আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
হইচই থেকে স্কিনশর্ট টা নেওয়া হয়েছে।
সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
পরিচালক | তামিম নূর |
প্লাটফর্ম | হইচই |
ভাষা | বাংলা |
এপিসোড সংখ্যা | ৮ |
অভিনয়ে | মোস্তফা মনোয়ার, নুসরাত ইমরোজ তিশা, রাফিয়া রশিদ মিথিলা, মোস্তাফিজুর নূর ইসলাম, তারিক আনাম খান, শতাব্দী ওয়াদুদ আরও অনেকে। |
সাপে নেউলে
১৩ ই ডিসেম্বর ১৯৭০ সাল। পশ্চিম পাকিস্তানের একজন সেনা সদস্য একটা অপারেশন এর ফাইল তৈরি করে। সেই অপারেশন টার নাম দেওয়া হয় অপারেশন ব্লিটজ। এরপর সেটাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এরপর দেখানো হয় পুরান ঢাকার একটা এলাকা। ঐ মহল্লায় সেলিম বেশ ভালো ছেলে। তার একটা গ্যারেজ আছে তবে তার একটা গ্যাং ও আছে। হঠাৎ তার আস্তানায় তার প্রতিপক্ষ বাবু ও তার গ্যাং এসে হামলা করে। একপর্যায়ে বাবু এবং সেলিমের মধ্যে মারামারি হয়। তখনই ঐ রাস্তা দিয়ে মিছিল যায় জয় বাংলা জয় বাংলা ধ্বনিতে। তখন তাদের মারামারি থেমে যায়। এরপর দেখা যায় বাংলাদেশের দুজন সেনা সদস্য কথা বলছে। সেখানে সিরাজ বলছে বাংলাদেশের সব সেনা সদস্যদের ঢাকার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু আমরা অল্প কয়েকজন আছি। এবং মেজর ওয়াসিম কে ঢাকায় আনা হচ্ছে। মেজর ওয়াসিম যেখানে যায় সেখানে খারাপ কিছুর পরিকল্পনা থাকে। গণহত্যার ক্ষেএে তার সুনাম আছে। তারপর দেখা যায় পাকিস্তানে মেজর ওয়াসিম এবং তার বউ কথা বলছে। তার বউ একজন সাংবাদিক। সেজন্য বুঝতে পারে নিশ্চয়ই পূর্ব পাকিস্তানে ভয়াবহ কিছু হবে সেজন্য তার স্বামীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে জয়ীতা যাচ্ছে। জয়ীতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এবং সেলিম জয়ীতা কে অনেক পছন্দ করে। সেলিম জয়ীতাকে তার গাড়িতে ঢেকে তোলে বলে চলো তোমাকে কলেজে দিয়ে আসি। কিন্তু মাঝ পথে বাবুর পোলাপান হামলা করে বসে। কোনোরকম ভাবে পালিয়ে বাঁচে জয়ীতা এবং সেলিম। পরের দৃশ্যে দেখা যায় করাচি থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে মেজর ওয়াসিম ঢাকা এসে পৌছায়। অন্যদিকে বাবুর এই কাজে অনেক রেগে যায় সেলিম। সেজন্য সেই রাতেই সে একজনের থেকে একটা অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনে এবং তারপর বাবুর আস্তানায় গিয়ে হামলা করে। পরের দিন মেজর ওয়াসিম তার সিনিয়র অফিসার গুল মাহমুদ এর সঙ্গে দেখা করে। গুল মাহমুদ বলে ওয়াসিম তোমাকে এখানে নিয়ে আসার একটা কারণ আছে। তোমাকে সিক্রেট একটা অপারেশনের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। তোমার দায়িত্ব থাকবে পুরান ঢাকায়। এবং তারপর সেই অপারেশন ব্লিটজ লেখা ফাইলটা ওয়াসিম কে দেয় এবং বলে আমি তোমাকে দুদিন সময় দিলাম। এটা তুমি ভালো করে পড়বে এবং তোমার মন্তব্য সহ আমাকে ফাইলটা ফেরত দিবা। এবং এটা অনেক সিক্রেট একটা বিষয়। এখানেই শেষ হয় প্রথম এপিসোড টা।
শকুনের আগমন
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় মেজর ওয়াসিম সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে এমন সময় তার দেখা হয় সিরাজের সঙ্গে। সিরাজ সেলুট করে ওয়াসিম কে। ওয়াসিম তখন বলে আরে ইয়ার এগুলো কী আমি আর তুই এক ব্যাচে ছিলাম। এসব তো বাদ দে। তখন সিরাজ বলে তাতে কী তুই তো আমার স্যার। এরপরের দৃশ্যে দেখানো হয় মেজর ওয়াসিমের গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেলিমের গ্যারেজের সামনে। ওয়াসিম তার গাড়িটা সেলিমের দোকানে বলে ঠিক করতে। এরপর সে দেখে উপরে সেলিম এবং তার আরেক সঙ্গী গল্প করছে। সে সেখানে চলে যায়। কিন্তু তার ঐরকম উপস্থিতিতে মোটেও খুশি হয় নি সেলিম। যাইহোক এরপর মেজর ওয়াসিম কিছু কথা বলে চলে যায়। অন্যদিকে সেলিম যায় জয়ীতা কে সরি বলতে। কিন্তু তখন জয়ীতা বলে সেলিম ভাই আপনার এবং আমার জগত আলাদা। আমি চাই আমার সঙ্গী এমন কেউ হবে যে আমাকে কবিতা শোনাবে গান শোনাবে। এইরকম দৌড়াদৌড়ি করতে পারব না। আমাদের মধ্যে কোনো মিল নেই। কিন্তু সেলিম মানতে চাই না। অন্যদিকে অন্য একজন সেনাসদস্য এসে সিরাজকে বলে স্যার মেজর স্যার এবং ওয়াসিম স্যার দুজন মিলে কী নিয়ে যেন আলোচনা করছে। আপনি একটু খেয়াল রাইখেন।।
এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় অফিসার মেজর ওয়াসিমের হাতে একটা খবরের কাগজ দিয়ে বলে সবার আগে নিজের ঘর ঠিক করতে হবে। এরপর ওয়াসিম দেখে তার বউ রুহি তার ঢাকা আসা নিয়ে লিখেছে। এটা দেখে সে রেগে যায়। এবং নিজের ঘরে গিয়ে ফোন করে করাচিতে তার স্ত্রীর কাছে। তার স্ত্রী তখন বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু সে সেটা জানে না। এরপর দেখা যায় ক্যান্টনমেন্ট সিরাড খেয়াল করে মেজর ওয়াসিম তার কক্ষ থেকে বের হয়ে কোথাও গিয়েছে। সেটা দেখে সে লুকিয়ে ওয়সিমের রুমে যায় এবং ফাইলটা খুঁজে কিন্তু পাই না। এরপর দেখা যায় মেজর ওয়াসিমের স্ত্রী সাংবাদিক রুহি ঢাকায় আসে। এটা কেউ ওয়সিমকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। সেজন্য অনেক রেগে যায় ওয়াসিম। অন্যদিকে সেলিম তার গ্যাংয়ের ছেলে নয়নের বিয়েতে গিয়েছে। এমন সময় সেখানে গিয়ে বাবু হামলা করে এবং সেলিমের উপর গুলি চালায়। এখানেই শেষ হয়ে যায় এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
এই সিরিজটার নাম দেখে আপানারা বুঝতে পেরেছেন এটা ১৯৭১ সালের কোনো ঘটনা নিয়ে নির্মিত ওয়েব সিরিজ। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালায় বাঙালি জাতির উপর। সেই ঘটনার সঙ্গে সেলিম নামক একজন মহল্লার গ্যাং লিডার এর জীবন তার প্রেমিকা কার জীবনের গল্পকে এক করা হয়েছে। অর্থাৎ সেই সময়ের এইরকম একটা অবস্থা এখানে দেখানো হয়েছে। সিরিজটার কালার গ্রেডিং ভালো ছিল। একেবারে সেই সময়ের আবওহাওয়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি সবাই অনেক ভালো অভিনয় করেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং: ৮/১০
অফিশিয়াল ট্রেলার লিংক
https://www.hoichoi.tv/shows/watch-ekattor-bengali-web-series-online
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
ওয়েব সিরিজ একাওর দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যান্ত দক্ষতা সহকারে উপস্থাপন করেছেন। আগে অনেক ধরনের ওয়েব সিরিজ এবং নাটক দেখতাম। এখন ব্যস্ত থাকায় তেমন দেখা হয় না। আপনার পোস্টটি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুন্দর ওয়েব সিরিজ অবশ্য সময় পেলে দেখে নেবো। এত চমৎকার পোস্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit