কেমন আছেন সবাই! আশা করছি সকলেই ভালো আছেন।
আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সামনে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত বোধ করছি । আমি দীপ্তি মজুমদার। নোয়াখালীতে জন্ম হলেও আমার বড় হওয়া ঢাকাতেই। আমি আমার মা-বাবার একান্ত অনুগত সন্তান। কিছুটা অন্তর্মুখী হওয়ার কারণেই বোধ করি ছোটবেলা থেকে আমার গল্প বই পড়তেই বেশি ভাল লাগতো। আরো বড় হবার পর আমি যখন বড় বড় উপন্যাসিকদের গল্প পড়া শুরু করলাম, নিজের অগোচরেই সেইসব উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে কল্পনা করতাম। তাদের সুখ-দুঃখের, জয়-পরাজয়ের ঘটনা প্রবাহ এবং সেইসব সংকট থেকে উত্তরণের গল্প আমাকে অনুপ্রাণিত করত। সেই থেকে আমি নিজেও কিছুটা লেখার চেষ্টা করতাম। বস্তুত: মানুষের জীবনটা অনেকটাই গল্প উপন্যাসের মতই। যেমনটা আমরা বলে থাকি, সাহিত্য সমাজের দর্পণ। আমিও আমার জীবনে অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
আমার পেশাগত জীবন শুরু হয়েছে শিক্ষকতা দিয়ে। দীর্ঘ ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে আমি শিক্ষকতা করেছি। করোনা কালীন সময়ে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাদে হাতে অনেক সময় পেয়েছিলাম। সেই সময় আমি ইউটিউবে অনেক ধরনের ভিডিও দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। মূলত সেখান থেকেই আমি আমার বাংলা ব্লগ সম্বন্ধে জানতে পারি। যেহেতু আমি লিখতে পছন্দ করি, তাই আমার বাংলা ব্লগ আমার জন্য একটি নতুন সুযোগ উন্মোচন করে দিয়েছে বলে আমি মনে করি।
শিক্ষকতার পাশাপাশি আমি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। আমি রেডিও টেলিভিশনের একজন নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী। এছাড়া অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা হিসেবে ও আমি অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছি। সাহিত্য সংস্কৃতি আমার জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। লিখতে ভালোলাগার শুরুটাও সেখান থেকেই। এছাড়াও আমি রান্না এবং ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আমার মা একজন ভালো রাধুনী। আমাদের পরিবারের সকলেই সংস্কৃতিমনা।
আমার পরিবারে আছেন আমার মা-বাবা, আমার ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং আমার মা একজন গৃহিণী। আমরা ঢাকার খিলখেতে থাকি। আমার অনেক বেশি বন্ধু বান্ধব নেই। যে কজন আছে তাদের সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হয়। মাঝেমধ্যে আমরা যখন আড্ডায় বসি তখন বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। হাসি, আনন্দের পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসে। অনেক অজানা কিছুও জানা হয়ে যায়। একটি ভালো আড্ডা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে উজ্জীবিত করে।
আশা করছি আমার বাংলা ব্লগে, আমার অনেক পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখতে পারবো এবং সেই লেখার ভালো-মন্দ সম্বন্ধে সবার কাছ থেকে জানতে পারবো। নিঃসন্দেহে এটি একটি দারুন ভালো ব্যাপার! আশা করছি ধীরে ধীরে আমরা বাংলা ব্লগের একে অপরকে আরো বেশি করে জানতে পারবো যদি আমি এখানে লেখার সুযোগ পেয়ে থাকি। আমার বাংলা ব্লগের অন্যান্য সদস্যদের ব্লগ পড়ে যেটা বুঝতে পারলাম যে আমার বাংলা ব্লগ ভেরিফাইড সদস্যদের রেফারেন্স ছাড়া নতুন কোনো সদস্য নিচ্ছে না। আমি আমার বাংলা ব্লগের মডারেটরদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের নতুনদেরকে এখানে লেখার সুযোগ করে দিতে যেন আমরা আমাদের লেখার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সবার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে অবদান রাখতে পারি।
সবার ভালো থাকা এবং সুস্থতা কামনা করছি। আমি আমার বাংলা ব্লগকে এবং ব্লগের লেখাগুলো পড়তে ভালোবাসি। আশা করছি আগামীতে আরো কথা বলার সুযোগ পাবো। সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।
ধন্যবাদ।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন রেফারেন্স ছাড়া এখানে কাউকে ঢুকানো হয় না। এবং বাংলাদেশের মানুষদেরকেও আপাদত নেওয়া হচ্ছে না।তবে আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।আমিও কিন্তু নোয়াখালীর মানুষ আপু, আপনি নোয়াখালী শুনে আরো বেশি ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ঠিক বলেছেন আমার বাংলা ব্লগ আমার বাংলা ব্লগের ভেরিফাইড মেম্বারদের রেফার ছাড়া অন্য কোনো রেফার মেম্বার গ্রহণ করেন না।
তবে হা আপনাদের মত নতুন ইউজারদের জন্য আমাদের আরও দুইটি কমিউনিটির আছে আপনি চাইলে সেখানে পোস্ট করতে পারেন।
কমিউনিটি link ঃ Beauty of Creativity or Tron Fan Club, Link below
https://steemit.com/trending/hive-144064
https://steemit.com/trending/hive-183397
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit