আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
জয়দেব স্টেশনে ট্রেন থামল সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে। এর আগে আমি জয়দেবপুর স্টেশনে এসেছিলাম প্রায় দেড় বছর আগে। ঐটাই ছিল প্রথম এবং শেষবার আসা এইবার এসে যেন একটু অন্যরকম লাগছিল দেখতে। সবচাইতে বড় কথা প্রচণ্ড গরম ছিল। এরপর আমি আমার বন্ধু নাভিদের কাছে ফোন দেয়। নাভিদ আমাকে একটা রিক্সা নিয়ে চলে আসতে বলে। কোথায় যেতে হবে ঐটাও বলে দেয়। তবে রিক্সাওয়ালারা ভাড়া বেশি চাচ্ছিল। ৩০ টাকার ভাড়া তারা ৬০ টাকা চাচ্ছিল। হয়তো আমি নতুন দেখেই এমনটা করছিল। যাইহোক পরবর্তীতে একটা রিক্সাওয়ালা ৪০ টাকা চাই। আমি ঐটাই উঠে পড়ি। গাজীপুর অন্য শহরগুলোর মতো এতো ব্যস্ত না। বলতে গেলে বেশ নিরিবিলি একটা শহর। একেবারে গ্রামের মতো পরিবেশ।
আমার বন্ধুর বলে দেওয়া জায়গাই গিয়ে দেখি ওরা দাঁড়িয়ে আছে। ওদের দেখে নিজের মধ্যে অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করতে শুরু করে। গিয়ে দেখি ওরা আজকের চা এর অর্ডার দিয়ে রেখেছে। এবং ওদের চায়ের কাপ ওদের হাতে। রং চায়ের কাপে চুমুক দিতেই বেশ অন্যরকম একটা অনূভুতি হয়। কারণ আদা লবঙ্গ দিয়ে অসাধারণ একটা চা তৈরি করেছে। সত্যি বলতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেকদিন পরে এইরকম একটা চা খেলাম। এরপর ওদের সাথে ওদের মেসে গেলাম। ওরা এখানে ডুয়েট এডমিশনে আছে প্রায় একবছর আগে থেকে। বিভিন্ন ঝামেলার কারণে এখনও ওদের পরীক্ষা হয়নি। ওদের রুমে গিয়ে আমার আরও কিছু বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যায়।
এইদিন সবচাইতে উল্লেখযোগ্য ছিল অতিরিক্ত গরম। ওদের রুমে গিয়ে আমি শার্ট খুলে শুয়ে পড়ি। তারপর শুরু হয় ওদের সাথে গল্প। একটা সময় আমরা দিনের অধিকাংশ সময় একসঙ্গে থাকতাম। রাতে যখন বাড়ি থাকতাম তখনও টেক্সট এ কথা হতো। কলেজ মাঠে বসে কত আড্ডা দিয়েছি। একসঙ্গে কলেজে যাওয়া আসা করেছি। কিন্তু এখন সময়ের পরিক্রমায় দেখাই হয় না। ওরা ওদের কথা বলে আমি আমার কথা বলি। এতদিন পর দেখা কথা যেন শেষ হচ্ছিল না। ওরা আগেই আমার জন্য দুপুরের মিল দিয়ে রেখেছিল। দুপুর হতেই রুমে খাবার চলে আসলো। তবে সবার আগে দরকার গোসল করা। ইকরার একটা লুঙ্গি এবং তোয়ালে নিয়ে আমি গোসল করতে চলে যায়। এর আগে শুনেছিলাম গাজীপুরের পানি নাকী অনেক ভালো। আজ আমি নিজেও সেটাই দেখলাম।
ঠান্ডা পানিতে অনেকক্ষণ গোসল করে বের হয়ে দুপুরের খাবার সবাই একসঙ্গে খেলাম। খাওয়া শেষ করে ওদের একটা ক্লাস ছিল। তবে আমি আসব সেজন্য ওরা আগেই বলেছিল যাবে না। এরপর ওদের সাথে কিছুক্ষণ বসে কার্ড খেললাম। আমি কার্ড খেলতে পারি অনেক আগে থেকে। তবে অনেক দিন হলো খেলা হয় না। খেলা শেষ করলাম বিকেল চারটার আগে। আমাকে রাতেই ঢাকা ফিরতে হবে এটা ওদের বলে রেখেছিলাম। চারটার সময় আমি ইকরা এবং নাভিদ বের হলাম একটু ঘুরতে। আমি একেবারে তৈরি হয়েই বের হয়। ওদের সঙ্গে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেই একেবারে বেরিয়ে পড়ব। ওদের ওখান থেকে আমরা হেঁটে চলে যায় ডুয়েট ক্যাম্পাস।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে বেশ ভালো সময় কাটালেন। যদিও বেশ গরম ছিল সেদিন ।কিন্তু বন্ধুদের সাথে দেখা হলে কোন কথাই আর মনে থাকে।তাস খেলে একসাথে খাবার খেয়ে বেশ আনন্দময় সময় পার করলেন একসাথে।বন্ধুদের সাথে কাটানো সুন্দর মুহুর্গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit