আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------- | ------ |
---|---|
পরিচালক | তানিম রহমান আংশু |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড | ৮ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তানিম রহমান আংশু, শাহারিয়ার শাকিল, সনি সাকিব, আর.খান, ইয়াস রোহান, তমা মির্জা, শাহনাজ সুমি আরও অনেকে। |
উত্থান পতন
এই এপিসোডের শুরুতেই অনেক আগের একটা ঘটনা দেখানো হয়। যেখানে আরমানের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয় তার মায়ের সম্পর্ক নিয়ে। এরপর আরমান রেগে বের হয়ে যাচ্ছে এমন সময় তার বাবা ডেকে বলে এদিকে আয়। তারপর দুজন কথা বলে এবং একপর্যায়ে আরমান কেঁদে ফেলে। পরের দৃশ্যে দেখা যায় মামুন সাহেবের ভাগ্নির কুকুর যে মেরেছে সেটা সে সিসি ক্যামেরা দেখে বের করে। এবং ঐলোক হলো রাজনীতিবীদ এর বডিগার্ড যে। ঐ রাজনীতিবিদকেই নিয়ে ঝামেলা চলছিল আরমান এবং তার মায়ের মধ্যে। এরপর মামুন সাহেব গিয়ে দেখে ঐ রাজনীতিবিদ ঐ বডিগার্ড কে সরিয়ে ফেলেছে। তখন তাদের মাঝেও কথা কাটাকাটি হয়। এরপর দেখা যায় আরমান এর সাংবাদিক বন্ধু এবং তার মেয়ে কথা বলছে। ঐসময়ে আলোচিত একটা ঘটনা ছিল মডেল সুমি ধর্ষণ কান্ড। যেটার সঙ্গে আরমান এর খুনের সম্পর্ক আছে।
এরপর দেখা যায় বান্নাহ তার নতুন ছবির প্রচারণার জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করছে। ঐসময়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করে আরমান এর খুনের কেস এবং সুমি ধর্ষণ কেস আবার ওপেন করা হয়েছে যেখানে আপনার নাম বার বার উঠে আসছে। এই প্রশ্ন শুনে সেরকম কোনো উওর না দিয়ে চলে যায় বান্নাহ। এরপর দেখা যায় মামুন সাহেব আরমান এর বাবার কাছে গেছে তার কাছে সব শুনতে। কিন্তু তার বয়স এখন অনেক। তিনি সবকিছু খুলে বলতে গিয়ে বার বার আরমান এর স্মৃতির অন্য কথা বলে ফেলছিলেন। যে রাতে আরমান মারা যায় সেই সব ঘটনা উনি খুলে বলেন মামুন সাহেব কে। এরপর দেখা যায় বান্নাহ ঐ সাংবাদিক এর বাড়িতে কিছু মাস্তান পাঠিয়েছে। এবং তারা এসে কিছু একটা নিয়ে যায় এবং মারাত্মকভাবে যখম করে তাকে। এরপর দেখা যায় মামুন সাহেব এবং তার সহকারি অফিসার শেফালি যায় ঐ ধর্ষিত মডেল সুমির খোজে। যদিও অনেকদিন আগের কথা। কিন্তু ঐ সুমি পুলিশ দেখেই দরজা বন্ধ করে দেয় কিছু বলতে চাই না। পরের দৃশ্যে দেখা যায় একজন মেয়ে থানায় রিপোর্ট করতে এসে জিজ্ঞেস করছে আপনারা সবাই মামুন সাহবকে এত ভয় পান কেন। পরে উনি বলেন মামুন সাহেব ছিলেন ইন কাউন্টার স্পেশালিস্ট। কিন্তু একটা অপারেশনে উনার হাতেই উনার বোনের জামাই খুন হয় উনিও পুলিশ অফিসার ছিলেন। এবং অপূর্ব সেই দৃশ্য দেখে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
প্রণয়ের পালাবদল
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় আরমান এবং নায়িকা শবনম এর অন্তরঙ্গ একটা মূহুর্ত্তের দৃশ্য। সেখানে আরমান অনেক কথা বলে। এবং আরমান বলে সে তার বউ সাবিনা কে ছেড়ে দেবে যদি শবনম রাজি থাকে। এরপর দেখা যায় মামুন সাহেব আরমান এর ছবি পরিচালনাকারী একজন পরিচালক এর কাছে গেছে। প্রথমে তিনি সময় দিতে চান না পরে ভয় পেয়ে রাজি হয়। সেখানে সে আরমান ও শবনমএর সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। যেখানে দেখা যায় একটা রেস্টুরেন্টে বসে বান্নাহ এবং শবনম গল্প করছে। এবং শবনম বান্নাহ তিনট ছবির চুক্তি করে। ঐসময়ে ওখানে আরমান এর স্ত্রী সাবিনা আসে এবং দুজনের বেশ ঝগড়া এবং হাতাহাতি হয়। এরপর দেখা কলকাতার একটা হাসপাতালে শবনম ভর্তি আছে এবং সে এখন অনেকটা সুস্থ। তখন সে মামুন সাহেব কে ফোন করে। এবং বলে ওটা দূর্ঘটনা ছিল না তাকে খুন করার চেষ্টা ছিল। মামুন সাহেব জিজ্ঞেস করে আপনি কাউকে বলেছিলেন এই জন্য বাংলাদেশে আসছেন। শবনম বলে না। তবে বলে আমার বাংলাদেশে আসার কথা শুনে বান্নাহ ফোন দিয়েছিল।
মামুন সাহেব সন্দেহ করে তাহলে নিশ্চয়ই ভেতর থেকে এই খবর বের করেছে কেউ। সেজন্য মামুন সাহেব একটা ট্রাপ করে। মামুন সাহেব তার দুই সহকারির একজনের কাছে বলে খুনি হলো শারাফত রেজা মানে ঐ রাজনীতিবিদ এবং ঐ মেয়ে শেফালীকে বলে খুনি হলো বান্নাহ। পরের দৃশ্যে দেখা যায় মামুন সাহেব আরমান এর মৃতদেহের পোস্টমাটার্ম করা ডাক্তার এর খবর পেয়েছে। তবে সে ক্যান্সার আক্রান্ত বেশিক্ষণ কথা বলা যাবে না। কথা বলতে গিয়ে ঐ ডাক্তার বলে এমন অনেক প্রশ্ন ছিল যেগুলোর উওর ছাড়াই এই কেস বন্ধ করা হয়। এবং পোস্টমাটার্ম রিপোর্ট নিয়ে আমি খুশি ছিলাম না। এবং আরও বলেন ঘটনাস্থল থেকে আমি একটা ফুল লোড পিস্তল পাই। যার কাছে ফুল লোড পিস্তল থাকে সে কেন কষ্ট করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাবে। এরপর মামুন সাহেব একজন ছেলে এবং মেয়েকে নজর রাখতে বলে শারাফাত রেজা এবং বান্নাহ এর উপর। দেখা যায় ঐ খবরটা পাওয়ার পর বান্নাহ পালাতে চেষ্টা করছে অর্থাৎ খবর টা বের করেছে শেফালি। এখানেই শেষ হয়ে যায় এই এপিসোড টা।।
ব্যক্তিগত মতামত
এই দুই এপিসোডে দেখা যায় অফিসার মামুন সাহেব বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়েছে কেস নিয়ে। অনেক প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে আরমান হত্যা নিয়ে। এবং একে একে সেগুলোর রহস্য উন্মোচন করছে মামুন সাহেব। তবে এরই মধ্যে মামুন সাহেবের তদন্তের তথ্য কেউ বাইরে বের করে দিচ্ছে এটা সে বুঝতে পারে। সেজন্য মামুন সাহেব একটা ট্রাপ তৈরি করে। পরে দেখা যায় তার মেয়ে অ্যাসিসটেন্ট শেফালী এই তথ্যগুলো বাইরে বলে দেয়। এটা নিয়ে প্রচণ্ড রেগে যায়। অন্যদিকে বান্নাহ পালানোর চেষ্টা করছে। মানে আরমান এর খুনের সম্পর্কে বান্নাহ অনেক কিছু জানে। বাকি প্রশ্নগুলোর উওর শেষ দুই এপিসোডে পাওয়া যাবে।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৮/১০
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকের মধ্যে যে নাটকগুলো এপিসোড থাকে সেই নাটকগুলো আমি একদমই দেখি না। কারণ সেগুলো দেখলে পুরো নাটক দেখতে ইচ্ছে করে। এ সমস্যার জন্যই আমি নাটকগুলো একদমই দেখি না। কিন্তু আপনার রিভিউ দেখে বোঝা যাচ্ছে নাটকটি খুব সুন্দর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit