বিকেলে ঘোরাঘুরি এবং সন্ধ‍্যায় বন্ধুদের সাথে চায়ের টং এ আড্ডা। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।

নতুন সেমিষ্টার শুরু হওয়ার পর একবার বেরিয়েছিলাম। এরপর লিখন ফরিদপুর চলে গিয়েছিল। তারপর আবার চলে আসে এই লকডাউনে। তো অনেকদিন আমরা বিকেলে বের হয়নি। কারণ আগের মতো সেরকম সময়ও পাই না। কয়েকদিন আগে আমি এবং লিখন ঠিক করলাম দুজন বের হবো। কিন্তু কেউ বাড়ির কোনো কাজ হাতে নেব না। সম্পূর্ণ সময়টা উপভোগ করব। সেই কথামতো বিকেলের কিছুসময় আগেই দুজন বেরিয়ে পড়লাম। লিখন ওর বাবার বাইক নিয়ে চলে আসলো। সময়টা অনেক স্মৃতিময় ছিল। অনেকদিন মনে থাকবে। এখন সেই সুন্দর মূহুর্ত গুলো আর আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

---

---

---

w3w

---

যেহুতু গাড়িটা লিখনের বাবার এবং লিখনের লাইসেন্স ও নেই। সেজন্য আমরা হাইওয়ে দিয়ে খুব একটা যায় না। এছাড়াও হাইওয়েতে বর্তমানে অনেক অ‍্যাক্সিডেন্ট হয়। যাইহোক তো আমরা আমাদের যাএা শুরু করলাম একটি গ্রামের দিকে। গ্রামের নিরব সৌন্দর্য সবসময়ই আমাদের মুগ্ধ করে। বেশ কিছুক্ষণ গেলাম। এরপরই একটা বিপদ চলে এলো সামনে। গ্রামের রাস্তাগুলো খুব একটা ভালো হয় না। তবে একেবারে খারাপ না। যেতে যেতে হঠাৎ একটি গ্রামের মধ্যে গিয়ে লিখনের গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেল😞। এরপর দেখা গেল গাড়িতে তেল নেই। এদিকে এটা হলো গ্রাম তেলের জন্য অনেকদূর হেঁটে যেতে হবে। রাস্তাটাও ভাঙ্গা। তো কোনো উপায় না দেখে দুজন হাটা শুরু করলাম দেড় কিলোমিটার মতো হাটার পরে পেলাম একটি ছোট দোকান।

---

---

---

w3w

---

দোকানটা পেট্রোল বা ডিজেলের দোকান না। তবে তারা কিছু পরিমাণ পেট্রোল ডিজেল রেখে থাকে। কারণ আমাদের মতো অবস্থায় অনেকেই পড়ে থাকে। তো যাইহোক গাড়িতে তেল নেওয়ার পর আমরা আবার যাএা শুরু করলাম। গাড়ির তেল ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা অনেকক্ষণ হেটেছি। সেজন্য আমাদের প্ল‍্যান সম্পূর্ণ করতে গেলে সময়ে হবে না। তাই আমরা ঠিক করলাম যখন শেষ হয় হবে আজ আমরা আমাদের ভ্রমণ শেষ করেই বাড়ি যাব। এবার সন্ধ‍্যাও হয়ে আসলো। আমরা চলে গেলাম আমাদের মাধ্যমিক বিদ‍্যালয় এর পাশে। এটা কুমারখালী গড়াই নদীর পাশে। তখন চারিদিকে আধার সূর্য বেশ কিছুক্ষণ মুখ ঢেকেছে।

---

---

---

w3w

---

গিয়ে দেখাই শাহআলম ভাই তখনো আছে। শাহআলম ভাইয়ের কথা আপনাদের আগে বলেছিলাম একদিন। উনি এখানে ফুসকা চটপটি বিক্রি করেন।যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন কুমারখালী শহরে উনার থেকে ভালো ফুসকা কেউ বানাতে পারে না। যাইহোক দুই প্লেট ফুসকা অর্ডার দিয়ে বসলাম নদীর পাড়ে। শীতের সন্ধ‍্যায় অসাধারণ সুন্দর লাগছিল নদীটা। আমি মুগ্ধ হয়ে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম নদীর অন‍্যপাড়ে। এরপর শাহআলম ভাই ফুসকা দিল। খাওয়া শেষ করে কিছুটা এগিয়ে গেলাম।

---

---

---

w3w

---

এরপর ভাবলাম এসেছি যখন আসাদ মামার চা খেয়েই যায়। উনাকে আমি ক্লাস সিক্স থেকে চিনি। আমি যখন এই স্কুলে ভর্তি হয় তখন থেকেই পরিচয়। দেখা হতেই বলে উঠল আরে মামা কেমন আছ। বললাম এই তো মামা ভালো। তখন দেখলাম শাহেদ বসে আছে ওখানে।আমি শাহেদ লিখন একসঙ্গে পড়তাম। শাহেদ এখন ঢাকায় পড়ালেখা করে। অনেকদিন ওর সাথে কথা হয়না। এবার তিনটা চায়ের অর্ডার দিয়ে আমি এবং শাহেদ ও লিখন গল্প শুরু করি। অনেকদিন পরে দেখা হয়েছে বলে কথা। সব পুরানো স্মৃতি ভেসে উঠতে থাকে। ইস স্কুলে থাকাকালীন কতই না মজা করেছি। যাইহোক শেষ হয় আমাদের মোটামুটি কথা। এর মধ্যে চা টাও শেষ করে ফেলেছি। এরমধ্যে প্রায় রাত ৮ টা বেজে গেছে। কিন্তু অনিচ্ছা সত্বেও জায়গাটা ছেড়ে চলে যেতে হবে। এরপর বাড়ির দিকে চলে আসি। অসাধারণ কাটিয়েছিলাম সময় টা।

---

---

-----	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---