"বঙ্গবন্ধু" সাফারি পার্ক ভ্রমণ( পর্ব:৪)।

in hive-129948 •  6 days ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ২৮ ই ডিসেম্বর,২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000566817.jpg


পাখির জায়গাটা বেশ খোলামেলা হলেও মাছের অ‍্যাকুরিয়াম টা ছিল একটা ঘরের মধ্যে। মোটামুটি বেশ বড় একটা ঘরে জুড়ে ভিন্ন ভিন্ন মাছের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অ‍্যাকুরিয়াম। অধিকাংশ মাছ সামদ্রিক এবং আমাদের অপরিচিত।তবে আমাদের কপাল টা খারাপ ছিল। আমরা যখন মাছের অ‍্যাকুরিয়ামের ভেতর গেলাম দেখি বেশ অন্ধকার। অ‍্যাকুরিয়াম গুলো দেখা যাচ্ছে তবে খুব একটা ভালো না। তখন কতৃপক্ষের একজন জানাই ইলেকট্রিসিটি নেই। ইলেকট্রিসিটি আসলে আরও ভালোভাবে দেখা যাবে। আমরা মোটামুটি ঘুরে দেখতে থাকি এবং ইলেকট্রিসিটির অপেক্ষায় ছিলাম। Aligator Gar, Tiger Barb, Albino-Oscar এইসব অদ্ভূত নামের সব মাছ ছিল অ‍্যাকুরিয়াম গুলোতে।


1000566789.jpg

1000566792.jpg

1000566793.jpg

1000566794.jpg


বেশ কিছুক্ষণ আমরা ঐভাবে দেখতে থাকি। কিন্তু ইলেকট্রিসিটির কোন চিহ্নমাএ নেই। বাধ‍্য হয়ে আমরা অন‍্যদিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ ততক্ষণে এক ঘন্টার বেশি সময় আমরা কাটিয়ে ফেলেছি। আমাদের হাতে আর ঘন্টা দুই সময় আছে। এরপর কোনদিকে যাব আমরা একেবারে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। সাফারি পার্কে প্রবেশের সময় যে মানচিএ আমরা দেখেছিলাম সেটার একটা ছবি তুলে নেওয়া ছিল। পরবর্তীতে ঐ মানচিএ দেখে আমরা ঠিক করি কোনদিকে যাব। সাফারি পার্কের মধ‍্যেই শিশু পার্ক আছে একটা। ওখানে বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে। সাধারণত ঐটা বাচ্চাদের জন্য। কারণ প্রাপ্তবয়স্করা হয়তো প্রকৃতি নিয়ে মেতে থাকবে। কিন্তু শিশুরা তো সেটা বুঝবে না।


1000566796.jpg

1000566799.jpg

1000566798.jpg

1000566800.jpg

1000566801.jpg


যদিও আমরা কেউ শিশুপার্কে যায়নি। কারণ আমরা কেউ শিশু না হা হা। আমরা আরেকটু সামনের দিকে এগিয়ে যায় । সাফারি পার্কের মধ্যে বিভিন্ন জায়গাই অনেক ভাস্কর্য ছিল। আমরা ঐগুলোর সাথে ছবিও উঠি অনেক । এরপর কিছুটা এগিয়ে যেতেই দেখি একটা ছোট জলাশয়। তবে জলাশয়ের পানি অধিক না এবং জলাশয়ের পানি ঘোলা অর্থাৎ পরিষ্কার না। তবে কিছুক্ষণ লক্ষ‍্য করে আমরা দেখতে পায় জলাশয়ের মধ্যে বিশালদেহী এক জলহস্তি। অর্থাৎ পানির হাতি। আগে অনেক বার এই প্রাণীটার নাম শুনেছি। কিন্তু কখনও দেখিনি। এই প্রথমবার জলহস্তি প্রাণীটা দেখলাম আমরা। যদিও এতদূর থেকে প্রাণীটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না। তার উপর জলহস্তির অধিকাংশ শরীর ছিল পানির নিচে।


1000566805.jpg

1000566806.jpg

1000566810.jpg

1000566811.jpg

1000566812.jpg

1000566815.jpg

1000566816.jpg


মোটামুটি জলহস্তি নিয়ে আমাদের বন্ধুদের মাঝে একটা হাস‍্যরসাত্মক মূহুর্ত্তের সৃষ্টি হয়। যতটা জানি এই প্রাণীটা হিংস্র না এবং অনেক টা অলস। দিনের অধিকাংশ সময় নাকী এর নড়তে চড়তেই কেটে যায়। জলহস্তি দেখা শেষ হলে আমরা ফিরে আসি। এবং একটা জায়গাই কিছুক্ষণ বসি। কারণ ততক্ষণে আমাদের পা ব‍্যাথা করতে শুরু করেছে। ঐদিন ততক্ষণে আমরা কম করে হলেও সবমিলিয়ে ৫-৬ কিলোমিটার হেঁটে ফেলেছি । আর হঠাৎ এতোটা পথ হাঁটলে তো পা ব‍্যাথা হবেই। কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়ার পর আমরা আবার ঘুরতে শুরু করি। দুপাশে অসংখ্য গাছপালা সুবিশাল জঙ্গল। মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রাণীর অদ্ভুত ডাক শরীরে একটা শিহরণ এর সৃষ্টি করে। এরপর আমরা এগিয়ে গেলাম ঝুলন্ত ব্রীজের দিকে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Daily task

1000570372.jpg

1000570371.jpg

1000570342.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সব সময় অনেক সুন্দর হয়। যেকোনো জায়গা যেতে পারলেই হয়। সাফারি পার্কে দারুন মুহূর্ত ছিল। কখনো যাওয়া হয়নি সাফারি পার্কে। অনেক বার আমাদের কমিউনিটিতে সাফারি পার্ক নিয়ে পোস্ট দেখেছি ।

সাফারি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার ৪ র্থ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আজ। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেলে যে কোন জায়গায় অনেক আনন্দ করা যায়। সাফারি পার্কের ভেতরে দৃশ্যগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।

পার্কে ভ্রমণ করতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আর এই পার্কটি দেখছি অনেক সুন্দর। সবাই মিলে দারুন উপভোগ করেছেন আর সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।