প্রচণ্ড গরমে বন্ধুদের সঙ্গে গোলা।

in hive-129948 •  2 years ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার,২৫ ই , সেপ্টেম্বর,২০২২।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



Picsart_22-09-25_11-54-30-588.jpg



সেপ্টেম্বর চলছে তবুও গরমের তীব্রতা কমছে না। এখনো বেশ ভালো গরম পড়ছে। এই সময়ে এইরকম গরম একেবারেই অসহনীয়। আমাদের সেমিষ্ঠার ফাইনাল শুরু হয়ছিল আগষ্ট মাসের ২২ তারিখ এবং শেষ হলো সেপ্টেম্বর এর ২০ তারিখ। গতকাল থেকে আমাদের ব‍্যবহারিক পরীক্ষা ছিল। চারটা বিষয়ের ব‍্যবহারিক পরীক্ষা হবে ভাবছিলাম হয়তো দুই দিনে নেবে। কিন্তু কলেজে গিয়ে শুনি না একদিনেই নিয়ে নেবে সব। যদিও সবগুলো অ‍্যাসাইনমেন্ট নিয়ে গেছিলাম বুদ্ধি করে সেজন্য কোনো সমস‍্যায় পড়তে হয় নি। যাইহোক কলেজে গেছিলাম সকাল ৮ টাই। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল তার কিছুটা পর। এভাবে দিতে দিতে চারটা সাবজেক্টের ব‍্যবহারিক যখন শেষ করলাম দেখি দুপুর ২:৩০ টা বেজে গিয়েছে। একেতে প্রচণ্ড গরম তারপর আবার সকালে ভালোমতো খেয়ে আসিনি সেজন্য যেন গরমটা আরও বেশি লাগছে।। আমরা ৬ বন্ধু একসঙ্গে ছিলাম। বেশ গরম পড়েছে। অনেকদিন গোলা খাওয়া হয় না।।


IMG_20220924_144938.jpg

IMG_20220924_144909.jpg

IMG_20220924_144530.jpg

IMG_20220924_144546.jpg


আমি বললাম আজকে তো আমাদের পরীক্ষা শেষ এরপর আবার পুজোর ছুটি সবার দেখা হবে আবার ক্লাস খুললে চল আজকে একটু দেরিতে বাড়ি যায়। চল সবাই মিলে গিয়ে গোলা খেয়ে আসি প্রচণ্ড গরমও পড়েছে। এই কথাটা বলতেই সবাই রাজি হয়ে গেল।। আমাদের কলেজ থেকে কিছুটা গেলেই কুষ্টিয়া সরকারি সরকারি কলেজ। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে বেশ কয়েকটা গোলার দোকান আছে। সবাই মিলে ওখানে চলে গেলাম। এই ভর দুপুরে সেরকম ভীড় নেই। গোলার দোকানে সাধারণত দুপুরের আগে এবং বিকেলে একটু বেশিই ভীড় থাকে। যাইহোক প্রথমে গিয়েই বললাম মামা ছয়টা গোলা দাও। বলল মামা বসেন দিচ্ছি। আমরা সবাই একটু ফটোগ্রাফি করছি ঐ সেলফি আর কী। পরীক্ষা প‍্যারা শেষ একেবারেই শেষ আপাতত সেজন্য সবাই বেশ খুশি। এরপর দেখি আমার বন্ধু মাহফুজ আসছে। আমি বললাম দাড়া। পরে ওর জন্য আরেকটা মোট সাতটা গোলার অর্ডার দেয়। গরমের মধ্যে ঠান্ডা গোলা এর তুলনাই হবে না হি হি।।


IMG_20220924_145452.jpg

IMG_20220924_145439.jpg

IMG_20220924_145225.jpg

IMG_20220924_144927.jpg


আমার অন্য বন্ধুরা বসে গল্প করছে গোলাওয়ালা মামা গোলা তৈরি করছে আমি সেটার ছবি তুলছি এবং কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি। ওরা অবশ‍্য আমার এই অভ‍্যাসের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। ওরা জানে আমি কেন ছবি তুলি। এর সুযোগও ওরা প্রায়ই নিয়ে থাকে।। এরপর মামা বিভিন্ন ফ্লেভার এর সিরাপ দিয়ে সাতটা গোলা তৈরি করে দিল। সব বন্ধুরা একসঙ্গে গোলা খাব আর ছবি তুলব না তা কী করে হয় বলুন। প্রথমে চলল ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি শেষ করে গোলা খাওয়া শুরু করলাম। গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা গোলা বেশ চমৎকার লাগছিল। বন্ধুদের সঙ্গে এইরকম মূহুর্তগুলোর তুলনা হয় না। গোলা টা আবার বেশ ধৈর্যের সঙ্গে সময় নিয়ে খেতে হয় না হলে আসল মজাটা পাওয়া যায় না। আমরাও অবশ‍্য সেটাই করলাম। কারণ আজ আর বাড়ি যাওয়ার তাড়া নেই। আপাতত পড়তে বসারও চিন্তা নেই।


IMG_20220924_145716_1.jpg

IMG_20220924_145720.jpg

IMG_20220924_145714.jpg

IMG_20220924_145709.jpg

IMG_20220924_145716.jpg


গোলা খাওয়া শেষ হলো। ভেতরটা কিছুটা ঠান্ডা হলো। আলাদা একটা শান্তি অনুভব করছিলাম। এখানে গোলার দাম কম ২০ টাকা করে। সাতটা গোলার দাম আসে ১৪০ টাকা। এখন জানেন তো বন্ধুদের সাথে থাকলে কী হয়। প্রত‍্যেকটা ব‍্যাচে এমন দুই একজন থাকে যারা সবসময় বলে আমার টা তুই আজকে দিয়ে দে পরের দিন আমি তোর টা দিয়ে দেব। কিন্তু পরের দিন আর আসে না হি হি। মোটামুটি ইকরা, নাভিদ,তুহিন ওদের টাকা দিল। কিন্তু শাওন, রাসেল আর দিলনা বলল তুই দিয়ে দে পরে দিয়ে দেব। এবং মাহফুজকে আমি খাওয়াব বলেছিলাম। ফলস্বরুপ আমার টা সহ চারটার টাকা আমার দেওয়া লাগল। না সেটা কোনো ব‍্যাপার না। বন্ধুদের সাথে এই মূহুর্ত গুলো কখনোই ভোলার মতো না। তবে ওদের পরেরদিন কবে হবে সেটা আমার জানার কৌতূহল থেকেই যাবে। অপেক্ষায় থাকলাম হি হি। গোলা খাওয়া শেষ এখন বাড়ি যাব। আমাদের সবার বাড়ি এক শহরেই। যাইহোক বললাম গরমে বাসে উঠতে পারব না। সবাই মিলে একটা ইজিবাইক ঠিক করলাম। এগুলোতে যাওয়ার মজা হলো আস্তে আস্তে যায় বেশ সুন্দর বাতাস লাগে। সময় টা দারুণ ছিল। গরমে গোলাটা বেশ উপভোগ করেছিলাম।।





-------------
ফটোগ্রাফার@emon42 & Shawon
ডিভাইসRedmi note 10 pro
সময়সেপ্টেম্বর,২০২২


সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_-akkhy.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বন্ধুদের সঙ্গে যেকোনো কিছু খেতেই ভালো লাগে। তবে সেটি যদি হয় আইস গোলা তাহলে তো আর কথাই নেই একেবারে বাজিমাত।সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে এবং অনেক ইনজয় করেছি ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ
আপু আপনার মন্তব্য টা দেখে ভালো লাগল।

বন্ধুদের সাথে কোথাও যাওয়ার মজাই আলাদা। টিফিনে একসাথে খাওয়া, কোথায় একসাথে ঘুরছে যাওয়া। আমরাও একসময় ৫-৬ জন বন্ধু মিলে গরমের ভিতর আইসক্রিম খেতাম। মাঝেমধ্যে আইসক্রিম- ফুচকা খাওয়া হত। আপনার পোস্ট টি দেখে সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।

ভাইয়া আপনার বন্ধুদের সাথে আইস গোলা খাওয়ার অনুভূতিটা পড়লাম। ভালই লাগলো পড়ে। আপনার এখানে তো আইস গোলার দাম অনেক কম। আমাদের দিকে আইস গোলা ৪০ টাকা,৬০ টাকা আর ৮০ টাকা। সেই হিসাবে আপনারা তো ২০ টাকা করে খেয়েছেন। অনেক ভালই হয়েছে। লোকটাকে আমাদের দিকে পাঠিয়ে দেন। ধন্যবাদ।

আপনাদের ওখানে দেখছি সত্যি দামটা অনেক বেশি। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।