আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Man U এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
ভাই ফুটবল কখনো কখনো যেন নাটক সিনেমার চেয়েও বেশি রোমাঞ্চ সৃষ্টি করে। ব্যাপার টা এতোটাই নাটকীয় যা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। আবার তখন মনে হয় স্পোর্টস এ সবকিছুই সম্ভব। ক্লাব ফুটবল আমি বেশ উপভোগ করি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের হাই ভোল্টেজ ম্যাচগুলো একেবারেই মিস করি না। গতকাল রাতে ইংলিশ প্রিমায়ার লীগের দুই দল চেলসি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মুখোমুখি হয়েছিল। লীগে ম্যান ইউ এর ৩০ তম ম্যাচ হলেও চেলসির ছিল ২৯ তম ম্যাচ। এবং ম্যাচটা ছিল চেলসির ঘরের মাঠে। দল দুইটা লীগের বড় নাম হলেও এই সিজেনে কেউই সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। চেলসির অবস্থান টেবিলের ১০ নাম্বারে এবং ম্যান ইউ এর অবস্থান ৬ এ। অবস্থা এমন কেউই পরবর্তী সিজেনে চ্যাম্পিয়ন লীগে কোয়ালিফাই করতে পারবে না। দলের এই অবস্থা নিয়ে ম্যান ইউ বস এরিক টেন হ্যাগ বেশ প্রেসারে আছে।
গতকাল ম্যান ইউ ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলতে নামে। শুরুর একাদশে এন্টোনির নাম দেখে বেশ খুশি হয়েছিলাম। ইদানিং কোচ তাকে শুরুর একাদশে রাখেই না। অন্যদিকে চেলসি বস মারিও পচেওিনো ঐ একই ফর্মেশন ৪-২-৩-১ এ মাঠে নামায় দলকে। নাটকীয়তার শুরু এখান থেকেই। যাইহোক ম্যাচটা শুরু হয়। ম্যাচের শুরুতেই ৪ মিনিটের মাথায় ইংলিশ মিডফিল্ডার গ্যালেগার এর গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। তখন পযর্ন্ত খেলাটা ঠিকই চলছিল। মোটামুটি ম্যান ইউ আক্রমণে আসছিল। কিন্তু এরপর ম্যাচের ১৯ মিনিটে ম্যান ইউ ডিফেন্ডার রা ডিবক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পাই চেলসি। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় কোল পালমের। ম্যাচের মাএ ১৯ মিনিটে চেলসি ২-০ গোলে এগিয়ে। তখন আমার মনে হচ্ছিল আজ ম্যান ইউ এর অবস্থা খারাপ আছে।
কিছুক্ষণ পর ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ম্যান ইউ এর হয়ে গোল করে আর্জেন্টাইন তরুন উইঙ্গার গার্নাচো। ছেলেটা দারুণ খেলছে এই সিজেনে। ম্যাচে তখন ২-১ এ এগিয়ে চেলসি। কিন্তু এর ঠিক ৫ মিনিট পরে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে অসাধারণ এক হেডে গোল করে ব্রুনো ফার্নান্দেজ। এবং এই গোলে ম্যাচে ২-২ এর সমতা চলে আসে হাফ টাইমের আগেই। তখন যেন ম্যাচে আবার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হলো। ২-২ গোলের সমতায় প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে অসাধারণ খেলতে থাকে ম্যান ইউ। চেলসির থেকে তারা আক্রমণ বেশি করছিল। এর ফলস্বরুপ ম্যাচের ৬৭ মিনিটে এন্টোনার অসাধারণ একটা অ্যাসিস্টে গোল করে দলকে `লিড নিয়ে এসে দেয় সেই তরুন গার্নাচো। ম্যাচে তখন ২-৩ গোলে এগিয়ে ম্যান ইউনাইটেড। আমি ভেবেছিলাম হয়তো এখানেই ম্যাচ শেষ। কিন্তু মানুষ যা ভাবে সেটা কী হয়। না গতকাল যেন তখনও নাটক বাকি ছিল।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলে ৮ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এই সময়েও কিছু সময় অপচয় হওয়াই ম্যাচ এক্সটেনটেড হয়ে আরও কিছু সময় বেশি খেলায় রেফারি। কিন্তু সেখানেই বাঁধে বিপওি। নাটকীয়ভাবে ম্যাচের ১০০ তম মিনিটে পেনাল্টি পাই চেলসি। এবং সেখান থেকে গোল করে দলকে আবার সমতায় নিয়ে আসে কোল পালমের। কিন্তু আসল নাটক তখনও বাকি। এর ঠিক পরের মিনিটেই ১১১ মিনিটে আবার একটা গোল করে অবিশ্বাস্য ভাবে দলকে লিড নিয়ে এসে দেয় সেই কোল পালমের। কোল পালমের এর হ্যাট্রিকে অসাধারণ ঘরের মাঠে অসাধারণ একটা জয় তুলে নেয় চেলসি। যেটা কোন নাটকের থেকে কম ছিল না। ম্যাচটা আমি খুব উপভোগ করেছি । এবং এটা আমার দেখা এখন পযর্ন্ত এই সিজেনের সেরা ম্যাচ ছিল। এককথায় অনবদ্য।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit