||| পরিবর্তন ||||

পরিবর্তন সংসারের সময়। পৃথিবীতে সবারই পরিবর্তন হয়। কিছু পরিবর্তন মানুষ ইচ্ছা করেই ঘটিয়ে থাকে আর কিছু পরিবর্তন ঘটে বাধ‍্যগতভাবে। তবে শুধু মানুষ না প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে এই পৃথিবীর। পরিবর্তিত হচ্ছে চারিপাশের প্রকৃতি এটা আমাদের নজরে বেশ ভালোভাবে পড়ছে। শুধু যে নজরে পড়ছে তা নয় আমরা রীতিমতো এর স্বীকার হচ্ছি। আজ আমি মানুষের না প্রকৃতির পরিবর্তন নিয়ে কথা বলব। আপনার প্রিয় মানুষের পরিবর্তন হয়তো আপানাকে মানসিক পীড়া দেবে বা আনন্দ দেবে। কিন্তু প্রকৃতির পরিবর্তন আপনার আমার টিকে থাকা কঠিন করে দেবে। তাই আমার মতে মানুষের পরিবর্তনের চেয়ে প্রকৃতির পরিবর্তন বেশি ভয়ংকর। কারণ প্রকৃতির জলবায়ুর পরিবর্তন পুরো মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরুপ।।

---

---

---

---

বলতে পারেন জীবনের সবচেয়ে রঙিন পর্যায়ে রয়েছি। যে বয়সে সবাই প্রেমে পড়ে বন্ধুদের নিয়ে ঘোরাঘুরি আনন্দ করে বেড়াই। কিন্তু আমি ঐসব করি না। এগুলো থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখি নিজের ইচ্ছাতেই। মোটামুটি আমি বেশ ব‍্যস্ত সময় পাড় করি। আমার সময় কাটে কলেজে এবং আমার ঘরের মধ্যে। বাইরেও সেরকম বের হওয়া হয় না। বিকেলটা সাধারণত ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। কিন্তু গতকাল আর ঘুমাইনি। তো বিকেলে একটু বের হলাম। শরীর মন কোনোটাই খুব একটা ভালো না। তাই একটু নিরিবিলি পরিবেশ খুজছিলাম। তাই ভেবে চিন্তে দেখলাম বাড়ির পশ্চিম দিকের মাঠটা একেবারে নিরিবিলি সেরকম কেউ নেই। এবং এই সময়ে গেলে দারুণ বাতাস অনুভব করা যাবে। তবে সেখানে গিয়ে আলাদা একটা জিনিস আমার চোখে পড়লো। যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত ছিল না। মূহুর্ত্তের মধ্যেই বছরখানেক পেছনে চলে গেলাম। আর মেলাতে চেষ্টা করলাম এটা কী আসলেই সেই জায়গা।।

---

---

---

---

বর্ষাকাল প্রায় শেষের দিকে। গতবছর এবং এর আগের বছরগুলোতে এই সময়ে এই মাঠ ছিল একেবারে পানিতে পরিপূর্ণ। বর্ষার পানিতে মাঠটা থৈ থৈ করত।সারা মাঠ জুড়ে ফুটে থাকত শাপলা। সকালে উঠে তাকালেই একেবারে প্রাণ জুড়িয়ে যেত শাপলা ফুটে থাকতে দেখে। কিন্তু এবার?? বর্ষার পানির কোনো চিহ্ন মাএ নেই। মাঠের মধ্যে হাঁটার সময় পায়ের চটি টা খুলে রাখলাম। সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটতে বেশ দারুণ লাগছিল। শরীরের মধ্যে আলাদা একটা অনূভুতি তৈরি হচ্ছিল। তবে আমার চিন্তা টা কিন্তু ঐ জায়গাই আটকে রইলো। এবার বর্ষাকালেও যেরকম অনাবৃষ্টি এবং গরম গেছে সেটা অন‍্যকিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না। এইবারের গরম সম্পর্কে কাউকে নতুন করে কিছু বলতে হবে না মোটামুটি সবাই এইটা জানি। বৃষ্টি হয়নি বর্ষার পানি নেই এতে করে পাট চাষীদের বেশ অসুবিধা হচ্ছে। পাট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল।

এর পেছনে রয়েছে ঐ পরিবর্তন যেটার কথা আমি প্রথমেই বলেছিলাম। জলবায়ুর পরিবর্তন শুরু হয়ে গিয়েছে এবং তার প্রভাব আমরা মোটামুটি বেশ ভালো বুঝতে পারছি। এরজন‍্য আমরাও দায়ী আছি। অতিরিক্ত ফসিল ফুয়েল ব‍্যবহার পৃথিবীর পরিবেশ ক্রমাগত দূষিত করছে। শুধু তাই না পাশাপাশি আমরা কাঠছি গাছ। ফলে পৃথিবীতে বৃষ্টির পরিমাণ কমছে এবং তাপমাএা বাড়ছে। এবং যেখানে বন‍্যা হচ্ছে তো হচ্ছেই একেবারে প্রাণঘাতি। যেমনটা বাংলাদেশের সিলেটে আফগানিস্তানে এবং চীন সহ বিভিন্ন দেশে দেখা গিয়েছে। এটা সত্যি চিন্তার বিষয়। যতই দিন যাচ্ছে পৃথিবীর পরিবেশ পরিবর্তিত হচ্ছে আশপাশের মানুষগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে। সবমিলিয়ে পৃথিবীতে টিকে থাকা দূর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। এবং টিকে থাকায় এখন সবচেয়ে বড় চ‍্যালেঞ্জ।।।

---

---

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C
সময়	আগষ্ট,২০২২

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---