প্রথমবার স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া ; শেষ পর্ব।

in hive-129948 •  last year 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার,৩০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


IMG_20230926_181147.jpg


ভেতরে গিয়েই প্রথমে আমি এবং আমার বন্ধুরা একটা গ্রুপ সেলফি নেয়। এরপর স্টেডিয়ামে যাওয়ার এন্ট্রি গেট এর দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু গিয়ে দেখি আরেক বিপওি। বেশ অনেক ভীড় এবং রীতিমতো ঠ‍‍্যালাঠেলি চলছে। কী করব ঐভাবেই দাঁড়ালাম এবং অনেক কষ্টে এন্ট্রি গেট -৪ দিয়ে স্টেডিয়ামে গেলাম। এটা ছিল আমার প্রথম স্টেডিয়াম এর ভিউ দেখা। বেশ অসাধারণ লাগছিল। গিয়েই দেখি সবাই বেশ উচ্ছসিত। বাংলাদেশের হয়ে ব‍্যাট করছে ক‍্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। আমরা আগে গিয়ে নিজেদের জন্য সিট খুজে নেয়। যেহেতু আমাদের সিট ছিল আপার লেভেলে আমরা সেখানেই চলে যায়। এরপর একেবারে উপরের দিকে আমরা পাঁচজন পাশাপাশি সিট নিয়ে বসি। এখান থেকে বেশ চমৎকার দেখা যাচ্ছিল খেলা। বলতে গেলে এর আগে আমার স্টেডিয়ামে খেলা দেখা নিয়ে ধারণা টা ছিল আলাদা। কিন্তু গিয়ে দেখলাম বেশ দারুণ খেলা দেখা যায়।


IMG_20230926_152128.jpg

IMG_20230926_152057.jpg

IMG_20230926_151435.jpg

IMG_20230926_151411.jpg

IMG_20230926_151229.jpg


আমাদের সাইডে ফিল্ডিং এ ছিল নিউজিল্যান্ড এর পেস বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। বেশ কয়েকবার ডাকলাম আমি সহ আরও কয়েকজন। কিন্তু আমাদের দিকে তাকালোই না। যাইহোক আমরা আমাদের মতো খেলা উৎযাপন করতে লাগলাম। এবং ক্রমেই দর্শকে ভরে গেল স্টেডিয়াম টা। কিন্তু বাংলাদেশের ব‍্যাটিং অবস্থা ছিল খুবই বাজে। ব‍্যাটসম‍্যান রা শুধু আসছে এবং যাচ্ছে। একপ্রান্ত আগলে রেখেছে অধিনায়ক শান্ত। শান্ত যতক্ষণ ছিল বাংলাদেশের রান এগিয়েছে। কিন্তু ৭০ রান পার করে শান্ত আউট হয়ে যায়। তখনই যেন নিউজিল্যান্ড এর স্পিনার রা আরও চেপে ধরে। কিছুক্ষণের মধ্যে ৩৫ ওভারে মাএ ১৭১ রানে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায়। অলআউট হয়ে গেলেও ওভার হিসেবে বাংলাদেশের রান বেশ ভালো ছিল। কিন্তু উইকেট ছিল না। এরপর ইনিংস ব্রেক শুরু হলো।


IMG_20230926_173332.jpg

IMG_20230926_171013.jpg

IMG_20230926_153635.jpg

IMG_20230926_153631.jpg

IMG_20230926_152143.jpg


ইনিংস ব্রেকে আমরা বসে গল্প করছিলাম। তখন দেখি মাঠের মধ্যে বাংলাদেশের খেলোয়ার এবং কোচিং স্টাফ রা মাঠের মধ্যে এসেছে। বেশ কাছ থেকে কয়েকজন খেলোয়ার শরিফুল ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, হাসান মাহমুদ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দেখা যাচ্ছিল। এবং বাংলাদেশের কোচিং স্টাফদেরও দেখা যাচ্ছিল। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। আধাঘন্টা বসে থাকার পর আবার ম‍্যাচ শুরু হলো। অল্প রানের টার্গেটে নিউজিল্যান্ড দেখেই খেলছিল। ততক্ষণে সন্ধ‍্যা হয়ে গিয়েছে। আমার বেশ খিদে লেগে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু করা নেই। স্টেডিয়ামে খাবারের দাম অনেক বেশি। বিশ টাকার বার্গার নেয় ৮০ টাকা। তার উপর সেটাও ফ্রেশ না। এবং পানির দাম প্রায় দ্বিগুণ। বিষয়টি আমার কাছে মোটেই ভালো লাগেনি। কারণ মাএ ৪৫ টাকার পানি কেন ১০০ টাকা নেবে। এটা কোন যুক্তিতে। কিন্তু কিছু বলার নেই।


IMG_20230927_133317.JPG

IMG_20230927_133253.JPG

IMG_20230926_193402.jpg

IMG_20230926_181202.jpg

IMG_20230926_181147.jpg

IMG_20230926_181125.jpg


ততক্ষণে বাংলাদেশ হারের দ্বারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছে। তখন আমরা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি। এবং খেলা শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়াম ত‍্যাগ করি। এটার কারণ ছিল বাড়ি যাওয়ার জন্য শেষ মেট্রো টা ধরব। কিন্তু দ্রুত গিয়েও কোন লাভ হলো না দেখি ৮ টার সময়ই মেট্রো টা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সত্যি বলতে বাংলাদেশের টাইম টেবিল এইরকম দেখে একটু ভালো লাগছিল। একটুও দেরি করেনি হা হা। এখন আর কিছু করার নেই উপায় একটাই সেটা হলো বাসে যেতে হবে। কিছুক্ষণ পর বাসে উঠে পড়লাম। এটাই ছিল আমার প্রথম স্টেডিয়ামে ম‍্যাচ দেখার অনূভুতি। কিন্তু সত্যি বলতে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছে ম‍্যাচটা এটা নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই। প্রথমবার স্টেডিয়ামে ম‍্যাচ দেখেছি এই উওেজনা টা আমার মধ্যে কাজ করছিল।



-------------
ফটোগ্রাফার@emon42
ডিভাইসVIVO Y91C
সময়সেপ্টেম্বর,২০২৩


সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_20230518_131529.JPG

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার মজাটাই অন্যরকমের। আমিও একবার বিপিএলের ফাইনাল খেলা দেখতে মিরপুর স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে। যদিও বাংলাদেশ হেরে গিয়েছে তারপরও আপনারা গ্যালারিতে প্রথমবার খেলা দেখতে গিয়েছেন বিধায় অনেক মজা পেয়েছেন।

স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়ার প্রথম পর্ব টা দেখেছিলাম খুব সুন্দর ভাবে আপনি টিকিট গ্রহণ করেছিলেন একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও। বেশ ভালো লাগলো আপনি নতুন একটা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে পেরেছেন এবং সেই সুন্দর অভিজ্ঞতাটা আমাদের মাঝে তুলে ধরে জানানোর চেষ্টা করেছেন দেখে।

প্রথমবার স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা এই ব্লগটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। যদিও আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি, আজই এই পর্বটি পড়লাম। ভাই স্টেডিয়ামে খাবারের দাম অনেক বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। সেখানে দশ টাকার জিনিস ১০০ টাকা নেবে, এটাই হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোন যুক্তি কাজে আসবে না কারণ তাদের এটা বিজনেস পলিসি ভাই। এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে এরকম জায়গায় গেলে। তবে বেশি টাকা নিয়ে ফ্রেশ জিনিসটা দেওয়াটা উচিত । আপনাদের কেনা বার্গারটি ফ্রেশ দেয়নি যা আপনার ব্লগের মাধ্যমে জানতে পারলাম এই কাজটি যদিও তারা ঠিক করেনি।

ট্রেন্ট বোল্ট হয়তো খেলা নিয়ে অনেকটা মনোযোগী ছিল, তাই আপনারা সকলে মিলে ডাকলেও তিনি সেই ডাক শুনতে পাননি। বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গেলেও,ইনিংস ব্রেকে আপনারা কয়েকজন প্লেয়ারকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেলেন জেনে ভালো লাগলো। আসলেই এরকম জায়গায় যেখানে একবার ঢুকে পড়লে আর বাইরে বেরোনোর সহজ উপায় নেই ,সেখানে খাবারের দাম গুলো এরকম বেশি নিয়ে থাকে। সুযোগের সৎ ব্যবহার , হা হা হা ।