আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
পৃথিবীতে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী না। কেউ কখনো একটা জায়গা চিরস্থায়ীভাবে দখল করতে পারে না। সবকিছুরই ধ্বংস আছে সবকিছুরই পতন আছে। বিশেষ করে ক্ষমতার। আজকে আমি এইরকম একটা টপিকস নিয়েই কথা বলব। আপনারা যারা মোটামুটি ক্লাব ফুটবল অনুসরণ করেন নিশ্চয়ই জানেন ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল এখন আতঙ্কে রয়েছে। এটার সবচাইতে বড় কারণ সৌদি আরব। আচ্ছা প্রথম থেকেই বলি। ফুটবলে প্রথম থেকেই কী ইউরোপীয়দের রাজত্ব ছিল। এটা কখনোই না। যদি আমরা ১৯২০-৩০ এর দিকে নজর দেয় তাহলে দেখব একেবারে শুরুতে ফুটবলের রাজত্ব ছিল ল্যাটিন বা দক্ষিণ আমেরিকায়। প্রথম বিশ্বকাপে উরুগুয়ের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সেটাই প্রমাণ করে। তারপর ক্লাব ফুটবল এবং জাতীয় ফুটবলে এক চেতিয়া রাজত্ব করেছে ল্যাটিন আমেরিকা। ১৯৫০ এর পরবর্তী সময়।
তখন ব্রাজিলিয়ান সিরিয়া -আ কে ধরা হতো বিশ্বের সেরা ফুটবল লীগ। যে ফুটবল লীগে সান্তোস, পালমেইরাস, ভাস্কো দা গামা, ফ্লুমিনেন্স এর মতো বিখ্যাত ক্লাবগুলো খেলত। তখন এই ক্লাবগুলো রাজত্ব করেছে ফুটবল বিশ্বে। সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়ার পেলে তো ইউরোপ কে না বলে পুরো ক্যারিয়ার এই ব্রাজিলিয়ান লীগেই কাটিয়ে দিল। কিন্তু ঐ যে বললাম শ্রেষ্ঠত্ব চিরদিন থাকে না। ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করে ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবল। টাকার কাছে হেরে যায় দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাবগুলো। এছাড়া উন্নত জীবনের আশায় খেলোয়ারগণ একে একে পাড়ি জমানো শুরু করল ইউরোপে। ফলে রং হারিয়ে ফেলল ব্রাজিলিয়ান সিরিআ। তারপর প্রায় ৬০ বছর একচেটিয়া ক্লাব ফুটবল এবং জাতীয় ফুটবলে চলে আসছে ইউরোপীয় দের রাজত্ব। জমজমাট ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবল দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে সারা বিশ্ব।
সর্বশেষ ২০০২ সালে ব্রাজিল শেষ ল্যাটিন টিম হিসেবে বিশ্বকাপ নেয়। কিন্তু তারপর পুরো চার আসর আর কোনো ল্যাটিন টিম সাফল্য পাইনি। সবাই ধরে নিয়েছিল না এই গতিশীল ইউরোপীয়ান ফুটবল দলগুলোকে হারিয়ে ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা আর হবে না বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন রা সেটাই করে দেখিয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবল এবার কী তাহলে রং হারাবে সৌদি আরবের কাছে। গত বিশ্বকাপে সৌদি আরব আর্জেন্টিনা কে হারিয়ে একটা আশার আলো দেখিয়েছে তাদের ফুটবলে। সেজন্য সৌদি সরকার তাদের ফুটবল উন্নয়নে ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু যদি দূর্দান্ত ইউরোপীয় লীগে খেলা কোনো খেলোয়ার কে বলা হয় সৌদি লীগে আসো বিপুল অর্থ দেবে সে কী যাবে। কখনোই যাবে না। সেজন্যই সৌদি লীগের দল সবার আগে ঠিক করেছে ফুটবল বিশ্বের আইডল ইউরোপীয় ফুটবলের রাজা যার নামই একটা ব্রান্ড সেই সিআর-7 খ্যাত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কে। সেই করেছে শুরু। পরের গল্পটা আমাদের সবার জানা।
রোনালদোকে দেখে এখন করিম বেঞ্জেমা, এন গোলো কান্তে, রিয়াদ মাহারেজ, রবার্তো ফিরমিনো এদের মতো খেলোয়ার এখন সৌদি লীগে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে সৌদি ফুটবলের উত্থান। এখন এটা নিয়ে অনেক প্রাক্তন ইউরোপীয় খেলোয়ার এবং কোচেরা বলছে এভাবে সৌদি আরব টাকা দিয়ে খেলোয়ার কিনে ইউরোপীয় ফুটবল কে সংকট এর মধ্যে ফেলছে। কথাগুলো তারা খারাপ বলেনি। তবে কী সত্যি ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবল রং হারাবে সৌদি আরবের টাকার কাছে? যেমনটা হারিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান সিরিআ। এটা অসম্ভব কিছুই না। কারণ শুরু টা করেছে রোনালদো। তার দেখা দেখে পরবর্তীতে আরও খেলোয়ার পাড়ি জমাবেন সৌদিতে সেটা বলে দেওয়াই যায়। তাহলে ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলও হারাতে পারে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব। ঐ যে বললাম শ্রেষ্ঠত্ব সবার চিরকাল থাকে না। আপনারা কী বলেন??
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
খেলোয়াড় জীবনের শেষ সময়ে টাকা কামাতে গেছে। আর কিছুই না। ইউরোপীয় ফুটবল মুকুট ধরে রাখবে কারণ তাদের সিস্টেমেটিক ডেভেলপমেন্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা হা। এটা লেখার সময় ভাবছিলাম আপনি ঠিকই পড়বেন।। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কথায় আছে না বাঘার বল ১২ বছর।একটা সময় বাঘের বল ও শেষ হয়ে যায়। আর তেমনি শ্রেষ্ঠত্ব ও চিরকাল থাকে না এটাও সত্য একটি কথা। ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তব একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit