আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Bein sports থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে জমজমাট ছিল ইউরোপীয় ফুটবল। প্রতিটা দল তার লীগে মাঠে নেমেছিল। গতকাল লা লীগায় নিজেদের ৬ষ্ঠ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল স্প্যানিওল এর সাথে। সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবং ম্যাচটা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়্যাগো বার্নাব্যুতে। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটা ছিল রাত একটার সময়। এই ম্যাচে মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলওি একটু ভিন্নভাবে শুরু করে। একটু চমক রেখে দলের সবচাইতে ভালো খেলোয়ার কে তিনি শুরুর একাদশে রাখেননি। এটা দেখে আমি একটু অবাক হয়েছিলাম অবশ্য। কার্লো আনচেলওি তার দলকে মাঠে নামায় ৪-৪-২ ফর্মেশনে। অন্যদিকে স্প্যানিওল এর ফর্মেশনও ছিল ৪-৪-২।
ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে প্রবেশ করে স্পেনের হয়ে অলিম্পিকে পদক জয়ীরা। দুই দল তাদের অভ্যর্থনা দেয়। তারপর যথারীতি ম্যাচ শুরু হয় । ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ বেশ দেখেশুনে খেলতে থাকে। এইদিন তাদের মাঝে একটা দারুণ ছন্দ কাজ করছিল। ম্যাচের ১৫ মিনেটের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পে প্রতিপক্ষের গোলে দুইটা শর্ট নেয়। কিন্তু স্প্যানিওল গোলরক্ষক কে পরাস্ত করে সক্ষম হয়নি। পরবর্তীতে রদ্রিগোর দারুণ বাড়িয়ে দেওয়া বলে আবার শর্ট করে কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু এইবারও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক সেভ দিয়ে দেয়। রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণের ফাঁকে ফাঁকে স্প্যানিওল কিছু আক্রমণ করছিল। তবে সেরকম কোন সম্ভাবনা তারা তৈরি করতে পারেনি। মোটামুটি গোলশূণ্য ড্রতে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের ৫৪ মিনিট স্প্যানিওল খেলোয়ার ক্যারেস মাদ্রিদের গোল উদ্দেশ্য করে শর্ট করলে মাদ্রিদ কিপার কর্তোয়া সেটা সেভ করতে যায়। কিন্তু তার ভুলে সেটা তার গায়ে লেগে গোল হয়ে যায়। অর্থাৎ আত্মঘাতী গোলে ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। তখনই কার্লো আনচেলওি আর্দা গুলার কে তুলে মাঠে নামায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এরপরই যেন খেলার ধরন পাল্টে যায় রিয়াল মাদ্রিদের। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বেলিংহামের নেওয়া শর্ট থেকে বল পেয়ে যায় দানি কার্ভাহাল। এবং সেখান থেকে সহজেই গোল করে ১-১ গোলের সমতা এনে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ কে। এরপর ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র অসাধারণ একটা বল বাড়িয়ে দেয় রদ্রিগোর দিকে। এবং রদ্রিগো সেখান থেকে গোল করে ২-১ গোলের লিড এনে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ কে।
গোল করিয়ে থেমে থাকেননি ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এর ঠিক তিন মিনিট পর ম্যাচের ৭৮ মিনিটে এমবাপ্পের অ্যাসিস্টে স্পানিওল এর গোলে বল পাঠায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ফলে ৩-১ গোলের লিড নিয়ে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ম্যাচের তখনও কিছু অংশ বাকি ছিল। এরপর মাঠে নামে এন্ড্রিক। মাঠে নেমে সে অবশ্য এইদিন গোল করেনি। তবে ম্যাচের ৯০ মিনিটে সে একটা পেনাল্টি অর্জন করে। তাকে আটকাতে গিয়ে স্প্যানিওল খেলোয়ার ডিবক্সের মধ্যে তাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পাই রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিক নিয়ে গোল করে নিজের দলকে ৪-১ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায় এমবাপ্পে। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এই নিয়ে লীগে ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ২ এ অবস্থান করছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এবারের খেলাটি যদিও আমার দেখা হয়নি তবু রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবল একেবারে চমকপ্রদ। এমবাপে ধীরে ধীরে যেন মেসির জায়গা নিয়ে চলেছে। অসাধারণভাবে পোস্টে লিখলেন ভাই। আগে খুব ফুটবল দেখতাম। এখন সময়ের অভাবে আর কেমন দেখা হয় না। তাই আপনার পোস্টটি ফুটবল সংক্রান্ত দেখেই হু হু করে পড়ে নিলাম। সুন্দর পোস্ট৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit