আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শেষ কবে বাড়ির বাইরে রাত কাটিয়েছি মনে নেই। সেজন্য ঢাকায় প্রথম রাত খুব একটা ঘুম হয়নি। আমরা আমাদের এক বউ ভাইয়ের মেসে উঠেছিলাম। যদিও পাঁচজনের মধ্যে আমি আর রাসেল ছিলাম এক জায়গাই এবং আমার অন্য তিন বন্ধু নাভিদ, তুহিন, ইকরা ছিল অন্য জায়গাই। যাইহোক সকাল ৮ টার দিকে নাভিদের ফোন। তার আগেই অবশ্য আমার ঘুম ভেঙে গেছিল তবুও শুয়ে ছিলাম। নাভিদ বলল আমরা যেন ৯ টার সময় ডুয়েট মানে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর গেটে থাকি। আমি এবং রাসেল সেইরকমই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে নেয়। যারা ছাএজীবন মেসে বা হোস্টেলে অতিবাহিত করে এসেছেন তারা জানেন মেসের খাবার কেমন হয়। যাইহোক সকালের নাস্তা শেষ করে আমরা তৈরি হয়ে যায়। এরপর ভাইদের সঙ্গে চলে যায় ডুয়েট ক্যাম্পাসে।
বাংলাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়া হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন এই ডুয়েট। ডুয়েট হলো পলিটেকনিক এর শিক্ষার্থীদের জন্য একমাএ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও ডুয়েট নিয়ে আমার অন্য বন্ধুদের মতো আমার ততটা মাতামাতি নেই। তবে প্রথমবার দেখে বেশ ভালো লাগছিল। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন শনিবার থাকায় ক্লাস বন্ধ ছিল। যাইহোক গেট দিয়ে প্রবেশের পূর্বে আমরা সবাই বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। ফটোগ্রাফি শেষ করে এগিয়ে গেলাম ক্যাম্পাসের মধ্যে। বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মতো ডুয়েট ক্যাম্পাস ততটা বড় না। তবে অনেক সুন্দর পরিষ্কার এবং সাজানো। আমাদের সঙ্গে এক বড় ভাই ছিল উনি আইপি ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। উনি আমাদের সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। আমরা সব ডিপার্টমেন্টে যায়নি। আমরা শুধু ইইই ডিপার্টমেন্টে গেছিলাম। কারণ এখানে চান্স পেলে ওটাই হবে আমাদের ডিপার্টমেন্ট।
ডুয়েট এর ছাএনিবাস বেশ অনেকগুলো। আমরা মোটামুটি সবগুলো ছাএাবাস দেখি। তবে সবগুলোর ভেতরে যায়নি। তবে হ্যা ছাএীনিবাসও আছে কিন্তু সেদিকে আমাদের প্রবেশ নিষেধ হা হা। যাইহোক এরপর ঐ ভাই আমাদের ডুয়েটের ইনডোর গেমস রুমে নিয়ে গেল। ইনডোর গেমস বলতে শুধু টেবিল টেনিস এবং ক্যারাম ছিল। টেবিল টেনিস সেরকম খেলি নাই কখনো তবে একসময় ক্যারাম অনেক ভালো খেলতাম। যদিও শেষ ক্যারাম খেলেছি তাও দেড় বছর আগে। তবুও ক্যারাম দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। আমি এবং আমার বন্ধু তুহিন একটা বোর্ড খেলি। আর বেশিক্ষণ যে খেলব আমাদের হাতে সময় ছিল না। কারণ ডুয়েট ঘুরে আমাদের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের দিকে যেতে হবে। যাইহোক এরপর আমরা ইনডোর গেমস এর রুম থেকে বের হয়ে ক্যান্টিনের দিকে যায়।
ডুয়েটে প্রতিটা ছাএাবাসে একটা করে ক্যান্টিন রয়েছে। ডুয়েটে যাব আর ক্যান্টিনে কিছু খেয়ে আসব না তাই কী হয় হা হা। যাইহোক সবাই মিলে গিয়ে বসলাম। তবে কিছুক্ষণ আগে যেহেতু নাস্তা করে এসেছি সেজন্য কোনো ভারী খাবার খাইনি। ঐ চায়ের উপর দিয়ে চালিয়ে দিয়েছি। আমরা লেবু চা অর্ডার দেয়। তবে লেবু চা টা যে খুব ভালো বা খুব খারাপ ছিল সেটা বলব না। মোটামুটি অ্যাভারেজ ছিল। যাইহোক চা খাওয়া শেষ করে বের হলাম। ডুয়েট ক্যাম্পাস ঘোরা শেষ। এখন আরেকটা কাজ আছে। আচ্ছা আমাদের ট্রন ফান ক্লাব এর মডারেটর সাগর ভাইকে (@sagor1233) তো চিনেন সবাই। উনিও কিন্তু এডমিশন দিবেন এইবার এখন প্রিপারেশন দিচ্ছেন। উনার সঙ্গে প্রায়ই কথা হয়। ওখানে যাওয়ার আগে উনার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এবং অনেকদিন থেকেই উনার সঙ্গে দেখা করার অনেক ইচ্ছা ছিল। সেটা পূরণও হয়েছে। যদিও ভাইকে অনেক অপেক্ষা করিয়েছিলাম। তবুও ভাই অনেক আন্তরিক এবং ভালো মানুষ। উনার সঙ্গে দেখা করে ভালো লেগেছিল।। সবমিলিয়ে বেশ দারুণ উপভোগ করেছিলাম ডুয়েট ক্যাম্পাসে কাটানো সময় টা।।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | মে,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই গরমের মধ্যে মুখে মাস্ক কি খুব জরুরি ছিলো? হাঃ হাঃ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা হা ভাই ঢাকাতে যে পরিমাণ ধুলাবালি আর বায়ুদূষণ দাদা মাস্ক বাধ্যতামূলক মনে হয়েছিল আমার কাছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit