শীতের সৌন্দর্য।

in hive-129948 •  2 years ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, , ১৭ ই, ডিসেম্বর, ২০২২।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



IMG_20221216_164353.jpg



বাংলার রুপবৈচিএ হার মানিয়ে দেবে বিশ্বের যেকোন দেশকে। বাংলাদেশ হলো ষড়ঋতুর দেশ। তবে বর্তমানে মোটামুটি ঐ তিনটা ঋতু ভালোভাবে বুঝতে পারা যায়। এরমধ্যে রয়েছে শীত গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকাল। বাকিগুলো শরৎ হেমন্ত এবং বসন্ত ততটাও বোঝা যায় না। যাইহোক শীতকাল টা অনেকের কাছেই পছন্দ হলেও আমার কাছে খুব একটা পছন্দ না। কারণ ঐ একটাই ঠান্ডা। শীত আবার আমি একেবারে সহ‍্য করতে পারি না। তবে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, মিষ্টি রোদ, মাঠে ফুটে থাকা সরিষা ফুল আবার আমার পছন্দ। বলতে পারেন এগুলোর জন‍্যই আমার শীতকাল টা ভালো লাগে। বতর্মান সময়ে আমরা যেন একেবারে রোবটিক ভাবে জীবন যাপন করি। কলেজ লেখাপড়া কাজ এগুলোর বাইরে যে সময় টা পাই সেটা ইউটিউব ফেসবুকে কাটিয়ে দেয়। বাইরে বের হতে আর ইচ্ছা করে না। সেজন্য বাইরে এলাকায় কী হয়ে যাচ্ছে সেগুলো খুব একটা কানে আসে না।


IMG_20221216_164349.jpg

IMG_20221216_164341.jpg

IMG_20221216_164320.jpg


লোকেশন: কুমারখালী,কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ


বৃহস্পতিবার আমার বন্ধু মেহেদী আমাকে বলছে ইমন মাঠে সরিষা ফুল ফুটছে বেশ বড় হয়ে গেছে। আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে কাল বিকেলে যাব। সেই মতো গতকাল বিকেলে কোনো কাজ রাখিনি। বিকেল বেলা করে চলে গেলাম মাঠে। মেহেদী আগে থেকেই মাঠে ছিল। আমি গিয়ে দেখি ও কাজ করছে। ঐখান থেকে কিছুটা দূরেই দেখা যাচ্ছে সরিষা ফুলের ক্ষেত টা। সত্যি বলতে একসময়ে আমাদের গ্রামের মাঠে প্রচুর সরিষা চাষ করা হলেও এখন খুব কম চাষ করা হয়। এতো বড় একটা মাঠে মাএ দুইটা ক্ষেতে সরিষা চাষ করেছে। যাইহোক আমি এগিয়ে গেলাম সরিষা ক্ষেত টার দিকে। হলুদ রঙের সরিষা ফুল ফুটে আছে দেখে অসাধারণ লাগছিল। আমি গেছি সৌন্দর্য টা উপভোগ করার জন্য এবং কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য। এই সৌন্দর্য বছরে ঐ একবারই দেখতে পাওয়া যায় সেজন্য আর কী একটু বেশিই কৌতূহলী আমি সেটা বলতেই পারেন।।


IMG_20221216_163957.jpg

IMG_20221216_163953.jpg

IMG_20221216_163949.jpg


লোকেশন: কুমারখালী,কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ


আমি যখন ছোট ছিলাম বেশি না ঐ দশবছর বছর বয়স ছিল আমার পরিষ্কার মনে আছে তখন এই সময়ে আমাদের গ্রামের এই মাঠে সরিষা চাষ করা হতো। সেই সময়ে পুরো টা মাঠে সরিষা ফুল দেখতে অসাধারণ লাগতে এর যেন কোনো শেষ নেই। যাইহোক কিন্তু সেগুলো এখন সবকিছুই অতীত। যাইহোক ওটা হয়তো আর ফিরে পাব না আপাতত এখন যেটুকু আছে সেটা দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে হবে। আমি শুধু সরিষা ফুলের ছবিই তুলি। আমার সঙ্গে কেউ না থাকায় আমি নিজের ছবি তুলতে পারিনি।। যাইহোক সেটা ব‍্যাপার না। মোটামুটি ঘন্টাখানেক ছিলাম সরিষা ক্ষেতটার পাশে। সৌন্দর্য টা উপভোগ করছিলাম এবং ছবি তুলছিলাম। হয়তো এবার আর সময়ই করে উঠতে পারব না। যখন সময় পাব এসে দেখব,না আর নেই সরিষা ফুল সেগুলো ঝড়ে গেছে। এমন করতে করতে সন্ধ‍্যা নেমে গেলে সূর্যটা একেবারে হেলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। আজ অনেক সৌন্দর্য অবলোকন করা হলো, আজ ফিরতে হবে বাড়ি।।


IMG_20221216_163940.jpg

IMG_20221216_163815.jpg

IMG_20221216_163755.jpg


লোকেশন: কুমারখালী,কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ


মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র। আজ এখানে তো কাল সেখানে। পরের বছর গ্রামে হয়তো থাকতে পারব না। আর দেখাও হয়তো হবে না এই সৌন্দর্য,দেখতে পারব না অপরুপ সেই পরিবেশ। ক্রমেই এগুলো হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কারণ আমরা এখন দেশী এসব বাদ দিয়ে বিদেশী পণ‍্যে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশী এইরকম কিছু জিনিস। তবে আগের থেকে মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে সয়াবিন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতি করে। এখন আবার মানুষ ফিরে আসছে সেই পুরানো সরিষা তেলে। সরিষা তেলের যেমন গুণাগুণ আছে একইভাবে এটা মানব দেহের কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু সয়াবিন আমাদের মানবদেহের জন্য মোটেই উপকারি না। এগুলো একটু বাইরের আলোচনা। তবে আমরা যদি আবার এগুলো ব‍্যবহার করি তাহলে হয়তো চাষিরা আবার আগ্রহী হবে সরিষা চাষে। আবার দেখা যাবে সরিষা ফুলের সমারোহ যার কোনো শেষ থাকবে না। একেবারে চোখ জুড়িয়ে যাবে।।




-------------
ফটোগ্রাফার@emon42
ডিভাইসVIVO Y91C
সময়ডিসেম্বর ,২০২২


সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_-akkhy.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শীতের সময় আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি সরিষা খেতে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগছে। সরিষা ক্ষেত আমার অনেক পছন্দের। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বাংলাদেশ ষড়ঋতু হলেও গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শীত ঋতুতেই প্রকৃতি বিভিন্ন ভাবে সেজে ওঠে। অন্যান্য ঋতু গুলো তেমন একটা টের পাওয়া যায় না। যাইহোক আপনি খুব সুন্দর সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সরিষা ক্ষেত সামনাসামনি কখনো দেখা হয়নি। আসলে গ্রাম ছাড়া এগুলা দেখা সম্ভব না। আপনিও হয়তো পরের বছর গ্রাম থেকে চলে আসলে এই জিনিস গুলো অনেক মনে পড়বে আপনার। ধন্যবাদ ভাইয়া অসাধারণ এবং মনমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

আমার কাছে শীতকালটা সবসময়ই দারুন লাগে। শীতের সকাল খুব মোহনীয় একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে। যখন কুয়াশার মধ্যে দিয়ে সূর্য ওঠে, ঐ সময়টা দারুন লাগে আমার কাছে। সরিষার ফুলগুলো দারুন দেখতে। আমি গ্রামে গেলে সরিষার ফুলের পাকোড়া খাই। এতো সুন্দর সরিষার ফুলের ছবি দেখে সত্যিই আমি কিছুক্ষণের জন্য গ্রামে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। ধন্যবাদ তোমায় এই চমৎকার পোস্টটি আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

সত্যি বলেছেন ভাইয়া বর্তমান সময়ে আমরা রোবটিক ভাবে জীবন যাপন করি।প্রয়োজনীয় কিছু কাজ বাদে বাকি সময় ফেসবুক বা ইউটিউব দেখে কাটায়। সরিষা ক্ষেত্রে আপনি দারুণ সময় কাটিয়েছেন। আসলে ভাইয়া মানুষের জীবন এমনি আজ এখানে তো কাল অন্য খানে।শীতের সৌন্দর্য আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।তবে শীতের শুধু মিষ্টি রোদ সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলছেন জীবন বড় বৈচিত্রময় আজ এখানে কাল অন্য জায়গায় এবং অন্য আর একদিন পাব কিনা সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই।আমাদের এখানে দক্ষিণাঞ্চলে সরিষার ক্ষেত নেই বললেই চলে।তবে খুব অল্প পরিমাণ করা হয় খাওয়ার জন্য।আপনি অনেক সুন্দর করে সরিষা ফুলে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন।ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সরিষার ফুল দেখার সুযোগ হয়ে গেল।খুব সুন্দর লাগছে সরিষার ফুল গুলো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন শরৎ আর হেমন্ত তেমন টের পাওয়া যায় না।তবে শীত কাল টা খাওয়া দাওয়ার জন্য পারফেক্ট। যাই হোক আসলেই আগে গ্রামে যতদূর সরিষার সময় খালি সরিষা ক্ষেত দেখা যেত।এখন অনেক কম দেখা যায়।আপনি ছবিগুলো বেশ সুন্দর তোলেছেন,বেশ ভালো লাগছে সরিষা ক্ষেতের ছবিগুলো।ধন্যবাদ

ভাইয়া শীতকালটা আসলে এই কারণেই একটু খারাপ লাগে শীতের কারণ। কিন্তু শীতকালের প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র আমাকে মুগ্ধ করে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন ।সরিষার খেতে আমার ইচ্ছে করছে মনের আনন্দে নেচে বেড়াই। আসলে গ্রামীণ পরিবেশের সৌন্দর্যের সাথে কোন কিছুরই তুলনা চলে না।

আসলে যদিও ছয় ঋতু দেশ বাংলাদেশ কিন্তু এখন আর সেই সেটা মানায় না। কারন আমাদের দেশে একটানা গরমের প্রভাব টাই বেশি। ডিসেম্বর মাস আসার সাথে সাথে শীতের প্রকোপ বেড়ে যায় কিন্তু এখন তারপর ওটাই ভিন্ন হয়ে গেছে। আপনি খুব সুন্দর সরিষার খেতের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এই ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য শুধু গ্রামেই সম্ভব।

ভাইয়া আপনার শীতকালীন সরষে বাগানের ছবি দেখে আমার তো মন ছটফট করছে। মনে হচ্ছে দৌড়ে যেয়ে আপনার সরষে বাগানে বসে থাকি। সকালের মিষ্টি রোদের সরষে বাগান গুলো যেন প্রাণবন্ত। তবে আপনার কাছে শীতকাল ভালো না লাগলেও আমার কাছে কিন্তু বেশ লাগে।

আসলে শীত কাল আমার পছন্দের তবে প্রচন্ড শীত আমারও পছন্দের না ৷ কুয়াশাছন্ন সকাল , মিষ্টি রোদ শীতের মিষ্টি এই অনুভুতি আসলেই অনেক ভালো লাগে ৷ যাই হোক বন্ধু সাথে সরিষা ক্ষেতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন ৷ আমাদের এদিকেও ক্ষেত গুলো এখন সরিষায় ভরা ৷ সরিষা ফুলের সৌন্দর্য আসলেই মুগ্ধ করার মতো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷

আপনি শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন মিষ্টি সকালে , সোনালী সকালে সর্ষে ফুলের ক্ষেতের কিছু দারুন ফটো তুলে ধরেছেন। আমারও খুব ইচ্ছা সর্ষে ফুলের ক্ষেতে ঘুরতে যাওয়ার কিন্তু সুযোগ হয়নি কখনও। তবে আপনার ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

শীতের জীবনধারা গ্রামে একরকম, শহরে আরেকরকম। গ্রামের জীবনধারা অনেকটাই বেশি আকর্ষণীয়। কারণ হয়তো আমরা শহরে থাকি বলে।আসলে শহরে আলাদা করে শীতের জীবনযাত্রা বলে তো কিছু হয় না। ওই চার দেওয়ালের মাঝখানে থাকো, লেপ কম্বলের তলায়।প্রয়োজনে বেড়াও বা বিকেল বেলা একটু চা খেতে বেরোও এটুকুই। মাঝে মাঝে পিৎজা,বার্গার,মল এসবই। কিন্তু গ্রামের শীত একটা অন্যরকম সকালবেলা।খেজুরের রস, অনেক সময় খেজুরি গুঁড়ে ডুবিয়ে ভাপা পিঠে দিয়ে প্রাতরাশ। ভোরবেলায় ঠান্ডা কুয়াশা। এগুলো সত্যিই আকর্ষণীয়।