটা আসলে আর কারোই বুঝতে বাকি রইবে না। তাই না? কারণ স্যালারি ব্যাপারটা নির্ধারিত হয় তার কাজের উপরে, তার দক্ষতার উপর এবং তার অবস্থার উপরে। তাই আপনার স্ত্রী যখন আপনার উপরের কোনো পোস্টে চাকরি পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, এটায় আপনার খুশি হওয়া উচিত। আর এতে যদি আপনি খুশি না হয়ে বিপরীতে দুঃখ পান। তাহলে বুঝতে হবে, আপনার মন মানসিকতায় যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। এবং অতি দ্রুত আপনার মানসিকতা বদলানো প্রয়োজন।