!!! একজন মধ‍্যবিও বলছি!! সম্পূর্ণ নাটক রিভিউ।।

নাটকের শুরুতেই দেখা যায় ফারহানের বিয়ে হয়েছে। সে ঘরে গিয়ে তার বউয়ের সঙ্গে কথা বলে। ফারহান খুবই ভদ্র এবং শান্ত স্বভাবের ছেলে। যাইহোক প্রথম রাত চলে যায়। পরের দিন দেখা যায় ফারহান অফিসে যাচ্ছে। তার বউ সবকিছু এগিয়ে দেয়। দুজনের মধ্যে বেশ ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর ফারহানের বউ বলে যে আপনার বোনের কলেজে টাকা লাগবে এবং আপনার বাবা বাজার করবে এবং মায়ের ঔষধ লাগবে টাকা গুলো দিয়ে যান। ফারহানের বউ এই কদিনে পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গিয়েছে। এরপর দেখা যায় ফারহান অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। সাধারণত ঢাকা শহরে অফিস টাইমে অনেক যানজট থাকে। সে সেগুলো অতিক্রম করে কোনমতো অফিসে পৌঁছায়।

---

---

---

---

কিন্তু অফিসে গিয়ে দেখে দশ মিনিট দেরিতে এসেছে সে। এবং বস তাকে ডেকে পাঠিয়েছে। এরপর সে সরাসরি বস এর ঘরে যায়। বস তাকে একটা কাজ দিয়েছিল এবং সেটার মধ্যে অসংখ্য ভুল। তখন ফারহান বলে স‍্যার আসলে সফটওয়্যার টা ঠিকমতো আউটপুট দিচ্ছে না সেজন্য এই অবস্থা।এখানে আমার কোনো দোষ নাই। এরপর বসের ঝাড়ি শুনে ফারহান নিজের কাজে মনোযোগ দেয়। পরের দৃশ্যে দেখা যায়। পরিবারের সবাই একসঙ্গে খেতে বসেছে কিন্তু ফারহানের বউ সবাইকে পরিবেশন করছে। তাকে বলার পরেও সে খেতে বসে না অন‍্যদের সঙ্গে। কিন্তু ফারহান কারণটা ধরে ফেলে। সেজন্য সে নিজেই ডিম ভাজি করে তার বউকে খেতে দেয়। যাইহোক এভাবে ভালোই যাচ্ছিল। এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় ফারহানের বউ বলছে কাল আমার মা এবং মামা আসবে। ফারহান বলে ঠিক আছে। উনারা তো আমাদের বিয়ের পর আসে নাই। আসুক সমস্যা নাই আমি আসার সময় বাজার করে নিয়ে আসব।

---

---

---

---

এরপর দেখা যায় ফারহানের শাশুড়ি এবং মামা এসে হাজির। প্রথম অবস্থায় খুব ব‍্যবহার করে তাড়া। কিন্তু প্রতিটা কথায় কথায় ফারহান এবং তার পরিবার কে ছোট করতে থাকে। এসব কথা ফারহানের বউ শুনে তার মা এবং মামার উপর রাগ করে বলে মা আমি সুখে আছি এসব কথা বলবা না। এরপর দেখা যায় ফারহান অফিস থেকে এসে তার শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতে গেছে। তার শাশুড়ি তাকেও বেশ অনেকগুলো কথা বলে। যাইহোক এরপর ফারহান চলে যায়। এভাবে কিছুদিন চলে যায়। ফারহান মোটামুটি ৩৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাই। তার বেতনের সবটা প্রায় পরিবারের পেছনে চলে যায়। সে নিজের স্ত্রীকেও কিছু দিতে পারে না। এবং নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করতে পারে না। এসব নিয়ে ফারহানের বউ খুব একটা ভাবত না। কিন্তু ফারহানের শাশুড়ি তার মেয়েকে এসব কথা বলে। এবং বলে এভাবে চললে তোর ভবিষ্যত শেষ। এখনি কিছু কর। তোর শ্বশুর শাশুড়িরে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দে।

---

---

---

---

এরপর ফারহান আসলে ফারহানের বউ তাকে সবকিছু বলে। ফারহান এমনিতে খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে। কিন্তু যখন ফারহানের বউ বলে যে তোমার বাবা মাকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দাও তখন ফারহান রেগে যায়। এবং তার বউকে বলে আমার বাবা মা বোন এখানেই থাকবে তোমার সমস্যা হলে তুমি চলে যাও। এটা শুনে ফারহানের বউ রেগে যায় এবং চলে যেতে যায়। এবং ফারহান তখন বলে দাড়াও আমি এতোগুলো কথা বললাম একটাও শুনলে না। অথচ রাগের মাথায় একবার বললাম চলে যাও সেটাই শুনলে। এরপর ফারহান বাড়ির সবাইকে বলে চলুন সবাই আপনাদের সঙ্গে আমার কথা আছে। এরপর ফারহান সবাইকে বুঝিয়ে বলে যে সে কত পরিশ্রম করে। সবকিছু বলার পরে তার বউ তার ভুল বুঝতে পারে। এবং শেষদৃশ‍্যে দেখা যায় ফারহান ছাদে দাড়িয়ে আছে এবং তার বউ গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চাই। এখানেই শেষ হয় নাটক টা।

---

---

নাটকের শিক্ষা ও ব‍্যক্তিগত মতামত

---

---

আমাদের সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে তাদের নাম মধ‍্যবিও। এদেরকে প্রতিনিয়ত অভিনয় করে বেঁচে থাকতে হয়। এদের সাধ‍্য থাকলেও পরিবারের জন্য সেগুলো পূরণ হয় না। এই নাটকে দেখা যায় ফারহানের বউ মোটামুটি অবস্থাসম্পূর্ণ ঘর থেকে একটা মধ‍্যবিও ঘরের বউ হয়ে আসে। প্রথম দিকে সে সবকিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে তার মা এবং মামা তার বাড়িতে এসে তাকে অনেক ভুলভাল কথা বলে। এজন্য সে নিজেও পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। আসল অধিকাংশ ক্ষেএেই এইরকম হয়ে থাকে। যদিও পরবর্তীতে সবকিছু জানলে আবার ঠিক হয়ে যায়। পরিবার মানে মা বাবা ছেলে সন্তান সবাই একসঙ্গে একই বাড়িতে থাকা। মা বাবা ছাড়া কোনো পরিবারই পূর্ণতা পায় না। নাটকটা বেশ শিক্ষনীয় ছিল। আপনারা দেখতে পারেন।।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৮/১০

---

---

নাটকের লিংক

---

---